বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রবাসীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। মনোনয়ন পেতে নিজ নিজ দলের নীতি নির্ধারণী কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তারা। পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করতে দেশে গিয়ে নির্বাচনী এলাকায় কেউ কেউ কাজও শুরু করেছেন।
প্রবাসীরা বলছেন, তাদের ঘাম ঝরানো অর্থে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে। দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির পেছনে তাদের অবদান কম নয়। কিন্তু দেশে প্রবাসীদের কোনো মূল্যায়ন নেই। তাদের স্বার্থে কথা বলার কেউ নেই। তাই সংসদে প্রবাসীদের প্রতিনিধিত্ব থাকলে সরকার অন্তত তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনবে।
তাদেরই একজন সৌদি আরব প্রবাসী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার সগড়ানিয়া গ্রামের মোহাম্মদ ইছহাক শেখ ও মিসেস জামিরন নেছার ছেলে। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা আনোয়ার হোসেন ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসাবে ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা-মধুখালী) আসনের জন্য ইতিমধ্যে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।
আনোয়ার হোসেন সৌদি আরবে ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট সৌদি আরব শাখার সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী-মধুখালী-আলফাডাঙ্গা) আসন থেকে ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশায় আমি মনোনয়ন ফরম কিনেছি। আমি আশা করছি আমার দল বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট ফরিদপুর-১ থেকে আমাকে মনোনয়ন দিবেন। তিনি আরও বলেন, এলাকার মুরুব্বি এবং তরুনরা চায় আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেই। এই জন্যই আমার নির্বাচনে আসা।
আমি সাধারণ মানুষ বিশেষ করে দেশের অর্থনৈতিক যোদ্ধা প্রবাসীদের জন্য কাজ করতে চাই। গরীব এবং অসহায় লোকদের সেবক হয়ে থাকতে চাই। জঙ্গি,সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছে এটি অব্যাহত রাখতে হলে ইসলামী ঐক্যজোটের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন আনোয়ার।