class="post-template-default single single-post postid-18132 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

যকৃৎবান্ধব খাবারগুলো কী জেনে নিন

যকৃৎবান্ধব ডায়াবেটিস খাবার ডায়াবেটিসের

যকৃৎবান্ধব খাবারগুলো কী জেনে নিন

দেহের দূষিত পদার্থ পরিশোধনের ফিল্টার হিসেবে কাজ করে যকৃৎ বা লিভার। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, প্রসেসড ও চর্বিজাতীয় খাবার গ্রহণের ফলে লিভারে যথেষ্ট চাপ পড়ে এবং এর কার্যকারিতা ব্যাহত হয়। কিছু খাবার নিয়মিত গ্রহণ করলে যকৃতের কার্যকারিতা ঠিক থাকে—

যকৃৎবান্ধব খাবার

বিট/গাজর

বিট/গাজরের মধ্যে উচ্চমাত্রার ফ্লেভিনয়েড ও বিটাক্যারোটিন রয়েছে। বিট ও গাজরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যকৃৎকে কার্যকর রাখতে সহযোগিতা করে। এগুলো রান্না করে, কাঁচা অথবা জুস করে লেবু মিশিয়ে পান করা যায়।

 

সবুজ শাকসবজি

সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে রক্তের দূষিত জীবাণু ধ্বংস করার উপাদান ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অত্যাবশ্যকীয় খনিজ লবণ।

 

গ্রিন টি/কফি

সবুজ চায়ে ‘ফ্লেবিনয়েড’ নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা যকৃতের কার্যপরিচালনায় সহায়তা করে। এই চা নিয়মিত পান করলে যকৃতের অন্যান্য রোগ ও ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

 

লেবু/জাম্বুরা

লেবুতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ‘গ্লোটাথিয়ন’ যকৃতের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়া জাম্বুরা, কমলালেবু ইত্যাদি ফল প্রাকৃতিকভাবে যকৃৎ পরিষ্কার করে এবং কারসিনোজেন নামের দূষিত পদার্থগুলো বের করে দিতে সাহায্য করে।

 

আপেল/পেঁপে

আপেল ও পেঁপের উচ্চ মাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় রাসায়নিক পদার্থ দেহ থেকে দূষিত উপাদান পরিশোধনের মাধ্যমে যকৃৎকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। ফ্যাটি লিভারের রোগীদের জন্য পেঁপে

খুব কার্যকরী।

 

জলপাইয়ের তেল

এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা যকৃতের জন্য খুবই উপকারী। এই তেল শরীরের বিভিন্ন ব্যথা উপশম করে এবং যকৃৎ থেকে ক্ষতিকারক জীবাণু বের করে দিতে সহায়তা করে।

 

মাছ

সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা-৩, ৬ ফ্যাটি এসিড, যা যকৃৎ পরিশোধনের জন্য সহায়ক। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন মাছ খাওয়া ভালো।

 

সূর্যমুখীর বীজ

এতে ভিটামিন ‘ই’, ‘বি’, উচ্চমানের খনিজ লবণ, অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড এবং গ্লোটাথিয়ন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যকৃৎ পরিশোধন করে দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে যকৃৎকে সুরক্ষায় সহায়তা করে।

 

বাঁধাকপি/ব্রকলি

এই সবজি দুটিতে ‘গ্লোকসিনোলেট’ নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা যকৃতে এনজাইম তৈরিতে সহযোগিতা করে। কারসিনোজেন নামের দূষিত জীবাণু দেহ থেকে বের করে দিতে এই এনজাইম বিশেষভাবে কাজ করে।

 

হলুদ

হলুদের মূল যকৃৎ পরিশোধনে সবচেয়ে বেশি কার্যকর এবং দ্রুতগতিতে দূষিত পদার্থ ধ্বংস করে যকৃৎ পরিষ্কার করে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, বিটাক্যারোটিন যকৃতের জন্য উপকারী।

 

রসুন

শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং যকৃতে এনজাইম তৈরিতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এতে থাকা প্রচুর পরিমাণ সেলিনিয়াম ও অ্যালিসিন নামের দুটি প্রাকৃতিক উপাদান যকৃতে পিত্তরস উৎপাদনে সহায়তা করে।

https://www.youtube.com/watch?v=wfEPaBfx6p4

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!