২০১৪ সালের পর অন্তত ৫৬ হাজার ৮শত শরনার্থী এবং অভিবাসী নিহত অথবা নিখোঁজ হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে। এপি বলেছে, জাতিসংঘের সংস্থা আইওএম’এর হিসাবে তা অবশ্য অর্ধেক দেখানো হয়েছে। তাদের হিসেবে গত ১লা অক্টোবর পর্যন্ত নিহত বা নিখোঁজের সংখ্যা ২৮ হাজার ৫ শত। আইওএম অবশ্য ইউরোপমুখি অভিবাসীদের হিসাব দিয়েছে।
এপি বলেছে, অতিরিক্ত ২৮ হাজার ৩শত লোকের হিসেব জাতিসংঘ দেয়নি। এপির ভাষ্য, উল্লেখিত সংখ্যকঅভিবাসীও নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে। তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, ফরেনসিক রেকর্ড, নিহত লোকদের তালিকা,এবং শরনার্থীদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে সংগ্রহ করেছে।
এপি বলেছে, ইউরোপের চেয়েও বিশ্বের বহু স্থানের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। ব্রাম ফ্রয়োস মিকসড মাইগ্রেশন সেন্টারের কর্মকর্তা। তার ভাষ্য, চাকরির জন্য যারা অভিবাসি হয়, তাদের বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখতে হবে।
এপি আরও বলেছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আফ্রিকা থেকে পাড়ি জমিয়েছে ১৬ মিলিয়ন মানুষ। এপি এবং আইওএম হিসাব করে দেখিয়েছে ২০১৪ সালের পর ১৮ হাজার ৪ শত আফ্রিকার অভিবাসী যাত্রাপথে মারা গেছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী ৪ হাজার তিন শত অভিবাসীর লাশ দক্ষিণ আফ্রিকার গাউটেঙ্গ প্রদেশে পাওয়া গেছে , যাদের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জিম্বাবুয়ে থেকে তিন বছর আগে আফ্রিকায়অভিবাসী হয়ে আসা একজন জানিয়েছেন, বহু লোকের গুম হওয়ার কথা তিনি শুনেছেন। এ কারণে তিনি তার সন্তানদের সব সময় চোখে চোখে রাখেন বলে জানান। এপি