নিজের কাজ সম্পর্কে বেশ সচেতন টয়া। লাক্স সুপারস্টার থেকে বের হয়েছেন ২০১১ সালের শুরুতে। তারপর থেকে টুকটাক কাজ করতেন। কখনো বিজ্ঞাপন, নাটক বা টেলিছবি। তবে ২০১৬ সালের শেষ দিকে প্রকাশ পায় টয়ার নাচের ‘লোকাল বাস’ গানের মিউজিক ভিডিও। তারপরই বদলে যায় সব হিসাব–নিকাশ। গানটির ‘হিট’ তকমা লাগার পরপরই অনবরত মিউজিক ভিডিওর জন্য প্রস্তাব পেতে থাকেন টয়া। করেছেনও দু-তিনটি। কিন্তু সে অর্থে ‘লোকাল বাস’–এর জায়গা ছুঁতে পারেনি একটিও। আপাতত মিউজিক ভিডিওর জন্য ‘না’ সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছেন। এখন নাটক করছেন নিয়মিত, বিজ্ঞাপনও। তবে সম্প্রতি ক্লোজআপ কাছে আসার গল্পে অভিনয় করা টয়ার কাছে একটা স্বপ্নপূরণ। ‘জানেন, ক্লোজ আপে কাজ করা আমার একটি স্বপ্নের মতো ছিল। খুব করে চাইতাম কাজটির জন্য কবে আমাকে ডাকবে। মানুষ খুব করে চাইলে সেটা পূরণ হয়। আমার হয়েছে।’
শুধু কাজ নয়, সম্পর্কের ব্যাপারেও বেশ সচেতন। কলেজজীবন শুরু করে একটি প্রেম হয়েছিল। কিন্তু মিডিয়ায় নিয়মিত কাজ করা মেনে নিতে পারেননি প্রেমিকপ্রবর। এখন অবশ্য একজনের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক আছে। সম্পর্কটা কত দূর যাবে, সেটা একটা চিন্তার ব্যাপার। বিয়েটা নিজের ও পারিবারিকভাবেই পছন্দ হবে, এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
তবে টয়ার এখন পুরোদস্তুর প্রেম চলছে কাজের সঙ্গে। ‘যে চরিত্রে যখন ঢুকে যাই, তখন আসলে চরিত্র বা বিপরীত মানুষ দুটির সঙ্গেই প্রেম করি। ভালো কিছু করার জন্য পরিচালক ও সহ–অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে প্রেম করি। এই প্রেম না থাকলে ঠিকঠাক কাজ করা কঠিন।’
টয়ার বাবা ব্যবসায়ী, মা স্কুলশিক্ষক। দুজন সফল। টয়া কি সফল? মাথা নাড়েন। বলেন, ‘মায়ের ও আমার সফলতা, সবকিছুর পেছনে আমার বাবার প্রচ্ছন্ন হাতটা আছে। মায়ায়–ছায়ার মতো ওই হাত না থাকলে এত কিছু সম্ভব হতো না। উনি নিজের ক্যারিয়ারের চেয়ে আমাদের নিয়ে বেশি ভাবতেন। এ কারণেই আমরা এখনো ঠিকঠাক আছি, ঠিকঠাক কাজ করতে পারছি।’