চিকিৎসা শাস্ত্রে তেজপাতার আশ্চর্যজনক উপকারিতা!
প্রাচীনকাল থেকেই তেজপাতা নিরাময়কারী ও স্বাস্থ্যকর ভেষজ পাতা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে কেবল খেলে বা ব্যবহার করলেই হবে না, পোড়ালেও উপকার পাওয়া যায়। প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরা তেজপাতাটিকে পবিত্র ওষুধ বলত। বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এটি ব্যবহৃত করা হতো। বিশ্বের অনেকেই এ পাতা মসলা হিসেবে ব্যবহার করেন।
তেজপাতার মধ্যে রয়েছে পিনেনে ও সাইনিয়ল এবং এসেনশিয়াল অয়েল ও সাইকোঅ্যাকটিভ পদার্থ। শরীরকে নানা জটিল রোগের হাত থেকে বাঁচাতে যে যে উপাদানের প্রয়োজন পরে, তা সবই উপস্থিত রয়েছে তেজ পাতায়। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন প্রতিদিন কেন তেজ পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।
জেনে নিন তেজপাতার কি কি উপকারিতা রয়েছেঃ
১। তেজ পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ইনসুলিনের ক্ষরণ যাতে ঠিক থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুগার লেভেল বাড়ার সুযোগ পায় না। রক্তে উপস্থিত শর্করার মাত্রা কমাতে তেজ পাতার কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। শরীর খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা যাতে বেড়ে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি।
২। তেজপাতা শরীরের হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার মাধ্যমে খাবারের পুষ্টি উপাদানগুলো ভালোভাবে পরিপাক করতে সহায়তা করে। পেটফাঁপা, বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদির চিকিৎসায় তেজপাতা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তেজপাতার মাধ্যমে খাবারে ঝালভাব এনে রুচি বর্ধণ করার ক্ষেত্রে উপকারী।
৩। তেজপাতায় উপস্থিত ফিটোনিউট্রিয়েন্ট, ক্যাফিক অ্যাসিড, সিলিসাইকেলেট এবং রুটিন হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪। তেজপাতার ‘অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল’ উপাদান শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন প্রদাহ কামাতে সহায়ক। সর্দিকাশি, কফ এবং ফ্লু থেকে মুক্তি পেতে তেজপাতা সিদ্ধ করে খেতে কিংবা বুকে মাখা যেতে পারে। নিয়মিত তেজ পাতা দিয়ে বানানো চা খেলে জ্বর তো কমেই। সেই সঙ্গে সর্দি-কাশি এবং বুকে কফ জমার মতো সমস্যাও কমতে শুরু করে।
৫। তেজপাতা সিদ্ধ করে নিন তারপর ঠাণ্ডা হলে তা দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক ফর্সা করার পাশাপাশি এই মিশ্রণ ব্রণ শুকাতেও সহায়তা করে। উজ্জ্বল দাঁত পেতে সপ্তাহে কয়েকবার দাঁতে তেজপাতা ঘষে নিতে পারেন। তেজপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে চুল ধুলে খুশকি দূর হবে এবং চুলপড়া বন্ধ করতেও কার্যকর।