class="post-template-default single single-post postid-20772 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

নামাজ না পড়ার শাস্তি

ঈমান আনার পর অবশ্যপালনীয় ইবাদত হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর থেকে ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবার ওপর নির্ধারিত সময়ে এই নামাজ আদায় করা ফরজ। কোরআন শরীফে আল্লাহ পাক সরাসরি ৮২ বার ‘সালাত’ শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। যেমন ‘নিশ্চয়ই নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা বিশ্বাসীদের জন্য ফরজ করা হয়েছে।’ (সুরা নিসা, আয়াত ১০৩)

রাসুল (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন বান্দার আমলগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম যে বিষয়ের হিসাব নেয়া হবে তা হচ্ছে নামাজ। ‘যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দেয় আল্লাহ তাআলা তার থেকে নিজের জিম্মাদারী উঠিয়ে নেন’। (বুখারি-১৮, ইবনে মাজাহ-৪০৩৪, মুসনাদে আহমদ-২৭৩৬৪) হাদিস শরিফে এসেছে, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দেয়া শিরকের পর সবচেয়ে বড় গুনাহ। এমনকি এটি হত্যা, লুণ্ঠন, ব্যভিচার, চুরি ও মদ্যপানের চেয়েও মারাত্মক গুনাহ। যার শাস্তি দুনিয়া ও আখেরাত উভয় স্থানেই ভোগ করতে হবে।’ কিতাবুস সালাত লি-ইবনিল কায়য়ুম, পৃ. ১৬)

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘দুর্ভোগ ঐ সমস্ত মুসল্লিদের জন্য, যারা নিজেদের নামাজের ব্যাপারে উদাসীন।’ (সুরা মাউন, আয়াত ৪-৫) অন্যত্র বলেছেন, ‘তোমাদেরকে কিসে জাহান্নামে নীত (নিক্ষেপ) করেছে? তারা বলবে- আমরা নামাজ পড়তাম না।’ (সুরা মুদাসসির : আয়াত ৪২-৪৩)

কেউ যদি অস্বীকারপূর্বক সালাত ছেড়ে দেয় তার ঈমান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সমস্ত ফকিহ একমত। তবে যে অস্বীকার করে না অথচ যে কোনো কারণেই গুরুত্বহীনভাবে সালাত ছেড়ে দেয়, এ শ্রেণীর লোকেরা স্বীকৃত মতানুযায়ী যদিও কাফের হবে না তবে ফাসেক বলে গণ্য হবে। তাকে বহুকাল যাবৎ জাহান্নামের আজাব ভোগ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!