চিকিৎসার জন্য আমাদের দেশ হতে প্রচুর সংখ্যক রোগী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গমন করেন।কিন্তু পুর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে অধিকাংশ রোগিরই বিভিন্ন ধরনের বিড়ম্বনা ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ে বাধ্য হন। কিছু বিষয়ে পুর্ব প্রস্তুতি নিলেই এই অতিরিক্ত ব্যয় ও সময়ের অপচয় থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
ভারতে চিকিৎসার জন্য যেতে চান তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
ভারতে বেশ কিছু উন্নতমানের হাসপাতাল রয়েছে যার মধ্যে খ্রিস্টান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (CMC) অন্যতম। CMC হাসপাতাল ভারতের প্রথম সারির একটি হাসপাতাল ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে মূলত একটি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যার যাত্রা শুরু।
কম খরচে ও উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য CMC এর খ্যাতি পুরো পৃথিবী জুড়ে। CMC হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে হলে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট আগে থেকে নিতে হবে। বাংলাদেশ হতে যারা CMC হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে যান তাদের একটি বড় অংশ ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে যান না। যারফলে তাদের অনেক বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।
CMC তে ভালো মানের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ রোগী দেখেন তাই তাদের এপয়েন্টমেন্ট পাওয়া একটু কষ্টসাধ্য। আপনি যদি সরাসরি সেখানে গিয়ে ডাক্তারের সিরিয়াল দিতে চান তাহলে ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী ১০-৩০ দিন চেষ্টা করার পর হয়তো আপনি এপয়েন্টমেন্ট পেতে পারেন। এই ১০-৩০ দিন হোটেল এ থাকা খাওয়া এবং প্রতিদিন হাসপাতাল এ গিয়ে এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য খোঁজ খবর নেওয়া সকলের জন্যই একটু কষ্টসাধ্য এবং ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার।
CMC তে এমনও কিছু বিভাগ রয়েছে যার ২/৩ মাস আগেও কোন ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার যাত্রা শুরু করার কমপক্ষে ২/৩ মাস পুর্বেই আপনার রোগের ধরণ অনুযায়ী নির্দিষ্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের এপোয়েন্টমেন্ট বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিত করে নিন এবং এপয়েন্টমেন্ট এর তারিখ অনুযায়ী ২/১ দিন আগের তারিখের বাস/ট্রেন / বিমান টিকেট বুকিং করে নিন।
বর্তমানে নতুন নিয়ম অনুযায়ী ভারতের অধিকাংশ হাসপাতালই মেডিকেল ভিসা ব্যাতিত রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছে কিন্তু CMC তে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়েও ডাক্তার দেখানো সম্ভব। তবে কোন কারনে যদি আপনার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় সেক্ষেত্রে আপনার আবশ্যই মেডিকেল ভিসা প্রয়োজন হবে।
চিকিৎসার জন্য যেহেতু ভারতে যাবেন সেক্ষেত্রে মেডিকেল ভিসা নিয়ে যাওয়াটাই সর্বোত্তম। CMC তে প্রায় সব ধরনের রোগেরই চিকিৎসা করা হয়।
তবে, আপনি যদি চোখের চিকিৎসার জন্য ভারতে যান সেক্ষেত্র আপনি শংকর নেত্রালয়তে ডাক্তার দেখাতে পারেন।
হার্টের চিকিৎসার জন্য নারায়না হৃদালয়।
ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য রাজীব গান্ধী ক্যান্সার হাসপাতাল অথবা টাটা মেমোরিয়াল।
অর্থোপেডিক্স এর চিকিৎসার জন্য গ্লোবাল হাসপাতাল চেন্নাই এর সুখ্যাতি রয়েছে। বর্ণিত হাসপাতালগুলোর অধিকাংশই প্রাইভেট হাসপাতাল হওয়ায় এখানে চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল। আর আপনি যদি খরচের কথা ও সেবার মানের কথা চিন্তা করেন সেক্ষেত্রে এসব রোগের জন্য CMC সর্বোত্তম।
যারা CMC ভেলোর চিকিৎসা করাতে যাবেন
তাদের জন্য দরকারি কিছু তথ্যঃ-
=============================
খ্রিষ্টান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ভেলোর
(CMC HOSPITAL VELLORE )
বাংলাদেশ হতে CMC ভেলোর এ যাওয়া, থাকা, আনুমানিক খরচ, মেডিসিন, যোগাযোগ, ডাক্তারের এপোয়েন্টমেন্ট সহ বিস্তারিত কিছু তথ্য নিচে তুলে ধরা হলোঃ-
# এপয়েন্টমেন্টঃ–
CMC তে ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট মুলত দুই ধরনের:
১. জেনারেল এপয়েন্টমেন্ট (জুনিয়ার ডাক্তার দেখেন)
২. প্রাইভেট এপোয়েন্টমেন্ট (সিনিয়ার ডাক্তাররা (অধ্যাপক / সহযোগী অধ্যাপক ) দেখেন।
বাংলাদেশ থেকে যারা যাবেন তাদের জন্য প্রাইভেট এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে যাওয়াই উত্তম, তবে কিছু কিছু বিভাগের প্রাইভেট ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট পাওয়া খুবই সময়সাপেক্ষ, সেক্ষেত্রে জেনারেল ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন।
# এপোয়েন্টমেন্ট পদ্ধতিঃ-
ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট অনলাইনে অথবা সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে নেয়া যায়,
অনলাইন এপয়েন্টমেন্ট এর ক্ষেত্রে মোটামুটি যেহারে ভীড় হয়, তাতে কোন ডিপার্টমেন্ট এর প্রাইভেট এপোয়েন্টমেন্ট পেতে আপনাকে ১৫ দিন থেকে ৩ মাস সময় অব্দি অপেক্ষা করতে হতে পারে।
সরাসরি হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে এপয়েন্টমেন্ট নিতে গেলে
CMC ভেলোর এর মেন গেট এ ঢুকলেই দেখতে পাবেন SILVER GATE FOR NEW APPOINTMENT..
আপনি আপনার প্রব্লেমটা ওখানে জানালেই ওরা নিদিষ্ট ডিপার্টমেন্ট এ এপোয়েন্টমেন্ট দিয়ে দেবে। এক্ষেত্রে আপনি ১০-৩০ দিনের মধ্যে প্রাইভেট এপোয়েন্টমেন্ট পেয়ে যাবেন এক প্রকার নিশ্চিত।
# যাওয়ার ব্যবস্থাঃ
বাংলাদেশ থেকে আপনি বাস / ট্রেন / বিমানে করে CMC তে যেতে পারেন, বাসে গেলে আপনি যদি ঢাকা থেকে যান তাহলে শ্যামলী / গ্রীন লাইন / সৌহার্দ্য পরিবহন এর টিকিট কেটে কলকাতা পর্যন্ত যেতে পারবেন, কলকাতা থেকে ট্রেন / বিমান করে ভেলোর যেতে পারেন।কলকাতা থেকে ট্রেনে গেলে আপনার ৩০-৩৫ ঘন্টা সময় লাগবে ভেলোর (কাটপাডি) ষ্টেশন পর্যন্ত। কাটপাডি ষ্টেশন থেকে আপনি আটোতে করে CMC পর্যন্ত যেতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে ট্রেন এ গেলে কমলাপুর থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস এর টিকেট কেটে প্রথমে কলকাতা যাবেন এবং কলকাতা থেকে বিমান / ট্রেন এ করে যেতে পারেন এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে ঢাকা থেকে সকাল ৬ টায় ছেড়ে রাত ৮/৯ টায় ট্রেন কলকাতায় পৌঁছাবে।
বিমানে যাবার ক্ষেত্রে maldive airlines এর ঢাকা কলকাতা ডিরেক্ট ফ্লাইটে যেতে পারেন কিন্তু এতে ভাড়া অনেক বেশি পড়বে। আপনি যদি spice jet এর বিমানে যান সেক্ষেত্রে কলকাতায় ২.৫ ঘন্টার ট্রানজিট সহ সময় লাগবে প্রায় ৬ ঘন্টা আপনি যদি Air India এ যান সেক্ষেত্রে কলকাতায় ১৫-১৬ ঘন্টা ট্রানজিট সহ ২০-২১ ঘন্টার ফ্লাইট। এক্ষেত্রে চেন্নাই বিমান বন্দরে নামার পরে ট্যাক্সিতে করে সরাসরি ভেলোর (CMC) যেতে পারেন সময় লাগবে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা ভাড়া পরবে ২০০০ থেকে ৩০০০ রুপি। অথবা এয়ারপোর্ট থেকে চেন্নাই বাস স্ট্যান্ড (কোয়াইম বেডু) এ ভেলোর পর্যন্ত যাবার বাস পেয়ে যাবেন।
# কোন ডিপার্টমেন্ট এ যাবেন ???
আপনি অনলাইন এ এপয়েন্টমেন্ট নিতে গেলে কোন ডিপার্টমেন্ট এ নেবেন সেটা জানা জরুরী, অন্যথায় সময় এবং টাকা উভয়ই নষ্ট হবে। ধরুন- কানের প্রব্লেম- ENT, হরমোন প্রব্লেম- endocrinology, ক্যন্সার পেশেন্ট:- onchology etc..
# ভাষাঃ-
হিন্দি / ইংরাজী ঠিকঠাক জানা থাকলে প্রব্লেম হওয়ার কথা নয়, তবে বর্তমানে প্রচুর বাংলাদেশী রোগী এখানে ভীড় করে যার ফলে ভাষাগত কোন সমস্যা হলে ডাক্তার নিজ থেকে দোভাষী এর ব্যবস্থা করে নেনে।
# থাকাঃ-
এখানে রুম এর চাহিদা যেমন বেশি তেমন লজ ও আছে প্রচুর। ডবল বা ট্রিপল বেড এর রুম ১৫০-২০০ থেকে শুরু করে ১৫০০-২০০০ টাকা অব্দি। আপনি CMC থেকে যত দুরত্ব বাড়াবেন তত লজের রেট কমতে থাকবে। মোটামুটি ৭-৮ মিনিট হাঁটাপথের দুরত্বে আপনি ২০০-২৫০ টাকার রুম পেয়ে যাবেন। আপনি ২৪ ঘন্টা মানে একদিনের জন্য রুম বুক করে একটু খোঁজাখুঁজি করে কম দামে ভাল রুম ও দেখতে পারেন।
# খাওয়া-দাওয়া:-
অজস্র বাঙ্গালী হোটেল আছে, আপনি ৪০-৬০ টাকা/মিল হিসাবে ভাত পেয়ে যাবেন। এছাড়া সাউথ ইন্ডিয়ান খাবারও উপভোগ করতে পারেন। তবে ৩-৪ দিন এর বেশি টানতে পারবেন না। আপনি চাইলে যে হোটেল এ উঠবেন তাদের কাছ থেকে হাঁড়ি-পাতিল ভাড়া বাবদ নিয়ে নিজে রান্না করে খেতে পারেন।
CMC DETAILS:-
১) OPD BUILDING (outdoor patients) – আপনাকে ডাক্তার দেখবেন মুলত এই বিল্ডিং এ। এর ৫ টা ফ্লোর এ কাজ হয় সাধারণত।
২) গ্রাউন্ড ফ্লোর:- এই ফ্লোরটা সমস্ত টেস্ট এর জন্য বরাদ্দ। blood, x-ray,urine test সহ প্রায় সব টেষ্ট এখানে হয়। ডাক্তার যে টেস্টগুলো লিখে দিয়েছে, সেই স্লিপটা নিয়ে পেমেন্ট ক্যাশ কাউন্টার এ যেতে হয়। পেমেন্ট করার জন্য CASH / DEBIT -CREDIT-ATM CARD/ CRISS CARD ব্যবহার করা হয়।
(বিস্তারিত পরে দেওয়া আছে).।
পেমেন্ট করার স্লিপ এ লেখা থাকবে আপনাকে কোথায় কোন রুম এ যেতে হবে। ধরুন ব্লাড টেষ্ট এর জন্য – G20, XRAY- G11 এই রকম। আপনি সকাল সকাল এসে লাইন এ দাঁড়িয়ে টেস্টগুলোে করে নিন। সকাল ৬ টা থেকে কাজ শুরু হয়ে যায়। আপনাকে ৫-৫:৩০ টা থেকে লাইন এ দাড়াতে হবে তাড়াতাড়ি এর জন্য।
৮) ফাস্ট ফ্লোর, সেকেন্ড ফ্লোর, থার্ড় ফ্লোর এ বিভিন্ন রুম এ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এর প্রাইভেট & জেনারেল ডাক্তার রা দেখেন। আপনার এপোয়েন্টমেন্ট লেটার এ লেখা থাকবে আপনাকে কোথায় কোন ফ্লোর এ যেতে হবে।
উদাহরন স্বরুপ:-
>OPD Building SECOND FLOOR 210, report to MRO at 10:30 am… র মানে হল আপনাকে সেকেন্ড ফ্লোর এ ২১০ নং রুম এর সামনে গিয়ে MRO COUNTER E এপোয়েন্টমেন্ট কপিটা জমা দিতে হবে সকাল ১০:৩০-এর সময়। ৩০ মিনিট আগে পিছু হলেও প্রব্লেম হয়না সাধারণত।
১০) ISSCC BUILDING:- এটাও OPD BUILDING এর মত গুরুত্বপুর্ন। এখানে যেসব কাজগুলো হয়, নিউ এপোয়েন্টমেন্ট, রিপিট এপোয়েন্টমেন্ট, ফার্মেসী, ক্রিস কার্ড, CASH PAYMENT, & অবশ্যই ডাক্তাররাও দেখেন উপরের ফ্লোর গুলিতে।
১১) NEW APPOINTMENT:-
সাধারনত ৪-১০ অব্দি কাউন্টার এ নিউ আপোয়েন্টমেন্ট, টেষ্ট, অনান্য কিছুর জন্য পেমেন্ট করা হয় নগদ টাকার মাধ্যমে।
১২) REPEAT APPOINTMENT :-
11-13 নং কাউন্টার এ কোন ডাক্তার এর পুনরায় এপোয়েন্টমেন্ট করানো হয়। এক্ষেত্রে কাউন্টার এ বল্লেই হবে ডাক্টার কবে দেখতে চেয়েছে, ওরা এপোয়েন্টমেন্ট দিয়ে দেবে।
ফার্মেসীঃ- সাধারনত ৩ মাসের জন্য ওষুধ দেয় রোগীদের। ফার্মেসীতে পেমেন্ট করে ওষুধ নেবার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়। ফার্মেসীতে ১০% ডিসকাউন্ট এ ওষুধ দেয়া হয়
১৩) CRISS CARD:-
এই কার্ডটা বানিয়ে নিলে আপনার হয়রানি অনেকখানি কম হয়ে যাবে এবং এই কার্ডটি বানানো এখন বাধ্যতামুলক। আপানার HOSPITAL NO.( PATIENT ID) দেখিয়ে বললেই ৪০২ নং কাউন্টার থেকে ক্রিস কার্ড বিষয়ক যাবতীয় সাহায্য করে দেবে। এই ক্রিস কার্ডে আপনাকে টাকা ভরতে হবে অগ্রিমভাবে ( through cash transfer /atm transfer). তবে আমি ATM card ইউজ করেই কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। ক্রিস কার্ডের মজা হল বেশি বড় লআইনে দাঁড়াতে হবে না পেমেন্ট এর জন্য কারণ criss card payment counter আছে সব জায়গায়।
১৪) APPOINTMENT DATE CHANGE:-
এগিয়ে বা পিছিয়ে আনা…. ISSCC building e HELPDESK এ লম্বা লাইন দেবেন পেমেন্ট স্লিপটা নিয়ে। অনেক ভীড় হয়। ওখানে আপনার প্রব্লেম বঅললেই ওরাই ডেট চেঞ্জ এর ব্যাবস্থা করে দেবে।(আগে যদি ডেট ফাঁকা থাকে তবেই)
১৫) PMR BUILDING:-
সাধারনত ফিজিওথেরাপি ডিপার্টমেন্ট বলা যেতে পারে। বিভিন্ন ফিজিওথেরাপি এর যন্ত্রপাতি, জুতা, ডুপ্লিকেট ব্রেস্ট( সিলিকন ব্রেস্ট), ইত্যাদি সকল জিনিস এর জন্য এই ডিপার্টমেন্ট এ যেতে হয়। পেমেন্ট স্লিপ অথবা এপোয়েন্টমেন্ট লেটার এ PMR BUILDING উল্লেখ থাকবে।
১৬) WARD BUILDING:-
পেশেন্ট দের সার্জারি & ট্রিটমেন্ট এর প্রয়োজন এ এখানে পেশেন্ট দের ভর্তি করা হয়। এত পরিস্কার পরিছন্ন & জীবাণুমুক্ত জাইগা হয়ত আপনার বাড়ির রুমগুলিও নয়। DIAGONASIS এর উপর বেশি জোর দেয়। অনেক টেষ্ট দেয়। তারপর যখন রোগ ধরা পড়ে তখনই চিকিৎসা করে। (কোলকাতার চেয়ে এখানেই এগিয়ে)।টেষ্ট গুলি মুলত ৩ জায়গায় করানো হয়।
১৭) OPD BUILDING:-
সাধারণত ম্যাক্সিমাম জনের টেষ্ট এখানেই করানো হয়। তবে বিশেষ কিছু টেষ্ট এর জন্য যেমন USG এর জন্য ৩-৪ দিন ও লাগতে পারে। তাই যখন ডাক্টার এর সাথে কথা বলবেন ওনাকে রিকুয়েস্ট করবেন যেন আপনার টেষ্ট গুলি ALPHA CLINIC এ পাঠিয়ে দেয়। ওনাদের একটা কলমের খোচা দিলেই আপনার ৩-৪ দিনের কাজ টি ১ দিনেই হয়ে যাবে।
১৮) EMERGENCY PATIENT:-
এর জন্য ইমার্জেন্সী টেস্ট এর ব্যবস্থা আছে।
এই টেস্টগুলোর কোন রিপোর্ট আপনি পাবেন না, টেস্টগুলো হয়ে গেলে অটমেটিক রিপোর্ট টা আপনার খাতায় চলে যাবে অর্থাৎ আপনার HOSPITAL NO. & যে ডাক্তারবাবুকে দেখাবেন সেই ডাক্তারবাবুর এর কাছেও চলে যাবে। তাই, প্রব্লেম এর কিছু নেই। রিপোর্ট পেতে হলে আলাদা করে এপ্লাই করতে হয়।
নিম্নে ডাঃ এপয়েন্টমেন্ট, ভিসা ইনভাইটেশন, বিমান টিকেট, ট্রেন টিকেট, ডাঃ এপয়েন্টমেন্ট
বাবদ কত খরচ পড়তে পারে তার একটা ধারণা দেওয়া হলোঃ-
#########################
ডাঃ এপয়েন্টমেন্টঃ-
জেনারেল ডাঃ =১০০০/= (সিএমসি-ভেলোর)
বিশেষজ্ঞ ডাঃ =১৬০০/= (সিএমসি-ভেলোর)
বিশেষজ্ঞ ডাঃ ১০০০/= (ভারতের যে কোন হাসপাতাল)
#########################
ভিসা ইনভাইটেশনঃ-
২০০০/= (সিএমসি হাসপাতাল )
১০০০/= (ভারতের যে কোন হাসপাতাল)
হোটেল বুকিং : ২৫০/= টু ৪৫০০/=
###################################
বিমান টিকেটঃ-
কোলকাতা – চেন্নাই ৪৩৯০/= টাকা বিমান টিকেট :
কোলকাতা – বেঙ্গালুরু ৫৫৯০/= টাকা বিমান টিকেট :
কোলকাতা – দিল্লি ৪৫৫০/= টাকা বিমান টিকেট :
কোলকাতা – মুম্বাই ৫৩৯০/= টাকা
(উপরে উল্লেখিত মুল্যে বিমান টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে কমপক্ষেত্রে ৪৫ দিন আগে বুকিং নিশ্চিত করতে হবে)
################################
ট্রেন টিকেটঃ-
কোলকাতা – ভেলোর ২৯৯০/= টাকা ট্রেন টিকেট :
কোলকাতা – চেন্নাই ২৯৯০/= টাকা ট্রেন টিকেট :
কোলকাতা – বেঙ্গালুরু ৩৯৯০/= টাকা ট্রেন টিকেট :
কোলকাতা – দিল্লি ৩৯৯০/= টাকা (রাজধানী এক্সপ্রেস)
ট্রেন টিকেট : কোলকাতা – মুম্বাই ৪৬৯০/= টাকা
(উপরে উল্লেখিত মুল্যে ট্রেন এর টিকেট ক্রয় করার ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২৫ দিন পুর্বে বুকিং নিশ্চিত করতে হবে এবং উল্লেখিত মুল্য 3AC সিট এর জন্য প্রযোজ্য)
সংগৃহীত।
ভারতের যে কোন হাসপাতালের
ডাঃ এপয়েন্টমেন্ট
ভিসা ইনভাইটেশন ,
ট্রেন ও বিমান টিকেট বুকিং
হোটেল ও লজ বুকিং
মেডিকেল ভিসা সংক্রান্ত কাজ করার জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান আছে।তাদের কারো সাথে যোগাযোগ করে গেলে ভাল হয়।