class="post-template-default single single-post postid-14179 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

যৌন মিলনের মুহূর্তে হার্ট অ্যাটাক, মৃত্যু মেধাবী ছাত্রীর

নেশায় বুঁদ হয়ে থাকত সে ৷ স্কুলেও যেত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ৷ মদ, কোকেন, মারিজুয়ানা-সহ নানারকম মাদকে আসক্ত ছিল মেধাবী ছাত্রীটি ৷ আর অতিরিক্ত নেশার জেরেই যৌন মিলনের সময় মাত্র ১৭ বছর বয়সে অকালে চলে গেল ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভ‌ুত উজ্জ্বল ছাত্রী পূরবী গিরি ৷

বার্মিংহামে ধনী ডাক্তার দম্পতির মেয়ে পূরবী। তাদের বিলাসবহুল বাড়ির মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ ইউরো। সেই বাড়িতেই বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত পূরবী ৷ যে সময় ঘটনাটি ঘটে তখন অবশ্য বাড়িতে কেউ ছিল না ৷ বাবা-মা কর্মস্থলে চলে যাওয়ায় একাই ছিল পূরবী ৷ স্কুল ছুটির সুযোগ নিয়ে ঘরে বয়ফ্রেন্ডকে ডেকে নেয় সে ৷ মৃত্যুর সময় নিজের ঘরেই ১৯ বছরের বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে মিলনে লিপ্ত হয়েছিল পূরবী ৷ অচমকাই জ্ঞান হারায় ৷ শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পূরবীর বাবা-মাকে ফোন করে খবর দেন তার বয়ফ্রেন্ড ৷ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় গুড হোপ হাসপাতালে ৷ এখানেই কাজ করেন পূরবীর বাবা, হিপ ও নি-রিপ্লেসমেন্ট সার্জন ডা. সীতারাম গিরি ৷ তিন সপ্তাহ সেখানে ভর্তি থাকার পর মৃত্যু হয় পূরবীর ৷

পূরবীর বয়ফ্রেন্ডকে আটক করে জেরা করে পুলিশ ৷ পূরবীর রক্ত ও মূত্র থেকে অত্যধিক কোকেনের উপস্থিতি মেলে ৷ কোকেনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেই হার্ট অকেজো হয়ে পূরবীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করে পুলিশ। জেরার পর প্রেমিককে ছেড়ে দেওয়া হয়।

দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় স্কুলের মধ্যে প্রথম হয়েছিল পূরবী। ‘এ’ গ্রেড-সহ স্টার মার্ক পাওয়া কিশোরীটি ব্রিটেনের নামজাদা কিং এডওয়ার্ড স্কুলের ছাত্রী ছিল। বন্ধ‌ুদের কথায়, নিয়মিত কোকেন, মদ, মাদকের নেশা করত পূরবী। অনেক সময় স্কুলেও মদ্যপান করে আসত। এমনকী বোর্ড পরীক্ষার আগেও নেশাও ডুবেছিল। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী হওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ পূরবীর এই অভ্যাসের জন্য কিছু বলত না বলে দাবি তার সহপাঠীদের একাংশের। মাদক নেওয়ার কারণে বোর্ড পরীক্ষার আগে পূরবীর যা অবস্থা হয়েছিল তাতে সে প্রায়ই স্কুলে অনুপস্থিত থাকত। ও যে পরীক্ষায় বসবে এবং এত ভাল রেজাল্ট করবে তা ভাবতেও পারেনি বন্ধ‌ুরা।

তবে পূরবীর মা, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. বিভা গিরি বলেন, “আমার সুন্দর, মেধাবী মেয়ের মৃত্যুতে গোটা পরিবার ভেঙে পড়েছি। কেউ কেউ না জেনে ওর নামে খারাপ অভ্যাসের কথা বলছে। তবে এমন কিছুই ও করত না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!