class="post-template-default single single-post postid-18689 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

হঠাৎ করে শিশু কেন মোটা হচ্ছে?

শিশু মোটা

হঠাৎ করে শিশু কেন মোটা হচ্ছে?

শিশুর ওজন কমে যাওয়া যেমন খারাপ, তেমনই ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়াও খারাপ। অনেক বাবা-মা জানেন না তাদের মোটা শিশুর ভবিষ্যৎ কতটা দুর্বিষহ। শুধু শারীরিক দিক দিয়েই নয়, সামাজিকভাবেও শিশুটি হয়ে ওঠে অনেকের কৌতুকের খোরাক।

ফলে সে সব সময় এক ধরনের মানসিক চাপের মধ্যে থাকে। এক শ্রেণীর বাবা-মা আছেন যারা সন্তানকে মোটা করার জন্য ব্যস্ত। তাদের ধারণা মোটা শিশু মানেই সুস্থ শিশু। এ ধরনের বাবা-মা সত্যিকার অর্থে তাদের সন্তানকে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।

স্থূলতা কখনোই সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয় বরং সুস্বাস্থ্যের জন্য এটা মারাত্মক ক্ষতিকর। শিশুর স্থূলতার ক্ষেত্রে তার নিজের চেয়ে বাবা-মায়ের ভূমিকা বেশি।

স্থূলতার কারণ:
বংশগত কারণে অনেক শিশু মোটা বা স্থূল হতে পারে। তবে মোটা হওয়ার প্রধান কারণ হলো শারীরিক পরিশ্রম কম করা এবং অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়া করা। কিছু কিছু অসুখের জন্যও শিশু মোটা হতে পারে। যেমন- থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্ষমতা লোপ, কুশিংস সিনড্রোম প্রভৃতি।

মোটা শিশুর কী কী সমস্যা হতে পারে?
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মতো স্থূল শিশুদেরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যেমন-

উচ্চ রক্তচাপ:

  • শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত অসুবিধা
  • পিত্তথলিতে পাথর
  • ডায়রিয়া
  • রক্তে কোলেস্টেরলের আধিক্য
  • হৃদরোগ
  • ডায়াবেটিস
  • অস্থিসন্ধির প্রদাহ
  • ক্লান্তি

স্থূলতা রোধের উপায় কী?

এ ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের ভূমিকাই প্রধান। তাদের খাদ্য ক্যালরি ও শারীরিক পরিশ্রম সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এবং সেই মতো শিশুর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যত্ন নিতে হবে।

১. খাবার দেবেন বুঝে শুনে

বাবা-মায়ের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে যাতে শিশু অতিরিক্ত মাত্রায় চর্বিযুক্ত খাবার না খায়। তাকে অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার কম এবং কম ক্যালরিযুক্ত খাবার বেশি দিতে হবে। শিশুকে তেল কিংবা ঘিয়ে ভাজা খাবার কম করে দিতে হবে। শিশুকে খাওয়াবেন নিয়ম করে। পরিমাণও নির্ধারণ করে দেবেন। মজাদার খাবার হলেই তা বেশি দেবেন এটা ঠিক নয়। অনেক খাবারে শিশুর আসক্তি জন্মাতে পারে এবং তা ক্ষতির কারণ হতে পারে।

২. শিশুকে ব্যায়াম করান

শারীরিক পরিশ্রম না করলে সে মোটা হতে বাধ্য। শিশু যত বেশি মোটা হবে ততই সে অলস হবে এবং তার কর্মস্পৃহা কমে যাবে। তাই শিশুদের বিভিন্ন খেলাধুলা ও ব্যায়াম করতে উৎসাহ দিতে হবে। শুধু খেলাধুলা ও ব্যায়াম নয়, গৃহস্থালির টুকিটাকি কাজেও তাদের অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। শিশুর জন্য ভালো ব্যায়াম হলো- দৌঁড়ানো, ফুটবল খেলা, সাঁতার কাটা, টেনিস খেলা।

 

https://www.youtube.com/watch?v=Geg0SPadJxM

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!