ক।প্রজনন কী ?
খ।পতঙ্গপরাগী ফুল বলতে কী বোঝ?
গ। উদ্দিপকের চক্রটির C থেকে E তে রুপান্তরে D এর কার্যকারিতা আলোচনা কর ।
ঘ।উদ্দিপকে নতুন প্রজাতি সৃষ্টিতে A এর ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।
ক।যে প্রক্রিয়ায় কোনো জীব তার বংশধর সৃষ্টি করে তাই প্রজনন।
খ।যে সকল ফুলে পতঙ্গের মাধ্যমে পরাগায়ন হয় সেগুলাই পতঙ্গপরাগী ফুল। পতঙ্গপরাগী ফুল বড়, রঙিন, সুগন্ধি, মধুগ্রন্থিযুক্ত এবং এর পরাগরেণু ও গর্ভমুণ্ড আঁঠালো সুগন্ধযুক্ত হয়। যেমন- জবা, সরিষা ইত্যাদি।
গ। উদ্দীপকে উল্লিখিত C, Eও D দ্বারা যথাক্রমে ফল ও বীজ, নতুন উদ্ভিদ এবং বাতাসকে দেখানো হয়েছে। উদ্দিপকের চক্রটি হলো উদ্ভিদের জীবন চক্র। উদ্ভিদের ফুলের পরাগরেণু গর্ভমুণ্ডে পতিত হয়ে পরাগায়ন সম্পন্ন করে। নিষেক পরবর্তী গর্ভাশয় ফলে এবং ডিম্বক গুলো বীজে পরিণত হয়। বীজগুলো ফুলের ভেতর পরিপক্ক হয়। এই বীজ থেকেই নতুন উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়। তবে বীজগুলো যদি মাতৃউদ্ভিদের নিচের ভূমিতে পতিত হয়, তাহলে পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং মাটি থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও পুষ্টি পাবে না। তাই উদ্ভিদগুলোতে বিভিন্ন পদ্ধতিতে বীজের বিস্তরণ ঘটে, তন্মধ্যে বাতাস একটি মাধ্যম। বাতাসের মাধ্যমে যে বীজগুলোর বিস্তরণ হয়। ফলে সহজেই বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে এবং দূরবর্তী স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। মাটিতে পতিত হওয়ার পর উপযুক্ত পরিবেশে বীজগুলোর অঙ্কুরোদগম হয় এবং নতুন উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়। যেমন- শিমুল গাছের ফল ফেটে গিয়ে বীজ উন্মুক্ত হয় এবং বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অতএব, বলা যায়, বীজ হতে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টিতে বাতাস অনন্য ভূমিকা পালন করে।
ঘ।উদ্দীপকে উল্লিখিত A পরাগায়ন প্রক্রিয়া। উদ্ভিদের নতুন প্রজাতি সৃষ্টিতে পরাগায়নের ভূমিকা অপরিসীম। ফুলের পরাগধানী থেকে পরাগরেণুর একই ফুলে অথবা একই জাতের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে পতিত হওয়াই পরাগায়ন। পরাগায়নের পরবর্তী ধাপ নিষেক। সুতরাং পরাগায়ন হলো ফল ও বীজ উৎপাদন প্রক্রিয়ার পূর্বশর্ত। পরাগায়ন দুই ধরনের, যথা- স্ব-পরাগায়ন এবং পর পরাগায়ন। স্ব-পরাগায়নে একই ফুলে বা একই গাছের দুটি ভিন্ন ফুলের মধ্যে পরাগায়ন ঘটে। এতে উৎপন্ন নতুন উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যের কোনো পরিবর্তন আসে না । প্রজাতির চরিত্রগত বিশুদ্ধতা বজায় থাকে। তবে জিনগত বৈচিত্র্য কম থাকে বলে নতুন প্রজাতি সৃষ্ট হয় না। অন্যদিকে, পর-পরাগায়নে একই প্রজাতির দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের ফুলের মধ্যে পরাগ সংযোগ ঘটে। এই পরাগায়নের ফলে জিনগত বৈচিত্র্য বেশি থাকে। এর ফলে উৎপন্ন নতুন উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হয় এবং বৈশিষ্ঠের সৃষ্টি হয়। এসব বিচিত্রতার কারণে নতুন প্রজাতির উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়। এই উদ্ভিদ গুলোর বীজের অঙ্কুরোদগমের হার বৃদ্ধি পায় বীজ অধিক জীবনীশক্তি সম্পন্ন হয়। এ আলোচনা থেকে বলা যায়, নতুন প্রজাতি সৃষ্টিতে পরপরাগায়নের তথা পরাগায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২।রেজা দীর্ঘদিন ইতালিতে থাকার পর দেশে ফিরে আসে।এসেই তার একটানা এক মাস ধরে জ্বর দেখা দেয় এবং দ্রুত ওজন কমতে থাকে। রক্ত পরীক্ষার পর জানতে পারে তার এক মরণব্যাধী রোগ দেখা দিয়েছে।
ক।জনন কোষ কি?
খ।ক্রনিক ব্রংকাইটিস কেনো হয়?
গ।রেজার রোগের কারনগুলো বর্ননা করো ।
ঘ।উদ্দিপকের রোগটির লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় আলোচনা করো ।
ক।জনন কাজে অংশগ্রহণকারী কোষ।
খ।শ্বাসনালীর ভিতরে আবৃত প্রদাহই ব্রংকাইটিস। একবার ব্রংকাইটিস হলে বারবার এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যদি কমপক্ষে একটানা তিন মাস কাশির সাথে কফ থাকে এবং এরকম অসুস্থতা পরপর দুই বছর দেখা যায় তবে সে রোগীর ক্রনিক ব্রংকাইটিস হয়ে থাকে।
গ।উদ্দীপকে উল্লিখিত রেজার মরণব্যাধি এইডস হয়েছে।যেসব কারনে রেজা এইডস আক্রান্ত হতে পারে:
- কোন মহিলার সাথে অনিরাপদ যৌন মিলনের মাধ্যমে।
- সেলুনে একই ব্লেড একাধিক জন ব্যবহার এর মাধ্যমে যদি HIV জীবাণু যুক্ত হয়।
- এইডস রোগীর রক্ত গ্রহণ করার মাধ্যমে।
- HiV জীবাণুযুক্ত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, সুঁচ, দন্ত চিকিৎসার যন্ত্রপাতি এবং অপারেশনের যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে।
- এইডস আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির অঙ্গ তার দেহে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে।
ঘ।উদ্দীপকের রোগটি এইডস রোগ। নিচে এর লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় আলোচনা করা হলো-
এইডসের লক্ষণ
দ্রুত রোগীর ওজন কমতে থাকে
এক মাসেরও বেশি সময়ব্যাপী একটানা জ্বর থাকে বা জ্বর জ্বর ভাব দেখা দেয়
একমাস বা তারও বেশি সময় ধরে পাতলা পায়খানা হয়
ঘাড় ও গলা ব্যথা অনুভূত হয়
মুখমণ্ডল খসখসে হয়ে যায়
মুখমণ্ডল, চোখের পাতা, নাক ইত্যাদি ফুলে যায়।
সারা দেহ চুলকানি হয়
এইডস রোগ প্রতিরোধের উপায়:
অনিরাপদ যৌন মিলন থেকে বিরত থাকা।
ব্যবহারের পূর্বে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, সুচ, দন্ত চিকিৎসার যন্ত্রপাতি এবং অপারেশনের যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করা।
রক্ত গ্রহণের পূর্বে রক্ত পরীক্ষা করা।
একই ব্লেড দিয়ে একাধিক ব্যক্তির শেভ না করা।
এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির অঙ্গ অন্য ব্যক্তির দেহে পরীক্ষা না করে প্রতিস্থাপন না করা।