Monday, December 23
Shadow

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান : ৫ম সপ্তাহ

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট (৫ম সপ্তাহ) প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান (৪র্থ সপ্তাহ) এখানে দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৮ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্ন বা নির্ধারিত কাজ (৪র্থ সপ্তাহ) ২৩ মে তারিখে প্রকাশিত হয়েছে, আর ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (dshe.gov.bd)। ১ম থেকে ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্টের নির্ধারিত কাজ বা প্রশ্ন এবং সমাধান বা উত্তর নিচে দেয়া হলো

 

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান : ৫ম সপ্তাহ

 

>> ৮ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে যে বিষয়ে : কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা ।
>> ৮ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে যেসব বিষয়ে : বিজ্ঞান এবং চারু ও কারুকলা ।
৮ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট : কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা

>> ৮ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বিষয়ের এসাইনমেন্ট / নির্ধারিত কাজ :
ক. বিদ্যালয়ের পাঠাগারে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছে।
খ. শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করছে।
গ. শ্রেণিতে শিক্ষক পাঠদান করছে।
ঘ. শিক্ষক বই বিতরণ করছেন।
এই চারটি অংকন করে কোনটি কায়িক শ্রম ও কোনটি মেধাশ্রম এবং কেন?

 

৮ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট

৮ম শ্রেণির কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বিষয়ের এসাইনমেন্টের সমাধান (৫ম সপ্তাহ) :

৮ম শ্রেণির কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বিষয়ের এসাইনমেন্টের সমাধান

৮ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট : বিজ্ঞান

ধারাবাহিক মূল্যায়নের লক্ষ্যে প্রকাশিত ৮ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান এবং চারু ও কারুকলা এ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীরা আগামী ২৭ মে ২০২১ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট বিষয় শিক্ষকের নিকট জমা দিবে।

class-8-Science-Assignment-4th-2021

অষ্টম শ্রেণীর জন্য কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ২০২১ শিক্ষাবর্ষ শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য প্রকাশিত অ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম অধ্যায় থেকে একটি নির্ধারিত কাজ দেয়া আছে। এটি ৮ম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিষয়ের প্রথম নির্ধারিত কাজ।

অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের পুনবিন্যাসকৃত সিলেবাসের আলোকে একটি প্রশ্ন নির্দেশনা অনুযায়ী লিখতে হবে।

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রম: এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-১
অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনাম প্রথম অধ্যায় : প্রাণি জগতের শ্রেণি বিন্যাস
পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তু: পাঠ -১ : প্রাণি জগতের শ্রেণি বিন্যাস, পাঠ ২-৫ : অমেরুদন্ডী প্রাণীর শ্রেণি বিন্যাস, পাঠ ৬-৮: মেরুদন্ডী প্রাণীর শ্রেণি বিন্যাস পাঠ -৯: শ্রেণি বিন্যাসের প্রয়ােজনীয়তা;

>> এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ (৪র্থ সপ্তাহ) : চিংড়ি, মৌমাছি, ফিতা কৃমি, সাপ, কাক, তারা মাছ, ঝিনুক, রুই মাছ, বিড়াল, হাইড্রা প্রাণীগুলাে থেকে যে কোনাে ৮টির পর্ব, বৈশিষ্ট্য ও বাসস্থান উল্লেখ করে একটি ছক তৈরি কর।

এগুলাের মধ্যে থেকে তােমার পরিচিত প্রাণীগুলাের কিরুপ প্রভাব তােমার জীবনে রয়েছে তা উল্লেখ কর।
সংকেত: ক) প্রভাব নিরূপনে উপকারী ও অপকারী উভয় দিক বিবেচনা করা;
নির্দেশনা: এ্যাসাইনমেন্টটি সম্পন্ন করতে পাঠ্যপুস্তকের প্রথম অধ্যায়ের পাঠগুলাে সমাপ্ত করতে হবে। ছক তৈরির ক্ষেত্রে ক্যালেন্ডারের উল্টোপাতা/পােষ্টার পেপার/চারটি সাদা কাগজ জোড়া দিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান : ৫ম সপ্তাহ

৮ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের বিজ্ঞান এসাইনমেন্টের উত্তর – Class 8 Science’s Assignment Answers :

উত্তর : চিংড়ি , মােমাছি , ফিতাকৃমি , সাপ , কাক , ঝিনুক , বিড়াল , রুই মছি ইত্যাদি প্রাণীগুলাের পর্ব , বৈশিষ্ট্য ও বাসস্থান নিম্নে উল্লেখ করা হলাে :

 

প্রাণীর নাম পর্ব বৈশিষ্ট বাসস্থান
চিংড়ি আথ্রোপােডা (Arthropoda) মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। দেহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত ও সন্ধিযুক্ত উপঙ্গ বিদ্যমান।
নরম দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত। দেহের রক্তপূর্ণ গহবর হিমােসিল নামে পরিচিত।
উপকারিতা : চিংড়ি মাছ আমাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করে থাকে।
অপকারিতা : কারাে কারো ক্ষেত্রে চিংড়ি মাছ খেলে এলার্জি জনিত সমস্যা হতে পারে।
এরা পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র সকল পরিবেশে বসবাস ঝরে। এদের বহু প্রাণী জ্বলে,
স্বাদু পানিতে ও সমুদ্রে বাস করে।
মৌমাছি আথ্রোপােডা (Arthropoda) মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। দেহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান।
নরম দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত। দেহের তনয় রক্তপূর্ণ গহবর হিমােমিল নামে পরিচিত।
উপকারিতা : মােমাছি সাহায্যে উৎপাদিত মধু আমাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করে থাকে। হতে পারে।অপকারিতা: মােমাছি কামড়ে বিষাক্ত জনিত ব্যথা হয়।
এরী পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র সকল পরিবেশে বসবাস করে। এদের বহু প্রাণী স্থলে ,
স্বাদু পানিতে ও সমুদ্রে বসি করে।
ফিতা কৃমি প্লাটিহেলমিনথেস (Platyhelminthes) বৈশিষ্ট্য: দেহ চ্যাপ্টা , উভলিঙ্গ। এরা বহিঃপরজীবী ও অন্তঃপরজীবী। পুরাে কিউটিকল দ্বারা আবৃত থাকে
দেহে চোষক ও আংটা থাকে। দেহে শিখা অঙ্গ নামে বিশেষ অঙ্গ থাকে। এগুলাে রেচন অঙ্গ হিসাবে কাজ করে। পৌষ্টিকতন্ত্র অসম্পূর্ন বা অনুপস্থিত।
উপকারিতা : ফিঅকৃমির কোন উপকারিতা নেই।
অপকারিতা : ফিতাকৃমি দেহে বমি বমি ভাব , পেট ব্যথা ইত্যাদি সৃষ্টি করতে পারে।
বাসস্থান: এই পর্বের বহু প্রজাতির বহিঃপরজীবী , অন্তঃপরজীবী হিসেবে
অনজীব দেহের বাইরে বা ভিতরে বসবাস করে। এ পর্বের কিছু প্রজাতি
মুক্তজীবী হিসেবে স্বাদু পানিতে আবার কিছু প্রজাতি লবণাক্ত পানিতে বাস করে।
তবে এ পর্বের কোনাে কোনো প্রাণী ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে মাটিতে বাস করে।
সাপ কর্ডাটা (Chordata) এর সরীসৃপ (Reptilia) বৈশিষ্ট্য: বুকে ভর করে চলে। ত্বক শুষ্ক ও আঁশযুক্ত। চারপায়েই পাঁচটি করে নখর যুক্ত আঙ্গুল আছে।
উপকারিতা: ধান ক্ষেতের ইদুর এবং ক্ষতিকর পােকা দমন সপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
উপকারিতা: সাপের কামড়ের ফলে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।
বাসস্থান: এরা বৃক্ষবাসী , মরুবাসী , মেরুবাসী , গুহাবাসী,
খেচর ইত্যাদি হয়ে থাকে।
কাক  পর্ব: কর্ডাটা (Chordata) এর পক্ষীকুল (Aves ) বৈশিষ্ট্য: দেহ পালকে আবৃত। দুটি ডানা , দুটি পা ও একটি চঞ্চ আছে। ফুসফুসের সাথে
বায়ুথলি থাকায় সহজে উড়তে পারে । এরা উষ্ণ রক্তের প্রাণী। হাড় শক্ত , হালকা ও ফাপা।
উপকারিতা: কাক পরিবেশের ময়লা আবর্জনা খেয়ে পরিবেশকে দূষণমুক্ত করে।
অপকারিতা: কাক মানুষের উৎপাদিত বিভিন্ন ফল গছি থেকে খেয়ে নষ্ট করে ফেলে।
বাসস্থান: এরা বৃক্ষবাসী। উপকারিতা: কাক পরিবেশের ময়লা
আবর্জনা খেয়ে পরিবেশকে দূষণমুক্ত করে। অপকারিতা: কাক মানুষের উৎপাদিত বিভিন্ন ফল গছি থেকে খেয়ে নষ্ট করে ফেলে।
ঝিনুক  পর্ব: মলাস্কা (Mollusca) বৈশিষ্ট্য: দেহনরম । নরম দেহটি সাধারণত শক্ত খােলস দ্বারা আবৃত থাকে। পেশীবহুল পা দিয়ে এরা চলাচল করে। ফুসফুস বা ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
উপকারিতা: সবুজ ঝিনুক পেশি , টিস্যু ও কোশকে চাঙ্গা করে তােলে , যা স্নায়ুর বিকাশে সহায়ক।
অ্যাস্থমা রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ঝিনুকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় এটি বাতের ব্যথা ও শরীরের স্টিফনেস সারাতে সায়ক। দেহের প্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়িতে তুলতে ঝিনুক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অপকারিতা: পাচনতন্ত্র এবং প্লীহা রােগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ঝিনুক মারাত্মক ধরনের সমস্যা হওয়ার ভয় থাকে।
বাসস্থান: এদের প্রায় সবাই সামুদ্রিক এবং সাগরের বিভিন্ন
স্তরে বাস কয়ে। তবে কিছু কিছু প্রজাতির পাহাড়ি
অঞ্চলে বন – জঙ্গলে ও স্বাদু পানিতে বাস করে।
রুই মাছ  পর্ব: কর্ডাটা (Chordata) বৈশিষ্ট্য: অধিকাংশই স্বাদু পানির মছি। মাথার দুই পাশে ৪ জোড়া ফুলকা থাকে। ফুলকাগুলাে
কানকো দিয়ে ঢাকা থাকে। ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
উপকারিতা: রুই মছি আমাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য করে। প্রতিরোধ কম্বেস্তিয়ৱীৱজরাবা ব্যাকটেরিয়ায়
অপকারিতা: অতিরিক্ত মাছ খেলে রােগ কমে গিয়ে শরীর ভাইরাস বা আক্রান্ত হতে পারে,
হতে পারে রোগ সংক্রমণ।
বাসস্থান: স্বাদু পানি , সমুদ্র ইত্যাদি।
বিড়াল পর্ব : স্তন্যপায়ী (Mammalia) বৈশিষ্ট্য: দেহ লােমে আবৃত থাকে। উষ্ণ রক্তের প্রাণী। চোয়ালে বিভিন্ন ধরনের দাঁত থাকে।
হৃদপিণ্ড চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।
অপকারিতা: বিড়ালের আঁচড়ে কামড়ে বিভিন্ন রকমের রােগের সৃষ্টি হতে পারে।
আর এইভাবে উপরােক্ত আলােচনার মত আমাদের জীবনে এসকল পরিচিত প্রাণীগুলাে
বিভিন্ন রকম প্রভাব ফেলে।
বাসস্থান: এরা স্থলে বসবাস করে।উপকারিতা: বিড়াল
ঘরের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাহায্য করে।

 

 

 

 

৮ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট : চারু ও কারুকলা – Class 8 Arts and crafts assignment answers – 4th week :

 

৮ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট চারু ও কারুকলা

২০২১ শিক্ষাবর্ষের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমে অষ্টম শ্রেণীর চতুর্থ সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত কারণে চারু ও কারুকলা বিষয় থেকে একটি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে।

চারু ও কারুকলা এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রম-১ :

অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনাম প্রথম অধ্যায় : বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকলা ও ঐতিহ্যের পরিচয়;

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তু পাঠ: ১ ও ২ বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকলার পরিচয়, পাঠ: ৩ জীবন যাপনে চারু ও কারুকলা;
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ : গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে কারুশিল্পের ব্যবহার এবং তার নান্দনিক দিকগুলি মূল্যায়ন কর।

সংকেত :

০১। কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে কারুশিল্পের ব্যবহার করা হয় তা চিহ্নিত কর। (যেমন: কুলা, ডালা)
০২। কী কী উপকরণ ও কীভাবে নান্দনিক রূপ দেয়া হয় তা’ উল্লেখ কর।

নির্দেশনা: তােমার দেখা কোন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতার আলােকে লিখ।

অতি উত্তম: • পাঁচ/ছয়টি উপকরণের নাম উল্লেখ করতে পারা • পাঁচ/ছয়টি উপাদানের নান্দনিক রূপ দেওয়ার প্রক্রিয়ার বর্ণনা দিতে পারা। • ধারণা প্রকাশে স্পষ্ট ভাষা ব্যবহার ও ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারা।

উত্তম: • তিন/চারটি উপকরণের নাম উল্লেখ করতে পারা • তিন/চারটি উপাদানের নান্দনিক রূপ দেওয়ার প্রক্রিয়ার বর্ণনা দিতে পারা। • ধারণা প্রকাশে স্পষ্ট ভাষা ব্যবহার ও ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারা।

ভাল: • অন্তত দুইটি উপকরণের নাম উল্লেখ করতে পারা। • অন্তত দুইটি উপাদানের নান্দনিক রূপ দেওয়ার প্রক্রিয়ার বর্ণনা দিতে পারা। • ধারণা প্রকাশে ভাষা ব্যবহারে কিছুটা অস্পষ্টতা থাকা;

অগ্রগতি প্রয়ােজন: • অন্তত দুইটি উপকরণের নাম উল্লেখ করতে পারা। • উপাদানের নান্দনিক রূপ দেওয়ার প্রক্রিয়ার বর্ণনা অসম্পূর্ণ • ধারণা প্রকাশে ভাষা ব্যবহারে কিছুটা অস্পষ্টতা থাকা;

৮ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্টের উত্তর – Class 8 Arts and crafts’ Assignment Answers :

>>> গায়ে হলুদ বাঙালি জাতির বহুল প্রচলিত উৎসবের মধ্যে একটি। এই উৎসব বহু কাল বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। আর গায়ে হলুদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো হলুদ  যা ছাড়া গায়ে হলুদ কল্পনা করা যায় না। এছাড়াও বিভিন্ন জিনিসপত্রে করা হয় কারুশিল্পের ব্যবহার এবং নান্দনিকভাবে জিনিসগুলোকে ফুটিয়ে তোলা হয়। আমার দেখা গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যে সব উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল সেগুলো হলো:
১.কুলা, ২. ডালা, ৩. বাটি, ৪. ফলমূল, ৫. গায়ে হলুদের পোশাক, ৬. গায়ে হলুদ নেমপ্লেট ইত্যাদি।
উপরিক্ত জিনিসগুলোর নানা রকম কারুকাজ করে নান্দনিক রূপ দেয়া হয়ে থাকে। নিচে যেভাবে জিনিসপত্র গুলোতে নানারকম কারুকাজ করে নান্দনিক রূপ দেয়া তা বর্ণনা করা হলো :

ডালা :  হলুদের ডালা দিয়েই শুরু হয় বিয়ের প্রথম পর্ব। আর সেখানে থাকে বর-কনেকে দেয়া উপহার সামগ্রী সহ আরো অনেক কিছু। প্রথমদিকে শুধু বেতের ঢালাই প্রচলন ছিল। এখন সুদৃশ্য পলি অথবা কাপড় দিয়ে মোড়া বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর ডালা পাওয়া যায়। সঙ্গে লেইস ফিতা জড়িয়ে ডালায় আনা হচ্ছে নতুনত্ব। মাছের ও পোশাকের ডালা রঙিন সেলোফেন পেপার এবং নানা রঙের নেটের কাপড় পেচিয়ে চারপাশে সোনালী রঙের ফিতা দিয়ে বেঁধে সাজানো হয়। ফলে এটি সুন্দর দেখায়।
কুলা : এখনকার বিয়ের গায়ে হলুদের কুলায় থাকে নতুনত্ব। যেখানে কুলা থাকে বিভিন্নভাবে নকশাময়। কুলার চারদিক বিভিন্ন রংয়ের কাপড় দিয়ে মোড়ানো থাকে এবং ভিতরে বিভিন্ন পাতা, ফুল ইত্যাদি নকশা করা থাকে যা দেখতে অনেক সুন্দর।
গায়ে হলুদের পোশাক : আমাদের দেশের গায়ে হলুদের প্রচলিত পোশাকের মধ্যে রয়েছে হলুদ পাঞ্জাবি এবং হলুদ রংয়ের শাড়ি। আত্মীয়-স্বজনরা কমবেশি সবাই হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে যাতে লতাপাতা ইত্যাদির কিছু কারুকাজ থাকে এবং শাড়ির ক্ষেত্রে মেয়েদের সাথে কনেও হলুদ শাড়ি পড়ে। হলুদের শাড়ির পাড় হয় সাধারণত লাল যাতে কিছু কাজও করা থাকে। তবে বরের হলুদে সে গেঞ্জি এবং লুঙ্গি পড়ে থাকে।
গায়ে হলুদ নেমপ্লেট : বর ও কনে উভয় পক্ষের গায়ে হলুদে বর বা কনের নাম অনুসারে নেমপ্লেট টাঙ্গানো হয়। যা বিভিন্ন ভাবে ডিজাইন করা হয়, সেখানে থাকে গায়ে হলুদের সাজ এবং গায়ে হলুদ লেখায় বৈচিত্রতা।
ফলমূল : গায়ে হলুদে বর-কনের সামনে বিভিন্ন ফলমূল যেমন কলা, আপেল, আঙ্গুর ইত্যাদিতে কারুকাজ করা হয়। এসব ফল নানাভাবে কেটে তাতে নতুন রূপ দেওয়া হয় যা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।


তৃতীয় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট : ২০২১ সালের অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট প্রশ্ন বা নির্ধারিত কাজ (৩য় সপ্তাহ) গত ৩১ মার্চ প্রকাশিত হয়েছে। ৮ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে যেসব বিষয়ে : কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও গণিত। এসব এসাইনমেন্টের প্রশ্ন ও সমাধান এখানে দেয়া হলো।

২০২১ সালের অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট প্রশ্ন বা নির্ধারিত কাজ (৩য় সপ্তাহ) - গণিত, কৃষি ও গার্হস্থ্য - Class 8 Assignment - 3rd Week - Math - Agriculture - Home Science
Class 8 Assignment – 3rd Week – Math – Agriculture – Home Science

অষ্টম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্টের সমাধান – তৃতীয় সপ্তাহ :

(ক) প্যাটার্নের চতুর্থ চিত্রটি তৈরি করে রেখাংশের সংখ্যা নির্ণয় কর।

  • ১ম চিত্রে রেখাংশ সংখ্যা ৪
  • ২য় চিত্রে রেখাংশ সংখ্যা ১০
  • ৩য় চিত্রে রেখাংশ সংখ্যা ১৬
  • ৪র্থ চিত্রে রেখাংশ সংখ্যা ২২

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান : ৫ম সপ্তাহ

(খ) উল্লেখিত প্যাটার্নটি কোন বীজ গণিতীয় রাশিকে সমর্থন করে তা যুক্তিসহ উপস্থাপন কর।

লক্ষ করলে দেখা যায় যে, প্রদত্ত জ্যামিতিক চিত্রগুলাে একটি বীজগণিতীয় রাশি অনুসরণ করে আসছে। যা পরবর্তী চিত্র তৈরির জন্য রেখাংশের সংখ্যা প্রতিটি প্যাটার্নের শেষে বীজগণিতীয় রাশি (৬ক – ২) অনুসরণ করে।

এখানে,            ক = ১ হলে, ৬ক – ২ = ৬ X ১ – ২ = ৪
ক = ২ হলে, ৬ক – ২ = ৬ X ২ – ২ = ১০
ক = 3 হলে, ৬ক – ২ = ৬ X ৩ – ২ = ১৬।
ক = ৪ হলে, ৬ক – ২ = ৬ x ৪ – ২ = ২২

অতএব,প্যাটার্ন বীজগণিতীয় রাশি (৬ক – ২) অনুসরণ করে।

(গ) উল্লেখিত প্যাটার্নটির প্রথম ২০টি চিত্র তৈরি করতে মােট কতটি রেখাংশ দরকার হবে- তা নির্ণয় কর।

‘খ’ হতে প্রাপ্ত রাশিটির,
১ম ও ২য় পদ যথাক্রমে ৪ ও ১০

৩য় ও ৪র্থ পদ যথাক্রমে ১৬ ও ২২

এখন, রাশিটির ২০ তম পদ = ৬ x ২০ -২ = ১২০ – ২ = ১১৮

মনে করি,

রাশিটির প্রথম ২০ পদের সমষ্টি =(ক)

সুতারাং ক =8+ ১০ + ১৬ + ২২ + ……….. +১১৮


ক = ১২২০

উত্তর : প্যাটার্নের প্রথম ২০টি চিত্র তৈরি করতে ১২২০টি  রেখাংশ দরকার হবে।

অষ্টম শ্রেণির কৃষি বিজ্ঞান এসাইনমেন্টের উত্তর – তৃতীয় সপ্তাহ :

প্রশ্ন : রুমির বাবা একজন কৃষি বিজ্ঞানী। তিনি মিষ্টি ও উচ্চফলনশীল আমের একটি জাত উদ্ভাবন করেন যা বারি-৪ নামে মাঠ পর্যায়ে সফলভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। গত ১৬ই ডিসেম্বর ২০২০ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর এই অবদানের জন্য তাঁকে রাষ্ট্রপতি পদক প্রদান করে সম্মানিত করেন। রুমির বাবার এমন সম্মান প্রাপ্তির পিছনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলাে তার মনে যে আলােড়ন সৃষ্টি করেছে সে ব্যাপারে তােমার সুচিন্তিত মতামত উল্লেখ কর?
১. ধান, পাট, গম, আখ, চাষযােগ্য কৈ মাছ, মিষ্টি জাতের আম, মাল্টা ইত্যাদি উদ্ভাবনে কাদের নিরলস পরিশ্রম ও গবেষণায় অবদান রয়েছে?
২. কোন কোন প্রতিষ্ঠান গবেষণার মাধ্যমে এসব নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন?
৩. ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান (BRRI) থেকে ধানের কোন কোন জাত উদ্ভাবন করেছেন?
৪. কৃষিবিজ্ঞানীরা ধানছাড়াও অন্যান্য কি কি জাত উদ্ভাবন করেছেন-যা কৃষকেরা মাঠে চাষাবাদ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন?
৫. এ সমস্ত কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে মানুষের কোন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে?

১ নং প্রশ্নের উত্তর : ধান, পাট, গম, আখ , চাষযােগ্য কৈ মাছ , মিষ্টি জাতের আম , মাল্টা ইত্যাদি উদ্ভাবনে কৃষিবিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রম ও গবেষণায় অবদান রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ৮৮ টি ইনব্রিড। ও ৬ টি উচ্চফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। পরমাণু শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৮ টি গুরুত্বপূর্ণ। ফসলের মােট ১০৮ টি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাঞ্চন করেছে এবং দেশের কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে অবদান রেখে চলছেন ।

২ নং প্রশ্নের উত্তর : আমাদের দেশের বিভিন্ন গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে এসব নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। । কষিতে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে গবেষণার জন্য। উন্নত দেশের মতাে আমাদের দেশেও বিভিন্ন গবেষণা। ইনস্টিটিউট রয়েছে। এসব ইনস্টিটিউট ও প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞানীরা কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযােগ্য অবদান রেখে চলেছেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ।
যা ১০৩ টিরও বেশি ফসলের কৃষি বিষয়ক গবেষণা | কার্যক্রম পরিচালক্ষ করে । প্রতিষ্ঠানটি গাজীপুরের।
জয়দেবপুরে অবস্থিত। বর্তমানে বাংলাদেশের চারটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি পূর্ণাঙ্গ ভেটেরিনারি | বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে। প্রায় সকল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি বিজ্ঞান পড়ানাের পাশাপাশি | শিক্ষকগণ গবেষণা করে থাকেন। তাদের গবেষণায় প্রাপ্ত উন্নত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি সম্পর্কে কষি। সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা কৃষকদেরকে অবহিত করেন।

৩ নং প্রশ্নের উত্তর : বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে প্রতিকুল ও অপ্রতিকূল পরিবেশ উপযােগী উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন । বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এই পর্যন্ত ১০৬ টি (৯৯ টি ইনব্রিড ও ৭ টি হাইব্রিড) উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। তম্মধ্যে । বন্যার শেষে ধান চাষের জন্য বিলম্ব জাত হিসেবে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কিরণ ও দিশারি’ নামের দুইটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে ।

৪ নং প্রশ্নের উত্তর :  কৃষিবিজ্ঞানীরা ধানছাড়াও অন্যান্য যে যে জাত উদ্ভাবন করেছেন- যা কষকেরা মাঠে চাষাবাদ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা। | নিচে বর্ণনা করা হল। ফুলের পরাগায়নের সময়। পিতৃগাছের গুণাগুণ যুক্ত হওয়ার সুযােগ থাকে কিন্তু | অঙ্গজ প্রজননে সে আশঙ্কা থাকে না । ফসলের বীজ | ও নতুন নতুন জাত উন্নয়ন , বীজ সংরক্ষণ, রােগ। -বালাইয়ের কারণ সনাক্তকরণ, ফসলের পুষ্টিমান। বাড়ানাে- এ সকল কাজই কৃষিবিজ্ঞানীরা করে থাকেন বিজ্ঞানীদের পরামর্শে কৃষকেরা কলা, আম, লিচু, কমলা , গােলাপ ইত্যাদির উৎপাদনে অঙ্গজ প্রজনন । ব্যবহার করে থাকেন । কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলাে কৃষকরা গ্রহণ করেছেন বলেই উচ্চ ফলনশীল ধান, গম, ভুট্টা, যব এইসব শস্যের উৎপাদনশীলতা আগের তুলনায় অনেক গুন বেড়ে গিয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের ফুল, ফল , শাকসবজি ও বৃক্ষ বিদেশ থেকে এনে এদেশের কৃষিতে সংযােজন করেছেন। এগুলাের সাথে সংকরায়ন করে দেশীয় পরিবেশ সহনীয় নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন, | যেগুলাে এ দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ।

৫ নং প্রশ্নের উত্তর : কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয় । কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীল্পি অন্যতম চালিকাশক্তি । জীবন জীবিকার পাশাপাশি আমাদের সার্বিক উন্নয়নে কৃষি । ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে আছে। তাই কষির উন্নয়ন মানে | দেশের সার্বিক উন্নয়ন। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ । এদেশে শতকরা ৭৫ ভাগ লােক গ্রামে বাস করে। বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় ৫৯.৮৪% লােকের এবং শহর এলাকায় ১০.৮১ % লােকের কৃষিখামার রয়েছে। মােট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে কৃষিখাতের। অবদান ১৯.১% এবং কৃষিখাতের মাধ্যমে ৪৮.১% , মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। ধান, পাট, তুলা , আখ, ফুল ও রেশমগুটির চাষসহ বাগান সম্প্রসারণ , মাছ চাষ , সবজি চাষাবাদ ও পােস্টি, ডেইরী ও মৎস্য খামার করে মানুষ দিনকে দিনকে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। । দেশে পােষ্ট্রি একটি শিল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং বাজারে মাছের একটা বড় অংশ এখন আসছে চাষকৃত মাছ থেকে। দেশ অজি চালে উদ্বৃত্ত; ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ ।

নিবিড় চাষের মাধ্যমে বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত এবং বিশ্বে সপ্তম । দেশে ফল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম এবং পেয়ারায় অষ্টম । কৃষি উৎপাদনের এই অগ্রগতি গ্রামীণ মানুষের জীবনধারায় পরিবর্তন এনেছে। উৎপাদনে বৈচিত্র্য বেড়েছে, সেই সাথে প্রতিযােগীতা। বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে পুঁজির ব্যবহার । মাছি, মুরগি ও ডিম উৎপাদন প্রায় শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । তাই বলা যায়, এ সমস্ত কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে বেকার মানুষের কৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের


৮ম শ্রেণির ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট : ইংরেজি এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

৮ম শ্রেণির ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে যেসব বিষয়ে : ইংরেজি এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়।

Class-8 English Assignment Answer (2nd week 2021)

Question : Lesson 4: Our ethnic friends(2) Suppose, you have a foreign friend who is very curious to know about the ethnic people of your country. Now, prepare a fact file on them. You can tell about their dress, food, culture, sports and pastimes in 200 words. Use narratives, images, pictures, tables, or information as needed.

Answer :
Ethnic People of Bangladesh :
Ethnic group means one kind of tribe or community of people. They are different from us. Their religion is different from ours. They are a very important part of the culture of our country. They have different cultures and traditions.

Their clothes, jewelry, cooking, and eating habit are different from ours. Several ethnic groups live in Bangladesh. Among the ethnic people, the most well-known are the Chakma, the Marma, the Tipperary, the Hajang, the Gator, the Manipuri, and the Santal.

The majority of those people live in the Chittagong Hill Tracts. Some of them live in some regions of Mymensingh, Rajshahi, Bhola, and Sylhet. They practice Jhum cultivation. By religion, they are Hindus, Christians, or Buddhists. They speak their own mother tongue. Ethnic People of Bangladesh have some common characteristics, they have their own lifestyles.

They build their houses on bamboo or wooden platforms. Rice is their staple food. Men wear lungi and women wear this or sarongs and angles. Women weave their own clothes generally. Hunting and fishing are their favorite pastimes. They are fond of songs, music, dances, theatre, and fairs.

Traditional musical instruments used are bugles made from buffalo horns, drums bamboo flutes. Wrestling is a popular sport for them. Ethnic people play an important role in our culture and tradition.

৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট : ২য় সপ্তাহের ২০২১ :

প্রশ্ন : ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত যে ।কোনাে ১০টি উল্লেখযােগ্য ঘটনার সময়কালসহ একটি পােস্টার তৈরি কর।
সংকেত: ১। সাল উল্লেখ ২। ঘটনার বর্ণনা ৩। উপস্থাপনায় বৈচিত্র্য।

উত্তর : ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দশটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার সচিত্র পোস্টার

ভূমিকা : স্বাধীন বাংলার ইতিহাস অনেক দীর্ঘ; ঔপনিবেশিক যুগ থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন পর্যন্ত বাঙ্গালীর আন্দোলনের নানা ইতিহাস রয়েছে। বিভিন্ন সময় নিজেদের অধিকার বাস্তবায়নে শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে জনতা। আজ আমরা ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দশটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার সচিত্র পোস্টার এর মাধ্যমে বাংলা স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন ঘটনা বাস্তব চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

পলাশীর যুদ্ধ (১৭৫৭ সাল)

পলাশীর যুদ্ধ (১৭৫৭ সাল), ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দশটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার সচিত্র পোস্টার
পলাশীর যুদ্ধ (১৭৫৭ সাল)

পলাশীর যুদ্ধ ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এর মধ্যে সংঘটিত। এ যুদ্ধ আট ঘণ্টার মতো স্থায়ী ছিল এবং প্রধান সেনাপতি মীরজাফর আলী খানের বিশ্বাসঘাতকতার দরুণ নওয়াব কোম্পানি কর্তৃক পরাজিত হন।

এ যুদ্ধের রাজনৈতিক ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী ও ধ্বংসাত্মক এবং এ কারণে যদিও এটি ছোট খাট দাঙ্গার মতো একটি ঘটনা ছিল, তবু এটিকে যুদ্ধ বলে বাড়িয়ে দেখানো হয়। এর ফলে বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্য বাংলা অনেকটা স্প্রিং বোর্ডের মতো কাজ করে, যেখান থেকে ক্রমান্বয়ে ব্রিটিশ শক্তি আধিপত্য বিস্তার করে করে অবশেষে সাম্রাজ্য স্থাপনে সক্ষম হয়।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্য প্রায় সমগ্র ভারতবর্ষ গ্রাস করে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে এশিয়ার অন্যান্য অনেক অংশও এর অধীনস্থ হয়।

দ্বৈত শাসন (১৭৬৫ সাল)

১৭৬৫ সালে লর্ড ক্লাইভ বাংলার নবাব থেকে দেওয়ানি সনদ প্রাপ্ত হলে যে শাসন প্রণালীর উদ্ভব হয়, তা ইতিহাসে দ্বৈত শাসন নামে পরিচিত।

দ্বৈত শাসন (১৭৬৫ সাল), ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দশটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার সচিত্র পোস্টার
দ্বৈত শাসন (১৭৬৫ সাল)

মীর জাফরের মৃত্যুর পর লর্ড ক্লাইভ ১৭৬৫ সালে মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলোমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে। এ সময় কিছু শর্ত সাপেক্ষে মীরজাফরের পুত্র নাজিম উদ্দৌলা বাংলার সিংহাসনে বসানো হয়।

শর্ত মোতাবেক নাজিম-উদ-দৌলা তাঁর পিতা মীর জাফরের ন্যায় ইংরেজদের বিনা শুল্কে অবাধ বাণিজ্য করার সুযোগ দেবেন এবং দেশীয় বণিকদের অবাধ বাণিজ্যের সুবিধা বাতিল করবেন।

এই ব্যবস্থার ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠে এবং বাংলার নবাব সামান্য বৃত্তিভোগী কর্মচারীতে পরিণত হন।

১৭৭২ সালে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস কর্তৃক বাতিল হয়।

ছিয়াত্তরের মন্বন্তর (১৭৭০ সাল)

ছিয়াত্তরের মন্বন্তর (১৭৭০ সাল), ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দশটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার সচিত্র পোস্টার
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর (১৭৭০ সাল)

দুর্ভিক্ষ হল কোন এলাকার ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি। সাধারনত ফসলহানি, যুদ্ধ, সরকারের নীতিগত ব্যর্থতা ইত্যাদি কারণে দুর্ভিক্ষ সংগঠিত হয়।

এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, গবাদিপশুর মড়ক, পোকাড় আক্রমন ইত্যাদি কারণেও দুর্ভিক্ষ সংগঠিত হয়। ১৭৭০ সালে বাংলাদেশে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল।

সময়টি বাংলা ১১৭৬ সাল হওয়ায় এই দুর্ভিক্ষ ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত হয়। অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সমগ্র দেশজুড়ে চরম অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়।

ত্রুটিপূর্ণ ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা ও খাদ্যবাজারে দালাল ফড়িয়া শ্রেনীর দৌরাত্ম্যের ফলে অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে পড়ে।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত(১৭৯৩ সাল)

"<yoastmark
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত (১৭৯৩ সাল)

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত  ১৭৯৩ সালে কর্নওয়ালিস প্রশাসন কর্তৃক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার ও বাংলার ভূমি মালিকদের (সকল শ্রেণির জমিদার ও স্বতন্ত্র তালুকদারদের) মধ্যে সম্পাদিত একটি স্থায়ী চুক্তি।

এর প্রবক্তা লর্ড কর্নওয়ালিস। এ চুক্তির আওতায় জমিদার ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ভূ-সম্পত্তির নিরঙ্কুশ স্বত্বাধিকারী হন।

জমির স্বত্বাধিকারী হওয়া ছাড়াও জমিদারগণ স্বত্বাধিকারের সুবিধার সাথে চিরস্থায়ীভাবে অপরিবর্তনীয় এক নির্ধারিত হারের রাজস্বে জমিদারিস্বত্ব লাভ করেন।

চুক্তির আওতায় জমিদারদের কাছে সরকারের রাজস্ব-দাবি বৃদ্ধির পথ রুদ্ধ হয়ে গেলেও জমিদারদের তরফ থেকে প্রজাদের ওপর রাজস্বের দাবি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ আরোপিত হয় নি।

জমিদারদের জমি বিক্রয়, বন্ধক, দান ইত্যাদি উপায়ে অবাধে হস্তান্তরের অধিকার থাকলেও তাদের প্রজা বা রায়তদের সে অধিকার দেওয়া হয়নি।

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান : ৫ম সপ্তাহ

শ্রীরামপুরে মুদ্রণযন্ত্র স্থাপন (১৮২১ সাল)

শ্রীরামপুরে মুদ্রণযন্ত্র স্থাপন (১৮২১ সাল)

বাংলার নবজাগরণের  ক্ষেত্রে  শ্রীরামপুরে প্রতিষ্ঠিত মুদ্রণযন্ত্রের ভূমিকা ছিল অনন্য। ১৮২১ সালে শ্রীরামপুরে মুদ্রণযন্ত্র

স্থাপন বাংলার মানুষের মনকে মুক্ত করা ও জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

এতে বই-পুস্তক ছেপে জ্ঞানচর্চাকে শিক্ষিত ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার পথ সুগম হয়। এ সময় অনেকে বাংলা ভাষায় সংবাদপত্র প্রকাশ করে জনমত সৃষ্টিতে এগিয়ে আসেন।

"<yoastmark
সিপাহি বিদ্রোহ (১৮৫৭ সালের ১০ মে)

সিপাহি বিদ্রোহ (১৮৫৭ সালের ১০ মে)

১৮৫৭ সালের ১০ মে সিপাহি বিদ্রোহ বা সৈনিক বিদ্রোহ মিরাট শহরে শুরু হওয়া ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর সিপাহিদের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ।

যার মধ্যে আলেম ওলামাদের অবদান অপরিসীম। ক্রমশ এই বিদ্রোহ গোটা উত্তর ও মধ্য ভারতে (অধুনা উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উত্তর মধ্যপ্রদেশ ও দিল্লি অঞ্চল ) ছড়িয়ে পড়েছিল।

এই সব অঞ্চলে বিদ্রোহীদের দমন করতে কোম্পানিকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। সিপাহি বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ, মহাবিদ্রোহ, ভারতীয় বিদ্রোহ, ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।

বঙ্গীয় আইন সভা (১৮৬১ সাল)

বঙ্গীয় আইন সভা (১৮৬১ সাল)

বঙ্গীয় আইন সভা (Bengal Legislative Assembly) ভারত শাসন সংক্রান্ত ধারাবাহিকভাবে সাংবিধানিক সংস্কারের চূড়ান্ত  পরিণতি স্বরূপ গঠিত হয়েছিল।

১৮৬১ সাল থেকে শুরু করে ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন প্রণয়ন পর্যন্ত শাসন সংস্কারের শেষ পর্যায় হিসেবে বঙ্গীয় আইন সভার আত্মপ্রকাশ।

১৯৩৫ সালের আইনে বলা হয় যে, ব্রিটিশ ভারতের সকল প্রদেশের সাংবিধানিক পরিষদ প্রাপ্ত বয়স্কদের দেয়া ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত হবে।

১৯৩৭ সালের সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেমব্লির যাত্রা শুরু।

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান : ৫ম সপ্তাহ

বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর)

বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর)

উপমহাদেশে ব্রিটিশদের শাসনতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা বঙ্গভঙ্গ। ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড জর্জ ন্যাথানিয়েল কার্জন শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থে তৎকালীন বাংলা প্রেসিডেন্সিকে ভেঙ্গে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ  নামে দুটি নতুন প্রদেশে বিভক্ত করেন।

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান : ৫ম সপ্তাহ

লাহোর প্রস্তাব  (১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ)

লাহোর প্রস্তাব বা পাকিস্তান প্রস্তাব, যাকে পাকিস্তানের স্বাধীনতার ঘোষণাও বলা হয়, তা হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশে বসবাসকারী মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবী জানিয়ে উত্থাপিত প্রস্তাবনা।

লাহোর প্রস্তাব  (১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ)

১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে অনুষ্ঠিত মুসলীম লীগের অধিবেশনে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এর সভাপতিত্বে মুসলিম লীগের পক্ষ হতে ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের প্রারম্ভিক খসড়া তৈরি করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সিকান্দার হায়াত খান যা আলোচনা ও সংশোধনের জন্য নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সাবজেক্ট কমিটি সমীপে পেশ করা হয়।

সাবজেক্ট কমিটি এ প্রস্তাবটিতে আমূল সংশোধন আনয়নের পর ২৩ মার্চ সাধারণ অধিবেশনে মুসলিম লীগের পক্ষ হতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আবুল কাশেম ফজলুল হক সেটি উপস্থাপন করেন এবং চৌধুরী খালিকুজ্জামান ও অন্যান্য মুসলিম নেতৃবৃন্দ তা সমর্থন করেন।

মূল প্রস্তাবটি ছিল উর্দু ভাষায়। এই সম্মেলনে ফজলুল হককে “শেরে বাংলা” উপাধি দেয়া হয়।

১৯৪০ খ্রীস্টাব্দের ২৩ মার্চ নিখিল ভারত মুসলিম লীগ ভারতীয় উপমহাদেশে একটি স্বতন্ত্র মুসলিম দেশের দাবী জানিয়ে ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব অনুমোদন করে।

ভারত বিভাজন (১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট)

ভারত বিভাজন (১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট)

ভারত বিভাজন বা দেশভাগ হল ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক বিভাজন। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটিশ ভারত ভেঙে হয়ে পাকিস্তান অধিরাজ্য ও ভারত অধিরাজ্য নামে দুটি সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন করা হয়।

পাকিস্তান পরবর্তীকালে আবার দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নামে দুটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ভারত অধিরাজ্য পরবর্তীকালে ভারতীয় প্রজাতন্ত্র বা ভারত গণরাজ্য নামে পরিচিত হয়।

১৯৪৭ সালের ভারত বিভাজনের ফলে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি ও পাঞ্জাব প্রদেশও দ্বিখণ্ডিত হয়। বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি ভেঙে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য (ভারত) ও পূর্ব বাংলা/পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশ (পাকিস্তান) গঠিত হয়।


৮ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্টের প্রশ্ন ও উত্তর :

১৬ মার্চ ২০২১ তারিখে প্রকাশিত প্রথম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করে ২৫ মার্চ ২০২১ তারিখের মধ্যে নিজ নিজ স্কুলের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে।

২০২১ সালের ৮ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট পিডিএফ ডাউনলোড করার জন্য এই পোস্টের শেষে দেওয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ডাউনলোড করা যাবে।

মূল্যায়নের লক্ষ্যে ২০২১ সালে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ১ম সপ্তাহের এস্যাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ হিসেবে ৫ টি বিষয়ের ৫ টি এস্যাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে।

২০২১ শিক্ষাবর্ষে ৮ম শ্রেণির প্রথম সপ্তাহের বাংলা প্রথম পত্রের এ্যাসাইনমেন্ট ও উত্তর

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রম: এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-১;

অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনাম: গদ্য (গল্প)

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান : ৫ম সপ্তাহ

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তু: ‘পড়ে পাওয়া; বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ:

কেস স্টাডি: রিনা ও মলি স্কুলে নতুন বই আনতে গিয়েছে। বই নিয়ে বের হওয়ার সময় তারা স্কুলের মাঠে একটি দামি মােবাইল ফোন পেল। তারা তাদের সহপাঠী রনির সাথে বিষয়টি নিয়ে আলােচনা করে।

তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, ফোনের প্রকৃত মালিককে এটি ফেরত দেবে। কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা প্রকৃত মালিককে ফেরত দিতে পারে, সেই ধাপসমূহের বর্ণনা;

নির্দেশনা:
১। পড়ে পাওয়া’ গল্পটি ভালাে করে পাঠ করবে এবং গল্পের বাদল, বিধু, সিধু, তিনুরা সততা ও বুদ্ধিমত্তার দ্বারা যেভাবে বাক্সটি প্রকৃত মালিককে ফেরত দিয়েছিল, সেই অভিজ্ঞতার আলােকে অ্যাসাইনমেন্টটি তৈরি করবে।

মূল্যায়ন রুব্রিক্স:

ক. অতি উত্তম:
১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতা,
২.তথ্য, তত্ত্ব, ধারণা, সূত্র ইত্যাদি বিষয়ক সাথে সঙ্গতিপূর্ণ;
৩. লেখায় লক্ষ্যণীয় মাত্রায় নিজস্বতা সৃজনশীলতা;
৪. সার্থক বাক্যের যথাযথ প্রয়ােগ;

খ. উত্তম:
১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতা,
২.তথ্য, তত্ত্ব, ধারণা, সূত্র ইত্যাদি বিষয়ব সাথে সঙ্গতিপূর্ণ;
৩. লেখায় সামান্য মাত্রায় নিজস্বতা সৃজনশীলতা;
৪. সার্থক বাক্য ব্যবহারে ঘাটতি;

গ. ভালাে

১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা থাক ধারাবাহিকতার অভাব,
২.লেখায় তথ্য, তত্ত্ব, ধারণা, সূত্র ইত বিষয়বস্তুর সাথে আংশিকভাবে সঙ্গতিপূর্ণ;
৩. লেখায় সামান্য মাত্রায় নিজস্বতা সৃজনশীলতা;
৪. সার্থক বাক্য ব্যবহারে ঘাটতি;

ঘ. অগ্রগতি প্রয়ােজন :
১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিক অভাব;
২.লেখায় তথ্য, তত্ত্ব, ধারণা, সূত্র ইত্য বিষয়বস্তুর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়;
৩. লেখায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতার অভাব;
৪. সার্থক বাক্য ব্যবহারে ঘাটতি;

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান : ৫ম সপ্তাহ

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান : ৫ম সপ্তাহ

৮ম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্টের উত্তর – ১ম সপ্তাহ – ২০২১ :

মােবাইল ফোন ফিরিয়ে দেওয়ার বিভিন্ন ধাপ বা উপায় নিম্নে তুলে ধরা হলাে –

 প্রথম ধাপ বা উপায়: স্কুলের যদি প্রচারণার জন্য মাইক থাকে তাহলে সেই মাইকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে হবে- “একটি হারানাে বিজ্ঞপ্তি, স্কুলের মাঠে একটি মােবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। যথাযথ তথ্য সাপেক্ষে স্কুলের অফিস কক্ষ থেকে ইহার মালিককে মােবাইল ফোনটি গ্রহণ করার জন্য বলা যাচ্ছে।” আর যদি মাইক না থাকে তাহলে সবার উদ্দেশ্যে তা উচ্চকণ্ঠে বলতে হবে।

 দ্বিতীয় ধাপ বা উপায়: প্রত্যেক ক্লাস রুমে গিয়ে বলতে হবে- “আমরা একটি মােবাইল ফোন পেয়েছি। কারাে মােবাইল ফোন হারিয়ে গেলে আমাদের সাথে যােগাযােগ করবেন। যথাযথ তথ্য সাপেক্ষে ইহার মালিককে মােবাইল ফোনটি
‘ দেওয়া হবে।”

 তৃতীয় ধাপ বা উপায়: মানুষকে জানানাে যে, “আমরা একটি মােবাইল ফোন পেয়েছি। কেউ মােবাইল ফোন খুঁজলে আমাদের কথা বলবেন যে, আমরা মােবাইল ফোনটি পেয়েছি। যথাযথ তথ্য সাপেক্ষে তাকে আমরা মােবাইল ফোনটি দিয়ে দিব।

 চতুর্থ ধাপ বা উপায়: মােবাইল ফোনের নম্বর বের করে তার মােবাইল ফোনের মালিক)। নিকটতম লােকের নম্বর বের করে তাকে ফোন দিয়ে জানতে হবে যে, ‘এই ফোনটি কার তার সঠিক পরিচয় নেওয়া।

 পঞ্চম ধাপ বা উপায়: এলাকার দেওয়ালে পােস্টার মেরে মানুষকে জানিয়ে দেওয়া যে, “একটি মােবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। যথাযথ তথ্য সাপেক্ষে ফোনটির মালিককে মােবাইল ফোনটি দেওয়া হবে।

 ষষ্ঠ ধাপ বা উপায়: প্রধান শিক্ষককের কাছে ফোনটি জমা দেওয়া এবং স্যারকে বলা যে, আমরা এটি কুড়িয়ে পেয়েছি। কেউ খোঁজ করলে যাচাই করে ফোনের মালিককে দয়া করে ফোনটি দিয়ে দিবেন।

 সপ্তম ধাপ বা উপায়: ফোনটি নিকটতম থানায় জমা দেওয়া। যাতে তারা আসল মালিককে সনাক্ত করে মােবাইল ফোনটি দিয়ে দিতে পারে।

আসল মালিক চেনার জন্য তাকে কয়েকটি প্রশ্ন করতে হবে। যথা-
– মােবাইল ফোনটি কোন রঙের?
– মােবাইল ফোনটি কোন মডেলের?
– মােবাইল ফোনে থাকা সিমের নম্বরটা বলেন?

এই প্রশ্নগুলের সঠিক উত্তর দিতে পারলে তাকে মােবাইল ফোনটি দিয়ে দেওয়া যাবে।।

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান : ৫ম সপ্তাহ

২০২১ শিক্ষাবর্ষের ৮ম শ্রেণির প্রথম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এ্যাসাইনমেন্ট ও উত্তর :

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রমঃ এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-১

অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনামঃ প্রথম অধ্যায়: আকাইদ

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তু :
পাঠ-১ (ঈমান);
পাঠ- ২ (নিফাক);
পাঠ-৩ (আলআসমাউল হুসনা);

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান : ৫ম সপ্তাহ

এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ :
মনে কর তােমার ঘনিষ্ঠ একজন সহপাঠীর আচরণে মুনাফিকের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়, তাকে প্রকৃত মুমিন বান্দা হতে সহায়তা করার জন্য তুমি কী কী উদ্যোগ নিতে পারাে- এ সম্পর্কিত একটি কর্মপরিকলপনা তৈরি করাে।

সংকেত :
১। সহপাঠীর কোন কোন আচরণে মুনাফিকের লক্ষণ তার উল্লেখ;
২। উক্ত আচরণগুলাে কেন ক্ষতিকর তার ব্যাখ্যা;
৩। উক্ত বিষয়ের কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি;
৪। সহপাঠীর মুনাফিকী আচরণ দূর করার উপায়;
৫। সহপাঠীকে মুমিন হওয়ার জন্য তােমার পদক্ষেপ;

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান : ৫ম সপ্তাহ

নির্দেশনা :
পাঠ্যপুস্তক থেকে উক্ত বিষয়ে ধারণা নেয়া যেতে পারে প্রয়ােজনে অভিভাবকের সহযােগিতা নেয়া যেতে পারে;
মােবাইল বা যে কোন ভার্চুয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয় শিক্ষকের সাথে যােগাযােগ করা যেতে পারে;
ইন্টারনেটের সাহায্য নেয়া যেতে পারে;
অ্যাসাইনমেন্ট স্বহস্তে লিখতে হবে;

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান : ৫ম সপ্তাহ

মূল্যায়ন রুব্রিক্স :
নিচের নির্ণায়কের ভিত্তিতে শিক্ষক মূল্যায়ন করবেন এবং রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন। প্রয়ােজনীয় ক্ষেত্রে ফিডব্যাক প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিখন নিশ্চিত করবেন।

অতি উত্তম:
১। কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি আরবিতে লিখা
২। ধারাবাহিকতা বজায় থাকা
৩। পর্যায় উপলব্ধি করে যৌক্তিক বিশ্লেষণ
৪। লেখায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা
৫। বানান ও বাক্য গঠনে সঠিকতা

উত্তম:
১। কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতির অনুবাদ
২। আংশিক ধারাবাহিকতা বজায় থাকা
৩। পর্যায় উপলব্ধি করে আংশিক যৌক্তিক বিশ্লেষণ
৪। লেখায় আংশিমাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলত
৫। বানান ও বাক্য গঠনে সঠিকতা

ভালো:
১। কুরআন অথবা হাদিসের উদ্ধৃতির অনুবাদ
২। কিছুটা ধারাবাহিকতা বজায় থাকা
৩। পর্যায় উপলব্ধি করে আংশিক বিশ্লেষণ
৪। লেখায় আংশিকমাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলত
৫। বানান ও বাক্য গঠনে সঠিকতা

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান : ৫ম সপ্তাহ

অগ্রগতি প্রয়ােজন:

১। কুরআন অথবা হাদিসের উদ্ধৃতির অনুবা অভাব।
২। ধারাবাহিকতা বজায় না থাকা
৩। পর্যায় উপলব্ধি করে বিশ্লেষণ না করা
৪। লেখায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা না থাকা
৫। বানান ও বাক্য গঠনে সঠিকতা না থাকা

৮ম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্টের উত্তর – ১ম সপ্তাহ – ২০২১ :

** আমার ঘনিষ্ঠ সহপাঠীর আচরণে কপটতা, ভন্ডামি ও দ্বিমুখী নীতি প্রভৃতি লক্ষণ প্রতিফলিত হয়েছে। যাদের মধ্যে এসব বৈশিষ্ট্য রয়েছে তারা-ই মুনাফিক।। নৈতিক ও মানবিক আদর্শের বিপরীত কাজ করাই এদের ধর্ম। মুনাফিকরা মুখে ভাল কথা বললেও তাদের অন্তর থাকে কুফরিতে পূর্ণ। এমন মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আমার সহপাঠীর আচরণে।। আমার সহপাঠী প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। এগুলাে মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। কারণ মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি। মিথ্যা বলা, ওয়াদা ভঙ্গ করা এবং আমানতের খিয়ানত করা। এই লক্ষণগুলাে যখন কারও মধ্যে দেখা। যায় তখন তাকে মুনাফিক বলে। সুতরাং আমার সহপাঠী আচরণে মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে। হাদিসে মুনাফিকদের চরিত্রকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে

“মুনাফিকের নির্দশন তিনটি – যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে  তা ভঙ্গ করে এবং যখন তার নিকট কোনাে কিছু গচ্ছিত রাখা হয় তখন তার  খিয়ানত করে।” (সহিহ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম)।

** নিফাক একটি মারাত্মক পাপ। এটি নৈতিকতা ও মানবিকতার বিপরীত কাজ। নিফাকের ফলে মানুষ অন্যায় ও অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ফলে মানুষের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবােধ বিনষ্ট হয়। নিফাকের দ্বারা মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস ও সন্দের সৃষ্টি হয়। ফলে মানব সমাজে মারামারি, হানাহানি ও অশান্তির সৃষ্টি। হয় মুনাফিকরা ইসলামের চরম শত্র। তারা বন্ধুবেশে মুসলমানদের বড় ধরনের। ক্ষতি সাধন করে। এর কারণে সমাজে নানা ধরনের অন্যায় ও অনৈতিক কাজের। | প্রসার ঘটে। এজন্যই দুনিয়াতে মুনাফিকরা ঘৃণিত মনে হয় এবং আখেরাতেও। তাদের জন্য কঠোর আযাব প্রস্তুত রয়েছে। আমার সহপাঠী প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। এগুলাে । মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। আমার ঘনিষ্ঠ সহপাঠীর আচরণে এ বিষয়টিই ফুটে উঠেছে। উপরের আলােচনা থেকে বলা যায় যে, আমার সহপাঠীর মুনাফিকির পরিনাম
অত্যন্ত ভয়াবহ।

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান : ৫ম সপ্তাহ

** মুনাফিকদের অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন – “যখন তারা (মুনাফিকরা) ইমানদারদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে। আমরা ইমান এনেছি। আর যখন তারা গােপনে তাদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয তখন বলে, আমরা তােমাদের সাথেই আছি। আমরা শুধু তাদের সাথে ঠাট্টাতামাশা করে থাকি।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৪)।

মুনাফিকির পরিণাম সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “নিশ্চয়ই মুনাফিকদের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে।” (সূরা আন-নিসা, আয়া-১৪৫)।

** মুনাফিকদের অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন – “যখন তারা (মুনাফিকরা) ইমানদারদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে। আমরা ইমান এনেছি। আর যখন তারা গােপনে তাদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয তখন বলে, আমরা তােমাদের সাথেই আছি। আমরা শুধু তাদের সাথে ঠাট্টাতামাশা করে থাকি।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৪)।

মুনাফিকির পরিণাম সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “নিশ্চয়ই মুনাফিকদের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে।” (সূরা আন-নিসা, আয়া-১৪৫)।

**

আমার সহপাঠীকে মুমিন করার জন্য আমার কর্মপরিকল্পনা :
১। সহপাঠীকে সত্য কথা বলার জন্য উৎসাহিত করব এবং সত্য কথা বলার। সুফল বােঝানাের চেষ্টা করব।
২। তাকে মিথ্যা বলতে নিরুৎসাহিত করব এবং মিথা বলার পরিণতি সম্পর্কে। ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
৩। কারাে সাথে ওয়াদা করলে তা রাখার গুরুত্ব বােঝাব এবং ওয়াদা না রাখার পরিণাম সম্পর্ক ধারণা দিব।
৪। আমানতের গুরুত্ব বােঝানাের চেষ্টা করব এবং আমানতের খেয়ানত করার। কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব।।

 

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!