জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশন (জেবিবিএ) এর ১৯ সদস্যের নতুন কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন যথাক্রমে আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম ও মো. জামান কামরু।
বুধবার সন্ধ্যায় পালকি পার্টি সেন্টারে সর্বস্তরের ব্যবসায়ীগণের এ সভায় জেবিবিএর পরিচালনা পর্ষদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের তালিকাও চূড়ান্ত করা হয় ব্যাপক আলোচনা-পর্যালোচনার ভিত্তিতে। উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশি তথা দক্ষিণ এশিয়ানদের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনের নেতৃত্বে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংকল্প ব্যক্ত করেন নবগঠিত কমিটির কর্মকর্তারা।
কার্যকরী কমিটির অপর কর্মকর্তারা হলেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনসুর এ চৌধুরী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মোশারফ হোসেন ও মোহাম্মদ এ নমী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-আবুল কাশেম ও বিপ্লব সাহা, কোষাধ্যক্ষ-সেলিম হারুন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সাংস্কৃতিক ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রাশেদ আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ হোসেন বাদশা, নির্বাহী সদস্য কামরুজ্জামান বাবু, সুবল দেবনাথ, শাহ চিশতী, ইলিয়াস মিয়া, নাজিরুল ইসলাম, সনাতন শীল এবং মাসুদ মিয়া।
পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন হারুন ভূইয়া, কাজী শামসুদ্দোহা, আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম, ইকবালুর রহিম লিটন, হোসেন সোহেল রানা, রাশেদ আহমেদ, প্রদীপ সাহা, ফাহাদ সোলায়মান, মোহাম্মদ এম জামান, মোস্তাফিজ খন্দকার, জে মোল্লাহ সানী, ড. রফিক আহমেদ, রফিকুল আলম, রুহুল আমিন সরকার প্রমুখ। এছাড়াও রয়েছেন মহসিন ননী, মোহাম্মদ মহসিন, এম রহমান, কাজী মন্টু, মো. পিয়ার প্রমুখ।
নবগঠিত উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছেন বদরুল হক, ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান, ডা. ইভান খান, কেশব সরকার, এম কে রহমান, সিরাজুল হক কামাল, সারওয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আব্দুল হাই জিয়া, আসাদুল হক প্রমুখ।
উপস্থিত সকলের সম্মতিতে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন মহসিন ননী, কাজী মন্টু, মহসিন মিয়া, এম রহমান প্রমুখ। এর আগে সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন মহসিন ননী। পরিচালনা করেন আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম এবং মোশারফ হোসেন।
এ সময় সাধারণ সদস্যগণের আহবানের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো হয় যে, জেবিবিএ’র এটর্নির পরামর্শক্রমে প্রকৃত ব্যবসায়ীগণের এ সভা আহবান করা হয় এবং জেবিবিএর ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারকল্পেই নতুন কমিটি গঠন করা হলো। সাধারণ সদস্যগণের পক্ষ থেকে আগের কমিটির বিরুদ্ধে জেবিবিএর তহবিল তছরুপের গুরুতর অভিযোগ উঠে এবং সেই অভিযোগের জবাব দিতে না পারার কারণেই সাধারণ সদস্যগণের অজ্ঞাতে একটি পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।