class="post-template-default single single-post postid-23537 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ফলমূল তাজা রাখার নতুন প্রযুক্তি

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএওর তথ্য অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে ফসলের প্রায় ১৪ শতাংশ খাদ্য বাজারে বা খুচরা বিক্রেতার হাতে পৌঁছানোর আগেই নষ্ট হয়ে যায়। অ্যাপিল সায়েন্সেস নামের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক এক কম্পানি এমন পরিস্থিতি বদলাতে এগিয়ে এসেছে। কম্পানির প্রতিষ্ঠাতা জেমস রজার্স ও তাঁর সহকর্মীরা এমন তরল পদার্থ তৈরি করেছেন, যা ফলমূল ও তরিতরকারি আরো বেশিদিন তাজা রাখতে পারে। জেমস বলেন, “অ্যাপিল শব্দটি অনেকটা ‘পিল’ বা খোসা ছাড়ানোর মতো। তাজা পণ্যের ওপর আমরা সেটি প্রয়োগ করি। সেটা দেখা যায় না, তার স্বাদ পাওয়া যায় না। তবে ফল পাকার প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয়।

রেফ্রিজারেশন ছাড়াও এই প্রক্রিয়া কাজ করে। অ্যাপিল এমন এক তরল আস্তরণ, যা শুকিয়ে ভোজ্য স্তর হয়ে ওঠে। এই স্তর যেকোনো তাজা পণ্যকে চার গুণ পর্যন্ত বেশি টেকসই করে তোলে। ফলে পরিবহন, মজুদ ও খাওয়ার জন্য বাড়তি সময় পাওয়া যায়।

লিপিড এবং ফলমূল ও শাক-সবজির প্রাকৃতিক যৌগিক পদার্থের ওপর ভিত্তি করেই অ্যাপিল তৈরি করা হয়েছে। সেসব পদার্থ নিঃসরণ করে প্রয়োজনীয় দ্রবণ তৈরি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেমস রজার্স বলেন, ‘সঠিক অনুপাতে সেগুলোর মেলবন্ধন ঘটালে শুকানোর পর আমাদের হাতে ফল পাকার প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ চলে আসে। অর্থাৎ পানি নির্গমন ও অক্সিজেনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। বিভিন্ন ধরনের তাজা পণ্যের জন্য সঠিক ফর্মুলা স্থির করার নতুন কৌশল আমরা শেখাচ্ছি। লেবু, শসা বা অ্যাভোকাডোর ওপর যে সুরক্ষা স্তর থাকে, সে রকমই কবচের ব্যবস্থা করছি।’

এখনো পর্যন্ত মূলত বড় কম্পানিগুলো নতুন এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করছে। ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর সেই সামর্থ্য নেই। কিন্তু অ্যাপিল ব্যবসার নতুন এক মডেলের মাধ্যমে সেই পরিস্থিতি বদলাতে চাইছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!