কথাতেই বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। দুপুরবেলা খাওয়ার পাতে একটা মাছের পদ চাই-ই চাই। ছোট মাছ সহজলভ্য নয় বলে রুই-কাতলাই বেশি আসে বাড়িতে। এ দিকে কাতলা মাছের পাতলা জিরে বাটা ঝোল, পিঁয়াজ দিয়ে দই-কাতলা বা সর্ষেবাটার ঝাল খেতে খেতে খুব একঘেয়েমি এসে গিয়েছে?
কিন্তু সেই দই-কাতলা আর সর্ষেবাটার গণ্ডি ছাড়িয়ে আজ আপনাদের জন্য রইল ঘরোয়া অথচ দারুণ মুখরোচক দু’টি রেসিপি। এই রান্নাগুলি করতে পরিশ্রমও বেশি নেই। বরং একটু হাতযশ আর কিছুটা সময় দিলেই ছুটির দিনে ভাতের পাতে জমে যেতে পারে কাতলার লোভনীয় এই দুই পদ।
এ বার পুজোয় আপনার ডাইনিং টেবিলে চেনা মাছের অচেনা রেসিপি চাইলে এই দু’টিই হাসি ফোটাবে আপনার মুখে। ডাইনিং টেবিলে সকলের মেজাজ ফুরফুরে করতে কাতলায় হয়ে যাক বাজিমাত।
কাতলা মাছের বাটি চচ্চড়ি রেসিপি
উপকরণ
কাতলা মাছ: ২৫০ গ্রাম
রসুন: ১০-১২টি গোটা কোয়া
আলু: ২টি মাঝরি(ডুমো করে কাটা)
পিঁয়াজ: ১টি(ডুমো করে কাটা)
টম্যাটো: ১টি বড়(পাতলা স্লাইস করে কাটা)
ধনেপাতা কুঁচি: ১ টেবিল চামচ
হলুদগুঁড়ো: ১ চা চামচ
লঙ্কাগুঁড়ো: ১ চা চামচ
পোস্তবাটা: ১ টেবিল চামচ
চেরা কাঁচা লঙ্কা: ৪-৫টি
সর্ষের তেল: ১/২ কাপ
মটরশুঁটিঃ ১/২ কাপ
নুন: স্বাদ মতো
প্রণালী
মাছ চৌকো, ছোট টুকরো করে কেটে নিন। মাঝে নুন ও হলুদ মাখিয়ে নিন। এ বার একটি ননস্টিক প্যানে চেরা কাঁচা লঙ্কা, ধনেপাতা ও পোস্তবাটা বাদে সমস্ত উপকরণ দিয়ে বসিয়ে দিন। সঙ্গে নুন-হলুদ মাখানো মাছও দিন। যাঁরা কাঁচা মাছ পছন্দ করবেন না, তাঁরা হালকা করে ভেজে নিন। একটু আধভাজা হয়ে এলে বাকি তেলটা দিয়ে দিন। ১/২ কাপ জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন, যত ক্ষণ না মাছ ও আলু সিদ্ধ হয়। যখন দেখবেন হয়ে এসেছে, তখন কাঁচা লঙ্কা, পোস্তবাটা, ধনেপাতা কুঁচি দিয়ে আরও কিছু ক্ষণ রান্না করুন। বেশ মাখা মাখা হয়ে এলে বাঁচিয়ে রাখা কাঁচা সর্ষের তেল ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
টম্যাটো কাতলা রেসিপি
কাতলার পিঁয়াজ বা সর্ষে ফোড়নের ঝোল খেয়ে তো অভ্যস্ত। তা হলে এ বার সময় এসেছে কাতলার ঝোলকে নতুন রূপে আবিষ্কার করার। শিখে নিন টম্যাটো কাতলার চটজলদি রেসিপি।
উপকরণ
কাতলা মাছ: ৪ পিস(বড় করে কাটা)
পাঁচফোড়ন: ১/২ চা চামচ
রসুন বাটা: দেড় চা চামচ
কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো: ১ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা বাটা: ১ চা চামচ
ধনেপাতা কুঁচি: ১ টেবিল চামচ
মেথিগুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
সর্ষের তেল: ১/২ কাপ
চিনি: ১ চা চামচ
নুন: স্বাদ মতো
প্রণালী
কড়াইতে তেল গরম করে নুন ও হলুদ মাখিয়ে মাছ ভেজে তুলে রাখুন। ওই তেলেই পাঁচফোড়ন ও রসুন ফোড়ন দিন। রসুন হালকা ভাজা হয়ে গেলে তাতে টম্যাটো পিউরি, নুন, চিনি, লঙ্কাগুঁড়ো, মেথিগুঁড়ো ও কাঁচা লঙ্কা বাটা দিয়ে কষতে থাকুন। মশলা থেকে তেল ছাড়লে ১/২ কাপ জল দিয়ে ফুটতে দিন। ঝোল ফুটে উঠলে তাতে ভাজা মাছ, ধনেপাতা কুঁচি ও চেরা কাঁচা লঙ্কা দিন। বেশ মাখোমাখো হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এই রান্নাতে একটু বেশি তেল লাগে।