যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনা য় প্রাণ গেল দুই স্কুলছাত্রের। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বিজয়রামপুর এলাকার খইতলা মোড়ে যশোর-চুকনগর আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকাগামী যাত্রীবাহী হানিফ পরিবহনের একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে তাদের মৃত্যু হয়।
দুই স্কুলছাত্র হলো আশিকুর রহমান (১৪) ও আল আমিন (১৪)। তারা দুজনেই উপজেলার ধলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। এর মধ্যে আশিকুর রহমানের শ্রেণি রোল ১ এবং আল আমিনের ২। আশিকুর রহমান মনিরামপুর উপজেলার ধলিগাতী গ্রামের স্কুলশিক্ষক খাইরুল বাসারের ছেলে এবং আল আমিন জামলা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আজ সকালে মনিরামপুর বাজারের একটি কোচিং সেন্টার থেকে প্রাইভেট পড়ে এক সাইকেলে করে যশোর-চুকনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিল আশিকুর ও আল আমিন। সকাল সাড়ে আটটার দিকে তারা উপজেলার বিজয়রামপুর এলাকার খইতলা মোড়ে পৌঁছায়। এ সময় ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা আশিকুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। আল আমিনকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশরাফুর রহমান দুজনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ধলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার পাল বলেন, ‘আশিকুর রহমান ও আল আমিন আমার বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তারা দুজনই অত্যন্ত মেধাবী ছিল। তারা দুজনেই এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ার মতো ছাত্র ছিল। আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।’
এদিকে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ এবং বাসচালক ও সহায়তাকারীর আটকের দাবিতে সকাল নয়টা থেকে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী সুন্দলপুর বাজারে যশোর-চুকনগর মহাসড়কের গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন। এ সময় মহাসড়কটি দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সকাল ১০টার দিকে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
মনিরামপুর থানার ওসি বলেন, এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন। বাসটির চালক ও তাঁর সহকারীকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।