Monday, December 23
Shadow

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে করণীয়

কোলেস্টেরল

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে করণীয়

জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা ও ওষুধের মাধ্যমে কোলেস্টেরল কমানো যায় বা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এই দুটি পদ্ধতিরই মূল উদ্দেশ্য হলো, এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) কমানো এবং এইচডিএল (ভালো কোলেস্টেরল) বাড়ানো। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কিছু করণীয় হলো—

❏ খাদ্যতালিকা থেকে চর্বিজাতীয় খাবার, বিশেষ করে প্রাণিজ চর্বি যেমন—লাল মাংস, কলিজা, মগজ, মাছের ডিম, ডিমের কুসুম, চিংড়ি মাছ প্রভৃতিসহ উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে।

❏ খাদ্যতালিকায় মাছজাতীয় খাবার, শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশজাতীয় খাবার বেশি রাখতে হবে। অথবা খাদ্যতালিকা আসলেই কী হওয়া উচিত, তা চিকিৎসক অথবা পুষ্টিবিদদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।

❏ রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে জলপাই, টক দই, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ফল ও সবজি, ভিটামিন ‘সি’, বিটা ক্যারোটিন, রসুন, পেঁয়াজ, অপ্রক্রিয়াজাত দানাজাতীয় খাবার, মাছ, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড প্রভৃতি খাবার বিশেষ ভূমিকা রাখে।

❏ নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম করলে বা অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেললে এইচডিএল বৃদ্ধি পায় এবং এলডিএল কমে যায়। তাই প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট করে সপ্তাহে পাঁচ দিন ব্যায়াম করা উচিত।

❏ বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী শরীরে অতিরিক্ত ওজন থাকলে তা যথাসম্ভব কমাতে হবে।

❏ ধূমপান একেবারেই বাদ দিতে হবে।

❏ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

❏ যাঁদের কোলেস্টেরলের মাত্রা অতিরিক্ত অথবা যাঁরা হার্টের সমস্যা বা করোনারি আর্টারি ডিজিজে ভুগছেন, তাঁদের ওষুধের মাধ্যমে কোলেস্টেরল কমানোর উদ্যোগ নিতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!