জীবের প্রজনন || দশম শ্রেণি || জীব বিজ্ঞান : গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
প্রাথমিক আলোচনা
আজ আমরা আলোচনা করবো দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞানের জীবের প্রজনন নিয়ে। যার জীবন আছে তার জন্য প্রজনন একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। তবে সব জীব বা উদ্ভিদের প্রজনন একভাবেই ঘটে, তা কিন্তু নয়।প্রজনন মূলত যৌন ও অযৌন প্রক্রিয়ায় হয়। আবৃতবীজী উদ্ভিদের মূলত যৌন জনন প্রক্রিয়ায় প্রজনন হয় তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অযৌন প্রজননও ঘটে। যৌন প্রজনন প্রক্রিয়ার একটি উল্লেখযোগ্য ধাপের নাম নিষেক। নিষেকের মাধ্যমে পুংগ্যামেট এবং স্ত্রী গ্যামেটের মিলন ঘটে। নিষেকের ফলে ফুলের গর্ভাশয় ফলে এবং ডিম্বকসমূহ বীজে পরিণত হয়। প্রজননের সাথে সংশ্লিষ্ট অঙ্গগুলোকে বলে প্রজনন অঙ্গ।
জীবের প্রজনন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- জীবনের প্রতিরূপ সৃষ্টির মাধ্যম- প্রজনন।
- জীবের বংশধর সৃষ্টির প্রক্রিয়া -প্রজনন।
- প্রজননের প্রকারভেদ- দুই প্রকার।
- অযৌন জনন প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়- নিম্নশ্রেণির জীবে।
- দুটি বিপরীতধর্মী জননকোষ মিলনের মাধ্যমে সংঘটিত প্রজনন-যৌন জনন।
- পুংজনন কোষ হলো -শুক্রাণু।
- দুই ধরনের জনন কোষ একই দেহে সৃষ্টি হয় -সহবাসী উদ্ভিদে
- দুই ধরনের জননকোষ আলাদা দেহে সৃষ্টি হয়- ভিন্নবাসী উদ্ভিদে।
- ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়ার প্রভৃতির প্রজনন পদ্ধতি- অযৌন
- .প্রজননের জন্য রূপান্তরিত বিশেষ ধরনের বিটপ- ফুল।
- উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদের প্রজনন অঙ্গ- ফুল।
- একটি আদর্শ ফুলের স্তবক সংখ্যা- ৫টি।
- প্রজাতির গুণাগুণ অক্ষুন্ন থাকে-স্বপরাগায়নের মাধ্যমে
- রঙ জিন ও মধুগ্রন্থি যুক্ত ফুলের পরাগায়নের মাধ্যম – পতঙ্গ।
- হালকা ও মধুগ্রন্থিহীন ফুল পরাগায়নের মাধ্যম – বায়ু
- পুং গ্যামিটোফাইটের প্রথম কোষ – পরাগরেণু।
- ডিম্বপ্তের দিকের কোষ তিনটিকে বলে- গর্ভযন্ত্র
- গর্ভযন্ত্রের বিপরীত দিকের কোষ তিনটিকে বলে-প্রতিপাদ কোষ
- পুংজনন কোষ ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে উৎপন্ন করে- জাইগোট।
- . ভ্রুণথলির কেন্দ্রের দিকে অবস্থান করে- এপিক্যাল কোষ।
- এপিক্যাল কোষ ধীরে ধীরে পরিণত হয়- ভ্রুণে
- ভ্রুণধারক গঠনকারী কোষ হলে- ভিত্তি কোষ।
- গৌণ নিউক্লিয়াস উৎপন্ন করে- সস্যটিস্যু।
- সপুষ্পক উদ্ভিদের জীবনচক্রে পর্যায় সংখ্যা- দুটি।
- নিম্নশ্রেণির প্রাণীতে সংঘটিত জনন পদ্ধতি – অযৌন প্রজনন।
- নিষেকের প্রয়োজন হয়- যৌন জননে
- ক্রোমোজোম সংখ্যার দিক দিয়ে জনন কোষ- হ্যাপ্লয়েড।
- প্রাণী দেহের বাইরে সংঘটিত নিষেক হলে— বহিঃনিষেক। ।
- বংশবিস্তার এবং বংশ রক্ষার জন্য প্রয়োজন- প্রজনন।
- হরমোন নিঃসৃত হয়-নালিহীন গ্রন্থি থেকে।
- মানবদেহের রাসায়নিক দূত – হরমোন।
- থাইরক্সিন নিঃসৃত হয়- থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে।
- টেস্টোস্টেরন ও অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের উৎপত্তিস্থল- শুক্রাশয়।
- ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন সৃষ্টি হয় ডিম্বাশয়ে।
- কৈশোর এবং তারুণ্যের সন্ধিকালই – বয়ঃসন্ধিকাল।
- নিষিক্ত ডিম্বাণুর কোষ বিভাজনকে বলা হয়- ক্লিভেজ।
- জরায়ুর প্রাচীরে ভুতের সংযুক্তিই – গর্ভধারণ।
- গর্ভাবস্থার সময়কাল- ৩৮-৪০ সপ্তাহ।