Monday, December 23
Shadow

শিশু কিছুই খায় না ? তাহলে করণীয়

শিশু

 

শিশু কিছুই খায় না ?

 

বড়দের মতোই শিশুর খাওয়া, না খাওয়ার ব্যাপারটাকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে মগজের সিংহবাগ জুড়ে থাকা সেরিব্রাল কর্টেক্স অংশটি। মগজের হাইপোথ্যালামাসে রয়েছে বিশেষ দুটি কেন্দ্র,‘ফিডিং সেন্টার’ আর ‘স্যাটাইটি সেন্টার’। পাকস্থলি ফাঁকা থাকলে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমতে থাকে। এভাবে কমতে থাকা রক্তের গ্লুকোজ মগজের ফিডিং সেন্টার‘কে উদ্দীপিত করে। ফিডিং সেন্টার-এর প্রভাবে তখন কর্টেক্স শরীরকে নির্দেশ দেয় দেড়ি না করে খেয়ে নিতে। শিশুর খিদে পায় ফিডিং সেন্টার উদ্দীপিত হলে, ফিডিং সেন্টার-এর নির্দেশে শিশু খেতে শুরু করে।

পেট ভর্তি থাকলে ঠিক এর বিপরীত ঘটনাটি ঘটে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা যথেষ্ট হওয়ায় ফিডিং সেন্টার-এর বদলে উত্তেজিত হয় স্যাটাইটি সেন্টার। এই কেন্দ্রটি সক্রিয় হলে শিশু খেতে চায় না। পেট খালি থাকলে শিশুর খিদে পাবে, শিশু খেয়ে নেবে। আর পেট ভরা থাকলে কিছুই খেতে চিইবে না। অন্তত এরকমটাই হওয়া বাঞ্ছনীয়।

এখানেও থাকে একটা ফাঁক। অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম-এর নির্দিষ্ট উত্তেজনাতেও উদ্দীপিত হতে পারে মগজের স্যাটাইটি সেন্টার। এরকম ঘটলে পেট খালি থাকলেও তৃপ্তি কেন্দ্র শিশুকে নির্দেশ দেবে না খেতে, শিশু খেতে চাইবে না। যে কারণ গুলোর জন্য শিশুর খাবার খেতে অনিহা দেখায়।

শিশু কিছুই খায় না

১। বারবার একই খাবার, অপছন্দের খাবার, একঘেয়ে খাবারও শিশুর মনে খাব না ভাবের জন্ম দেয়।যে খাবার খেতে ভালো লাগেনা শিশুকে সে খাবার জোর করে খাওয়ালে শিশুর মেজাজ বিগরে যায়।

২। যে পরিবেশে বড় হচ্ছে শিশু সে পরিবেশ সুস্থ, স্বাভাবিক, আনন্দময় হোক শিশু তাই চায়। চিৎকার-চেঁচামেচি, কোলাহল-কলরব এরকম অসুস্থ পরিবেশ শিশুকে না খেতে প্রবৃত্ত করে।

৩। দুধের শিশুও বুঝতে পারে তাকে কতটা সময় দেওয়া হয়। শিশু চায় মা-বাব ও অন্যরা তাকে খুব বেশি নজর দিক, তাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকুক।

৪। ছোট পরিবারে বড় হওয়া একা ফ্ল্যাটবন্দি শিশু বেশির ভাগ সময় সুযোগ পায় না খেলাধূলার, পরিশ্রমের। শারীরিক পরিশ্রম কম হওয়ায় খাবারও কম হজম হয়। এত পাকস্থলি খালি না হওয়ায় ক্ষুদাকেন্দ্র সহজে উদ্দীপিত হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!