class="post-template-default single single-post postid-89 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

নতুন ধারার শাড়ি

শাড়ির ডিজাইন
শৈল্পিক স্পর্শে গড়ে ওঠা শাড়ির ডিজাইন এর মধ্যে নিখুঁত কাশ্মিরি উল লেস শাড়ির অভিজাত একটি কালেকশন এবার জায়গা করে নিতে পারে আপনার ওয়্যারড্রোবে।
অবসর বলুন আর করপোরেট পরিবেশ, একটি শাড়ি সবসময়ই একটি অভিজাত পোশাক হিসেবে স্বীকৃত, যাতে একসঙ্গে ফুটে ওঠে নারীত্ব, ফ্যাশন ও ঐতিহ্য। আবার দেখা যায় মৌসুম পরিবর্তনের সঙ্গে প্রায়ই দেখা যায় নারীরা তাদের এই সুন্দর পরিচ্ছদটাকেও কেমন করে যেন সোয়েটার দিয়ে মুড়িয়ে ফেলে। খুব সহজেই বদলে যায় পুরো লুকটাই।
তবে, টেক্সটাইলে নব নব আবিষ্কার ও প্রথাগত ভারতীয় বস্ত্রশিল্পের বুনন ঐতিহ্যের নতুন ব্যাখ্যার ফলশ্রুতিতে এসেছে পিউর কাশ্মিরি উল লেস শাড়ি। আর এর মাধ্যমেই এবার শীতটাকে স্টাইলের সঙ্গে গ্রহণ করতে পারবেন- আনকোরা এ শাড়ি পরে।
চিন্তার আধুনিকতা হোক আর পোশাকের মতাদর্শ- কোনো পরিবর্তনেই প্রভাব পড়েনি এ পোশাকে, যা এখনও বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর ঐতিহ্যবাহী পোশাক। এটি একজন নারীর কাছে এখনও দামি এক সম্পদের মতো যার তার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির শেকড়কেই ইঙ্গিত করে। আগের দিনে দুই পাশ বিশিষ্ট দোশালা বেশ জনপ্রিয় থাকলেও দিল্লি ভিত্তিক ডিজাইনার তানিরা শেঠি এমন এক খাঁটি কাশ্মিরি উল দিয়ে শাড়ি তৈরির কাজে হাত দিয়েছেন যা শুধু হালকা পাতলাই নয়, বরং পরতেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করার মতো।

 

লাক্সি টেক্সটাইল-এর শাড়ির ডিজাইন

উল যত পাতলা হবে, ততই কাপড়ের দাম বাড়বে। আর এ কাপড়টাকে সাধারণত কাশ্মিরি বলেই ডাকা হয়, কেননা এর উল কাশ্মিরি ছাগল থেকে সংগ্রহ করা হয়। এটি ভেড়ার পশমের চেয়ে ঢের মিহি, নরম ও হালকা ফেব্রিক। আর এসবই একে দামি কাপড় বানিয়েছে।

কালেকশন রিডাক্স এর শাড়ির ডিজাইন

এই পিওর কাশ্মিরি উল শাড়িগুলোকে ডিজাইনের আদর্শগত দিক বিচারে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমটি হলো পিওর উইভেন কাশ্মিরি। দ্বিতীয়টি হলো হাতে আঁকা নকশার আল্ট্রা লাক্সি ও তৃতীয়টি হলো বিশ্বের প্রথম কাশ্মিরি লেইস শাড়ি- যার মধ্যে আছে মিহি কাশ্মিরি লিভারস লেইস (ফুলের নকশা বা অন্য স্টাইলের ফ্রেঞ্চ লেইস) ফেব্রিক। দুষ্প্রাপ্য ঘরানার এই লেইসটি আবিষ্কার করতে গবেষণা চালাতে হয়েছিল টানা এক বছর। সুতোগুলোকে ভারত থেকে প্যারিসে পাঠানো হয়েছিল আগে, তারপর পিওর কাশ্মিরি দিয়েই এগুলোকে হাতে এমব্রয়ডারি করা হয়েছে।

 

পোশাকে মিনিমালিজম

এই কালেকশনে যতটা কম সম্ভব ডিজাইনের চাকচিক্য দেওয়া হয়েছে। মিনিমাল তথা স্বল্প উপকরণের শিল্পিত প্রয়োগ সত্ত্বেও এটি ক্লাসিক। পুরো কাপড়জুড়ে নকশার মধ্যে আছে জ্যামিতিক মোটিফ এবং টুইল, হেরিঞ্জবোন ও শেভ্রনের বিন্যাসের মজার সব ছাপ। রঙের তালিকায় রয়েছে কালো, নীল, চারকোল, কাদামাটির বাদামি, কোরা কাপড়ের রং ও লাল, মেরুন ও কাঁচা হলুদের নানান আবহ।
এই হালকা পাতলা গড়নের পিওর কাশ্মিরি উল শাড়ির বিবর্তনের প্রতিটি পরতে আর কিছুই নয়, আছে ঐতিহ্য ও ইতিহাসের সযতœ স্পর্শ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!