ভারতের প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দের পরিচালক মুফতি আবুল কাসেম নোমানী বলেছেন, বর্তমানে বিভিন্ন মাদরাসায় ‘খতমে বুখারি ’র নামে যে মাত্রাতিরিক্ত প্রথা চালু হয়েছে তা ধীরে ধীরে বিদআতের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। তাই কওমি মাদরাসাগুলোর কর্তৃপক্ষের উচিত এই বিদআত বন্ধ করে দেয়া। উম্মুল মাদারিস দারুল উলুম দেওবন্দে এসব রেওয়াজ নেই। সেখানে কেউ জানেনা কবে খতমে বুখারি হয়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ছাড়া অন্যদের জন্য এটা ঘটা করে প্রচারেরও তো কোন দরকার নেই।’
সোমবার সকালে চট্রগ্রামের আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার খতমে বুখারি ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এই পটিয়া মাদরাসা বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে এই প্রতিষ্ঠানের কথার মূল্য থাকবে। অতএব আমি এই মারকাজ থেকে বাংলাদেশের সমস্ত মাদরাসার দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানাবো, দয়াকরে আগামীতে এ সমস্ত বিদআত সন্নিকট অনুষ্ঠানাদি থেকে আপনারা নিজেদের বিরত রাখবেন।
মুফতি আব্দুল হালিম বোখারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী এমপি, ফকীহুদ্দীন মাওলানা হাফিজ আহমদ উল্লাহ, মুফতি রফিক উদ্দীনসহ প্রমুখ বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম।