আজ থাকলো ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞানের অধ্যায় ৫ থেকে অধ্যায় ১২ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর।
ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান : অধ্যায় ৫ প্রশ্ন ও উত্তর
১. পৃথিবীর সমস্ত শক্তির উৎস কী?
উত্তর: সূর্য।
২. সালোকসংশ্লেষণের প্রধান স্থান কোনটি?
উত্তর: পাতা।
৩. পাতা কেন বেশি পরিমাণে সূর্যরশ্মি নিতে সক্ষম?
উত্তর: পাতা চ্যাপ্টা ও সম্প্রসারিত হওয়ার কারণে বেশি পরিমাণে সূর্যরশ্মি নিতে পারে।
৪. উদ্ভিদের কোন অংশে ক্লোরোপ্লাস্টের সংখ্যা বেশি থাকে?
উত্তর: পাতায়।
৫. পাতা কীসের মাধ্যমে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে?
উত্তর: পত্ররন্ধ্র।
৬. স্থলজ উদ্ভিদ কীসের মাধ্যমে পানি শোষণ করে?
উত্তর: মূলরোম।
৭. জলজ উদ্ভিদগুলো পানি সংগ্রহ করে কীভাবে?
উত্তর: দেহতলের মাধ্যমে।
৮. সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় প্রধান উৎসেচক হিসেবে কাজ করে কোন উপাদানগুলো?
উত্তর: সূর্যরশ্মি এবং ক্লোরোফিল।
৯. সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কী কী উৎপন্ন হয়?
উত্তর: গ্লুকোজ, অক্সিজেন এবং পানি।
১০. সালোকসংশ্লেষণ কয়টি পর্যায়ে হতে পারে?
উত্তর: দুইটি।
১১. জীবজগতের প্রাথমিক খাদ্য কী?
উত্তর: শর্করা।
১২. কোন প্রক্রিয়াটির উপর উদ্ভিদ ও প্রাণী একান্তভাবে নির্ভরশীল?
উত্তর: শ্বসন।
১৩. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় কোন গ্যাসটি ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: কার্বন ডাই-অক্সাইড
১৪. জীবনের অস্তিত্ব কীসের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর: সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ওপর।
১৫. একমাত্র কোন রংয়ের উদ্ভিদেই সালোকসংশ্লেষণ ঘটতে পারে?
উত্তর: সবুজ।
১৬. উদ্ভিদকোষে কোন অঙ্গাণুটি না থাকলে সালোকসংশ্লেষণ অসম্ভব?
উত্তর: প্লাস্টিড।
১৭. সালোকসংশ্লেষণ কীভাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে?
উত্তর: কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ ও অক্সিজেন ত্যাগের মাধ্যমে।
ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান : অধ্যায় ৬ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. মানুষের ইন্দ্রিয় কয়টি?
উত্তর: পাঁচটি।
২. চোখ কয়টি পেশির সাহায্যে অক্ষিকোটরের সাথে আটকে থাকে?
উত্তর: ৬ টি।
৩. অক্ষিগোলক নাড়াচাড়া করা সম্ভব হয় কেন?
উত্তর: অক্ষিপেশির কারণে।
৪. চোখের পিছনের অংশ কী রংয়ের?
উত্তর: কালো।
৫. কান্নার সময় চোখের পানি কোথা থেকে নিঃসৃত হয়?
উত্তর: অশ্রুগ্রন্থি।
৬. চোখের সামনে অংশটুকু যে পাতলা পর্দা দিয়ে ঢাকা থাকে তাকে কী বলে?
উত্তর: কনজাংটিভা।
৭. অক্ষিগোলক কয়টি স্তর নিয়ে গঠিত?
উত্তর: তিনটি।
৮. অক্ষিগোলকের স্তর গুলো কী কী?
উত্তর: স্ক্লেরা, কোরয়েড এবং রেটিনা।
৯. চোখের আকৃতি রক্ষা করে কোনটি?
উত্তর: স্ক্লেরা।
১০. চোখের ভেতর আলো প্রবেশ করে কীসের মাধ্যমে?
উত্তর: কর্নিয়া।
১১. চোখের ভেতরে কোন অংশে রক্তনালীগুলো থাকে?
উত্তর: কোরয়েড।
১২. আইরিশের মাঝখানে ছিদ্রকে কী বলে?
উত্তর: পিউপিল।
১৩. আইরিশ ও লেন্স অক্ষিগোলকের কোন স্তরের অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর: কোরয়েড।
১৪. চোখের লেন্সের প্রকৃতি কীরকম?
উত্তর: দ্বি-উত্তল।
১৫. চোখের লেন্স একটি বিশেষ পেশী দ্বারা আটকানো থাকে, ওটার নাম কী?
উত্তর: সিলিয়ারি পেশী।
১৬. কর্নিয়ার পেছনে অবস্থিত কালো রংয়ের গোলাকার পর্দাকে কী বলে?
উত্তর: আইরিশ।
১৭. চোখের মণি নামে পরিচিত কোনটি?
উত্তর: আইরিশ।
১৮. লেন্স দ্বারা অক্ষিগোলক কয়টি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত হয়?
উত্তর: দুইটি।
১৯. কান বা কর্ণ কয়টি অংশে বিভক্ত?
উত্তর: তিনটি।
২০. বহিঃকর্ণ কী কী অংশ নিয়ে গঠিত?
উত্তর: পিনা, কর্ণকুহর, কর্ণপটহ।
২১. পিনা কী ধরনের অস্থি নিয়ে গঠিত?
উত্তর: কোমলাস্থি।
২২. পিনা যে নালির সাথে যুক্ত থাকে তাকে কী বলে?
উত্তর: কর্ণকুহর।
২৩. বহিঃকর্ণের শেষ অংশ কোনটি?
উত্তর: কর্ণপটহ।
২৪. মধ্যকর্ণের অস্থিগুলোর নাম কী?
উত্তর: ম্যালিয়াস, ইনকাস, স্টেপিস।
২৫. অন্তঃকর্ণ কীসের মধ্যে অবস্থিত?
উত্তর: অডিটরি ক্যাপসুল।
২৬. অন্তঃকর্ণ কয়টি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত?
উত্তর: দুইটি।
২৭. অন্তঃকর্ণের প্রকোষ্ঠগুলো কী কী?
উত্তর: ইউট্রিকুলাস এবং স্যাকুলাস।
২৮. ইউট্রিকুলাস যে নালীগুলো নিয়ে গঠির তার আকৃতি কীরকম?
উত্তর: অর্ধবৃত্তাকার।
২৯. কানের কোন অংশটি অনেকটা শামুকের মতো?
উত্তর: স্যাকুলাস।
৩০. শ্রবণ সংবেদী কোষ কোথায় থাকে?
উত্তর: ককলিয়ায়।
৩১. নাকের কয়টি অংশ রয়েছে, কী কী?
উত্তর: দুইটি ; নাসারন্ধ্র এবং নাসাপথ।
৩২. নাসাপথের আকৃতি কীরকম?
উত্তর: ত্রিকোণাকার।
৩৩. নাসাপথের পেছনের অংশ যে ঝিল্লি দ্বারা আবৃত থাকে তাকে কী বলে?
উত্তর: ঘ্রাণ ঝিল্লি।
৩৪. আমাদের স্বাদ ইন্দ্রিয় কোনটি?
উত্তর: জিহ্বা।
৩৫. জিহবার অগ্রভাগে আমরা কোন স্বাদগুলো অনুভব করতে পারি?
উত্তর: মিস্টি এবং নোনতা।
৩৬. জিহবার কোন অংশে তেমন স্বাদকোরক থাকে না?
উত্তর: মাঝখানে।
৩৭. ত্বকের স্তর কয়টি?
উত্তর: দুইটি।
৩৮. লোম, চুল, নখের উৎপত্তি হয় ত্বকের কোন স্তর থেকে?
উত্তর: বহিঃত্বক বা উপচর্ম।
৩৯. ত্বকের কোন স্তরে লোমকূপ থাকে?
উত্তর: বহিঃত্বকে।
৪০. ত্বকের কোন স্তরে ঘর্মগ্রন্থি থাকে?
উত্তর: অন্তঃত্বকে।
ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান : অধ্যায় ৭ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর: যার ভর আছে এবং যা জায়গা দখল করে তাকেই পদার্থ বলে।
২. কঠিন পদার্থের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো কী কী?
উত্তর: আকার, আয়তন এবং দৃঢ়তা।
৩. গ্যাসীয় পদার্থের কী নির্দিষ্ট আয়তন আছে?
উত্তর: না।
৪. ধাতু এবং অধাতুর মধ্যে কোনটির ঘনত্ব বেশি?
উত্তর: ধাতু।
৫. বেশিরভাগ ধাতুর একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী? / ধাতু দেখতে কেমন?
উত্তর: চকচকে।
৬. তাপ পরিবহনের দিক থেকে ধাতু কেমন?
উত্তর: তাপ সুপরিবাহী।
৭. কেন যেকোনো বৈদ্যুতিক কাজে ধাতু বা ধাতব পদার্থ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: কারণ ধাতু বিদ্যুৎ পরিবহনে সক্ষম।
৮. তাপ দিলে একটি এলুমিনিয়ামের পাত্র এবং একটি প্লাস্টিকের পাত্রের মধ্যে কোনটি আগে গরম হবে?
উত্তর: এলুমিনিয়ামের পাত্র।
৯. যে তাপমাত্রায় একটি তরল পদার্থ বাষ্পে পরিণত হয় সে তাপমাত্রাকে কী বলে?
উত্তর: স্ফুটনাঙ্ক।
১০. পানির হিমাংক কত?
উত্তর: শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১১. একটি বস্তুর গলনাঙ্ক এবং হিমাংকের মধ্যে সম্পর্ক কী?
উত্তর: সমান।
ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান : অধ্যায় ৮ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. যে মিশ্রণে সমস্ত উপাদান সুষমভাবে বন্টিত হয় তাকে কী বলে?
উত্তর: দ্রবণ বা সমস্বত্ব মিশ্রণ।
২. দ্রবণের সমীকরণ কী?
উত্তর: দ্রবণ = দ্রব + দ্রাবক।
৩. দ্রবণে কোনটির পরিমাণ বেশি থাকে?
উত্তর: দ্রাবক।
৪. পানিতে চিনি মিশিয়ে শরবত বানানো হলে, এখানে দ্রব কোনটি?
উত্তর: চিনি।
৫. পানি ছাড়াও আর কী কী উপাদান দ্রাবক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে?
উত্তর: এসিটোন, স্পিরিট, ইথার।
৬. পানি এবং লেবুর রসের শরবতকে কী ধরনের দ্রবণ বলা যেতে পারে?
উত্তর: তরল – তরল দ্রবণ।
৭. সেভেন আপ কোন ধরনের দ্রবণ?
উত্তর: তরল – গ্যাস দ্রবণ।
ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত সমাধান
৮. মাছ অক্সিজেন পায় কোথা থেকে?
উত্তর: পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন থেকে।
৯. ফরমালিন কী?
উত্তর: একটি তরল – গ্যাস দ্রবণ যা হচ্ছে পানিতে ফরমালডিহাইড নামক গ্যাসের দ্রবণ।
১০. সর্বজনীন দ্রাবক কী?
উত্তর: যে দ্রাবক সকল পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে তাই সর্বজনীন দ্রাবক।
১১. একটি সর্বজনীন দ্রাবকের নাম লেখ।
উত্তর: পানি।
১২. বাষ্পীভবন কাকে বলে?
উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় তরল পদার্থকে বাষ্পে পরিণত করা যায় তাকে বাষ্পীভবন বলে।
১৩. গ্লুকোজকে পানি থেকে আলাদা করা সম্ভব কোন পদ্ধতিতে?
উত্তর: বাষ্পীভবন।
১৪. তরল ও কঠিন পদার্থের মিশ্রণ থেকে কঠিন পদার্থকে আলাদা করার প্রক্রিয়াকে কী বলে?
উত্তর: পরিস্রাবণ।
১৫. কী কী প্রক্রিয়ায় পানির কোনো মিশ্রণ থেকে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যেতে পারে?
উত্তর: ঘনীভবন এবং বাষ্পীভবন।
১৬. সাসপেনসন এবং কলয়েডের মাঝে প্রধান পার্থক্য কী?
উত্তর: সাসপেনসনে তলানি পরে কিন্তু কলয়েডে কোনো তলানি জমা হয়না।
১৭. কলয়েডে যে উপাদানটি কম পরিমাণে থাকে তাকে কী বলে?
উত্তর: ডিসপারসড ফেজ।
১৮. কলয়েডের দুইটি উদাহরণ লেখ।
উত্তর: দুধ, কুয়াশা।
১৯. দুধের প্রধান উপাদান কী কী?
উত্তর: পানি এবং চর্বি।
ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত সমাধান
২০. কলয়েডের ভাসমান কণাগুলোর আকার কত হতে পারে?
উত্তর: ১ – ১০০০ ন্যানোমিটার।
২১. সাসপেনসনে কণাগুলোর আকার কত হয়ে থাকে?
উত্তর: ১ মাইক্রোমিটারের বেশি।
ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান : অধ্যায় ৯ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. আলো কী?
উত্তর: আলো একপ্রকার শক্তি।
২. শক্তি কাকে বলে?
উত্তর: কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে।
৩. আলো কীভাবে চলে?
উত্তর: আলো সরলরেখায় চলে।
৪. একটি বস্তু সকল আলো শোষণ করলে তাকে কী রংয়ের দেখায়?
উত্তর: কালো।
৫. উজ্জ্বল এবং অনুজ্জ্বল রংয়ের মধ্যে কোনটি বেশি আলো শোষণ করে?
উত্তর: উজ্জ্বল রং।
৬. আলোর শোষণ কাকে বলে?
উত্তর: কোন বস্তুতে আলো পড়ে তা যদি আর ফিরে না আসে তাকে শোষণ বলে।
৭. প্রতিফলন কাকে বলে?
উত্তর: কোনো বস্তুতে আলো পড়ে তা বাধা পেয়ে ফিরে আসলে তাকে প্রতিফলন বলে।
৮. আপাতন কোণ এবং প্রতিফলন কোণের মাঝে সম্পর্ক কী?
উত্তর: আপাতন কোণ = প্রতিফলন কোণ।
৯. যে প্রতিফলনে আপাতত রশ্মিগুলো পরষ্পর সমান্তরাল হলেও প্রতিফলন রশ্মিগুলো সমান্তরাল হয় না, তাকে কী বলে?
উত্তর: অনিয়মিত বা বিক্ষিপ্ত বা ব্যাপ্ত প্রতিফলন।
১০. একটি মসৃণ ও অমসৃণ তলের মধ্যে কোনটি বেশি আলো প্রতিফলন করবে?
উত্তর: মসৃণ তল।
১১. কোন একটি তলে ৩০° কোণে আলো পড়লে, আলো প্রতিফলিত হবে কত কোণে?
উত্তর: ৩০°
১২. পেরিস্কোপ কীভাবে তৈরি করা হয়?
উত্তর: আলোর প্রতিফলনকে কাজে লাগিয়ে।
১৩. পেরিষ্কোপের কী ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: সমতল দর্পণ।
১৪. পেরিষ্কোপে কয়টি দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: দুইটি।
১৫. দর্পণগুলোকে পেরিষ্কোপের সাথে কত ডিগ্রী কোণে স্থাপন করা হয়?
উত্তর: ৪৫° কোণে।
১৬. পেরিষ্কোপে আলোর বিসরণ ঘটে কত ডিগ্রী কোণে?
উত্তর: ৯০°
১৭. পেরিষ্কোপের ব্যবহার দেখা যায় এমন একটি ক্ষেত্রের নাম লেখ।
উত্তর: স্টেডিয়ামে খেলা দেখার কাজে।
১৮. দর্পণে প্রতিবিম্ব কেমন হয়?
উত্তর: বস্তুর আকৃতির সমান।
১৯. দর্পণ থেকে প্রতিবিম্বের দুরত্ব কতখানি হয়?
উত্তর: দর্পণ থেকে বস্তুর দুরত্বের সমান।
২০. কোন পৃষ্ঠে আলোর পতনকে কী বলা হয়?
উত্তর: আপাতন।
ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান : অধ্যায় ১০ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. সকল স্থিতি এবং সকল গতিই কী?
উত্তর: আপেক্ষিক।
২. যার সাপেক্ষে কোনো বস্তুর স্থিতি বা গতি নির্ধারণ করা হয় তাকে কী বলে?
উত্তর: প্রসঙ্গ কাঠামো।
৩. কোথাও বসে থাকা অবস্থায়ও তুমি কী প্রকৃতপক্ষে স্থির?
উত্তর: না, গতিশীল।
৪. গতি কয় ধরনের হতে পারে?
উত্তর: ৫ ধরনের।
৫. যে গতিতে কোনো বস্তুর প্রতিটি কণা একই সময়ে একই দিকে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে, এই ধরনের গতিকে কী বলে?
উত্তর: চলন গতি।
৬. একটি চলন্ত সাইকেলের চাকার গতি কী ধরনের গতি?
উত্তর: ঘূর্ণন-চলন গতি।
৭. কোনো গতিশীল বস্তু একই পথ বারবার অতিক্রম করলে এ ধরনের গতিকে কী বলে?
উত্তর: পর্যাবৃত্ত গতি।
৮. ফ্যান চললে ফ্যানের পাখায় কয় ধরনের গতি লক্ষ করা যায়?
উত্তর: দুই ধরনের। ঘূর্ণন গতি এবং পর্যাবৃত্ত গতি।
৯. ফ্যানের পাখার গতিকে কী ঘূর্ণন-চলন গতি বলা যায়?
উত্তর: না।
[ ঘূর্ণন-চলন গতি হতে হলে একইসাথে বস্তুটির ঘূর্ণন গতি এবং চলন গতি থাকতে হবে। ফ্যানের ঘূর্ণন গতি থাকলেও, ফ্যান একই পরিধির মধ্যে ঘুরতে থাকে অর্থাৎ কোনো দূরত্ব অতিক্রম করে না। তাই, চলন গতি হয় না। ]
১০. স্পন্দন গতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যে গতিতে একটি বস্তু এর অবস্থানের অগ্রপশ্চাৎ চলে তাকে স্পন্দন গতি বা দোলন গতি বলে।
১১. দেয়াল ঘড়ির কাটা এবং দোলক কোনটিতে কোন ধরনের গতি দেখা যায়?
উত্তর: দেয়াল ঘড়ির কাটায় পর্যাবৃত্ত গতি এবং দোলকে দোলন বা স্পন্দন গতি।
১২. সরণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: একটি বস্তুর প্রথম অবস্থান থেকে শেষ অবস্থান পর্যন্ত সরলরৈখিক দূরত্ব।
১৩. মিনা পূর্ব দিকে ৭ কি.মি হেঁটে পরে উত্তর দিকে আরও ৭ কিলোমিটার হাঁটলো, মিনার সরণ কত?
উত্তর: ৭ কিলোমিটার।
১৪. টিকলী তার স্কুল থেকে বাসা পর্যন্ত ৬ কি.মি হেঁটে গেলো আবার বাসা থেকে সেই অবস্থানেই ফেরত আসলো যেখান থেকে হাঁটা শুরু করেছিলো। তার সরণ কত?
উত্তর: ০ কি.মি
[ সরণ = প্রথম অবস্থান ও শেষ অবস্থানের মধ্যে সোজাসুজি দূরত্ব। প্রশ্নের টিকলীর প্রথম অবস্থান ও শেষ অবস্থান একই তাই, তার সরণ শূন্য ]
১৫. তৃণা ও রফিক ১২ কি. মি পথ অতিক্রম করলো যথাক্রমে ৩ মিনিট ও ৪ মিনিটে। এখানে কার দ্রুতি বেশি?
উত্তর: তৃণার দ্রুতি = ১২÷৩ বা, ৪ কি.মি / মিনিট
রফিকের দ্রুতি = ১২÷৪ বা, ৩ কি.মি / মিনিট
অর্থাৎ তৃণার দ্রুতি বেশি।
১৬. বেগ কাকে বলে?
উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট দিকে দ্রুতিকে বলা হয় বেগ।
১৭. ত্বরণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: সময়ের সাথে বেগের পরিবর্তন।
১৮. মন্দন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: সময়ের সাথে কোনো বস্তুর বেগ কমলে তাকে ঋঋণাত্মক ত্বরণ বা মন্দন বলে।
ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত সমাধান
ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান : অধ্যায় ১১ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. বল প্রয়োগের প্রতিটি ঘটনায় কোনো দুইটি জিনিস জড়িত?
উত্তর: ধাক্কা, টান
২. যান্ত্রিক সুবিধার সূত্র লেখ।
উত্তর: যান্ত্রিক সুবিধা = ভার ÷ প্রযুক্ত বল।
৩. কাঁচি কোন শ্রেণির লিভার?
উত্তর: প্রথম শ্রেণির।
৪. কোন শ্রেণির লিভারে প্রযুক্ত বলের অবস্থান মাঝখানে হয়?
উত্তর: তৃতীয় শ্রেণির লিভার।
৫. একটি এক চাকার ঠেলা গাড়ি কী ধরনের লিভার হিসেবে কাজ করে?
উত্তর: দ্বিতীয় শ্রেণির লিভার।
৬. হাতুড়ি কোন শ্রেণির লিভার হিসেবে কাজ করে?
উত্তর: প্রথম শ্রেণির।
৭. একটি হেলানো তলের উচ্চতা ৫ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ২০ মিটার হলে, এর যান্ত্রিক সুবিধা কত?
উত্তর = ৪
[ হেলানো তলের যান্ত্রিক সুবিধা = হেলানো তলের দৈর্ঘ্য ÷ হেলানো তলের উচ্চতা ]
৮. একটি হেলানো তলের উচ্চতা বাড়লে যান্ত্রিক সুবিধা বাড়বে নাকী কমবে?
উত্তর: কমবে।
৯. কপিকল কী?
উত্তর: এক ধরনের সরল যন্ত্র যা সাধারণত ভারি বস্তু উপরে উঠাতে ব্যাবহৃত হয়।
১০. চাকা ও অক্ষদণ্ডের যান্ত্রিক সুবিধা কীসের উপর নির্ভর করে?
উত্তর: এদের ব্যাসার্ধের অনুপাতের উপর।
১১. একটি চাকা অক্ষদণ্ড দ্বারা ১ কিলোগ্রাম বল প্রয়োগ করে ১০ কিলোগ্রাম ভরের বস্তুকে উঠানো যায়, তাহলে চাকার ব্যাসার্ধ অক্ষদণ্ডের ব্যাসার্ধের কত গুণ?
উত্তর: ১০ গুণ।
১২. মানবদেহের কোন অঙ্গগুলো লিভারের নীতি অনুসরণ করে থাকে?
উত্তর: মুখের চোয়াল, পায়ের নিচের অংশ ও হাত।
১৩. লিভারে কোনটির দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে বা কমিয়ে যান্ত্রিক সুবিধা আদায় করা যায়?
উত্তর: বলবাহু বা ভারবাহু।
ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান : অধ্যায় ১২ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. আনুমানিক কত বছর পূর্বে পৃথিবীর উৎপন্ন হয়?
উত্তর: সাড়ে চার মিলিয়ন বছর পূর্বে।
২. পৃথিবী কোন যে ছায়াপথে অবস্থিত তার নাম কী?
উত্তর: মিল্কিওয়ে।
৩. সূর্য কী দ্বারা তৈরি?
উত্তর: সূর্য গ্যাসের তৈরি একটি পিণ্ড।
৪. সূর্যে কোনো গ্যাসের পরিমাণ বেশি?
উত্তর: হাইড্রোজেন।
৫. সূর্য একটি গ্রহ, কথাটি কি সঠিক?
উত্তর: না। সূর্য একটি নক্ষত্র।
৬. সূর্যকে কেন্দ্র করে কয়টি গ্রহ ঘুরছে?
উত্তর: সূর্যকে কেন্দ্র করে আটটি গ্রহ ঘুরছে।
৭. পৃথিবীকে একবার আবর্তন করে চাঁদের কত সময় লাগে?
উত্তর: ২৭ দিন ৮ ঘন্টা।
৮. পৃথিবীর আয়তন চাদের আয়তনের কত গুণ?
উত্তর: পঞ্চাশ গুণ।
৯. সূর্য পৃথিবীর তুলনায় কয় গুণ বড়?
উত্তর: তের লক্ষ গুণ।
১০. পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাস সবথেকে বেশি পরিমাণে আছে?
উত্তর: নাইট্রোজেন।
১১. পৃথিবীপৃষ্ঠের কাছাকাছি বায়ুমন্ডল ঘন হওয়ার কারণ কী?
উত্তর: পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন বল।
১২. বায়ুমণ্ডলের প্রথম ধাপ কোনটি?
উত্তর: ট্রপোস্ফিয়ার।
১৩. মেঘ কী দ্বারা তৈরি।
উত্তর: জলীয়বাষ্প।
১৪. স্ট্রাটোস্ফিয়ার ভূপৃষ্ঠ থেকে কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত?
উত্তর: পঞ্চাশ কিলোমিটার পর্যন্ত।
১৫. ট্রপোস্ফিয়ার ভূপৃষ্ঠ থেকে কত কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত?
উত্তর: এগারো কিলোমিটার।
১৬. ওজোন গ্যাস বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে থাকে?
উত্তর: দ্বিতীয় স্তর, স্ট্রাটোস্ফিয়ার।
১৭. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে আমাদের রক্ষা করে?
উত্তর: স্ট্রাটোস্ফিয়ার।
১৮. পৃথিবীর ভেতরের অংশ কয়ভাগে বিভক্ত?
উত্তর: তিন ভাগে। শিলামণ্ডল, কেন্দ্রমণ্ডল এবং গুরুমণ্ডল।
১৯. কেন্দ্রমণ্ডলের ব্যাসার্ধ কত?
উত্তর: প্রায় ৩৫০০ কিলোমিটার।
২০. আগ্নেয়গিরির লাভা পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কোন অংশ থেকে বের হয়?
উত্তর: গুরুমণ্ডল।
২১. শিলামণ্ডল পৃথিবী পৃষ্ট থেকে কত কিলোমিটার নিচে পর্যন্ত বিস্তৃত?
উত্তর: একশত কিলোমিটার।
২২. কোন তত্ত্ব দ্বারা আগ্নেয়গিরির উদগীরণ ও ভূমিকম্প ব্যাখ্যা করা যায়?
উত্তর: প্লেট টেকটোনিক তত্ত্ব।
২৩. প্লেট কোন স্তরে অবস্থিত?
উত্তর: শিলামণ্ডল।
২৪. আগ্নেয়গিরির উদগীরণে যে তরল পদার্থ বের হয়ে আসে তার নাম কী ?
উত্তর: ম্যাগমা।
২৫. মাটি তৈরি হয় কী দ্বারা?
উত্তর: শিলা।
২৬. কঠিন শিলা থেকে মাটি তৈরি হয় কয়টি পর্যায়ে?
উত্তর: দুইটি পর্যায়ে।
২৭. হিউমাস কাকে বলে?
উত্তর: মাটিতে পঁচা ও মৃত জীবদেহ মিশে তৈরি কালো বা অনুজ্জ্বল উপাদান হিউমাস নামে পরিচিত।
২৮. বন্যার পানি কোন ধরনের মাটি বয়ে আনে?
উত্তর: পলিমাটি।
২৯. ফসল চাষের জন্যে উপযোগী মাটি কোনটি?
উত্তর: পলিমাটি।
৩০. চুনাপাথর কী?
উত্তর: চুনাপাথর এক ধরনের খনিজ পদার্থ।
৩১. চুনাপাথরের রাসায়নিক নাম কী?
উত্তর: ক্যালসিয়াম কার্বনেট।
৩২. সিমেন্ট তৈরির মূল উপাদান কী?
উত্তর: চুনাপাথর।
৩৩. বাংলাদেশের কোন স্থানে চুনাপাথর পাওয়া যায়?
উত্তর: জয়পুরহাট এবং সিলেট।
৩৪. ইউরিয়া সার তৈরি হয় কী থেকে?
উত্তর: প্রাকৃতিক গ্যাস।
৩৫. পলিথিন তৈরি হয় কী থেকে?
উত্তর: পেট্রোলিয়াম।