Sunday, May 5
Shadow

খামোশ বললে জনগণ খামোশ হয়ে যাবে না: শেখ হাসিনা

গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খামোশ বললেই কি মানুষের মুখ খামোশ হয়ে যাবে? খামোশ বললে জনগণ খামোশ হয়ে যাবে না, মানুষকে খামোশ রাখা যাবে না।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, কামাল হোসেনরা, তাঁরা এই লজ্জাটা কোথায় রাখবেন? আমার এটাই প্রশ্ন।’ তিনি বলেন, ‘তাঁরা লজ্জা পান? নাকি পান না?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে যাদের আমরা পরাজিত করলাম, তাদের দোসরদের ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হলো। যারা একসময় আমাদের দলে ছিল, এখন বিএনপি জোটের সঙ্গে চলে গেল, তাঁরা কীভাবে নির্বাচন করবেন? এই প্রশ্নের জবাব কি তাঁরা জাতির কাছে দিতে পারবেন? তবে তাঁদের লাজলজ্জা কম আছে। একজন প্রশ্ন করতেই তাকে খামোশ বলে দিলেন।’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাঁরা এত বড় বড় কথা বললেন, সেই কামাল হোসেন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, কাদের সিদ্দিকী তো তাঁর মেয়েকেও ধানের শীষ দিয়ে ইলেকশনে…। আমাদের মান্নার এত তাত্ত্বিক লেখা, এত সুন্দর সুন্দর কথা, এত জ্ঞানগর্ভ কথা…কোথায় গেল সেই বিবেক? তাঁদের সেই বিবেকটা গেল কোথায়?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাঁরা আজকে তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, ওই ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে রয়েছেন, তাঁরা রাজনীতিটাকে কোথায় নামিয়েছেন? মনে হয় রাজনীতিটাকে অপরাধী জগতের রাজনীতিতে পরিণত করেছেন। তিনি আরও বলেন, রাজনীতি হবে মানুষের কল্যাণে, দেশের মঙ্গলে। আজকে সেখানে অপরাধীরা যদি এসে যায়, তাহলে দেশের ভাগ্যে কী ঘটবে?

অপরাধীদের ভোট না দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অপরাধীদের ভোট দেবেন না। এই অপরাধীরা যেন আর কখনো নির্বাচিত হতে না পারে, যেসব অঞ্চলে এরা দাঁড়িয়েছে, তাদের চিহ্নিত করুন। সম্পূর্ণভাবে এদের বয়কট করুন।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানদের পক্ষে বক্তব্য দেন নুজহাত চৌধুরী, শমী কায়সার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!