আমিন মুনশি : প্রতীকী কাবা শরিফ ও মাকামে ইব্রাহিম বানিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পাঁচ শতাধিক হজ যাত্রীকে বিনামূল্যে হজ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। গত ২২ জুন উপজেলার যাত্রামুরা এলাকায় মারুফ শারমিন স্মৃতি সংস্থার উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে।
হজ প্রশিক্ষণের নামে এবারই প্রথম কোনো চিত্র সামনে এলো, যেখানে পবিত্র কাবা শরিফের প্রতীকী বানিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন জেলা এলাকা থেকে হজে যেতে ইচ্ছুক পাঁচ শতাধিক মানুষকে হজের নিয়ম-কানুন শেখানো হয়।
এ বিষয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্স সেন্টারের মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি আরশাদ রহমানী প্রতীকি কাবা তৈরি ও প্রশিক্ষণ প্রদান স্পষ্ট হারাম বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কাবা শরিফ পৃথিবীতে একটিই। এমন করে প্রতীকী কাবা তৈরি করে প্রশিক্ষণ দেয়া হারাম।’ প্রতীকী কাবা বানানো নাজায়েজ কেন? এমন প্রশ্নে মুফতি মিযানুর রহমান বলেন, ‘কাবা ঘরের একটি সম্মান রয়েছে। আমরা সেই ঘরের প্রতীকী বানালে কাবা শরিফের প্রতি মানুষের সম্মান কমে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে কতিপয় বেদাতিরা প্রতীকী কাবা বানিয়ে তাওয়াফ করে থাকে এবং তারা বলে এভাবে তাদের হজ আদায় হয়ে যাবে। সেদিকে লক্ষ্য করলেও প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রতীকী কাবা বানানো ফেতনার সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে তা জায়েজ নেই।