টোকিও অলিম্পিকের জন্য ভ্রাম্যমাণ মসজিদ তৈরি শেষ হয়েছে। ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে এ মসজিদের সে ভিডিও ইতিমধ্যে ভারইরাল হয়ে গেছে। কী কী সুবিধা থাকছে ভ্রাম্যমাণ মসজিদে?
জাপানের রাজধানী টোকিওতে ২০২০ সালে শুরু হবে অলিম্পিক গেমস। টোকিও অলিম্পিক ২০২০-এ অংশগ্রহণকারী মুসলিম অ্যাথলেট, কর্মকর্তা ও দর্শনার্থীদের জন্য অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ এ মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
অলিম্পিকের বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজনের স্থান, প্রশিক্ষণ ক্যাম্প, আবাসন ক্যাম্প ও অলিম্পিক গেমসের ভেন্যু অনুযায়ী নির্ধারিত স্টেডিয়াম ও তার পাশ্ববর্তী গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থান করবে এ ভ্রাম্যমাণ মসজিদগুলো। যাতে নামাজ পড়বে মুসলিম নারী-পুরুষ।
জাপানে তৈরি এ মোবাইল মসজিদগুলোতে রয়েছে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা আলাদা নামাজ পড়ার স্থান। রয়েছে ফ্রেশরুম এবং ওজুর সুব্যবস্থা।
ভ্রাম্যমান এ মসজিদগুলো কাভার্ডভ্যানের মতো করে বড় বড় ট্রাকের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। যাতে সহজে বিভিন্ন ভেন্যুতে স্থানান্তর করা যায়। এ রকম মোট ১০টি ভ্রাম্যমান মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
টোকিও আলিম্পিক ২০২০-এ মুসলিম অ্যাথলেট, কর্মকর্তা ও দর্শনার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ। মুসলিমরা যেন তাদের ভ্রমণে ইবাদতের উপযুক্ত পরিবেশ পায় সে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
কাতারের ডিজাইন শিল্পীদের তত্ত্বাবধানে ইন্টরিয়র করা মোবাইল মসজিদের ভিডিও ইতিমধ্যে ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে। এর অবকাঠামোগত সব সুবিধার সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
উল্লেখ্য যে, ১৯৩১ সালে জাপানে সর্বপ্রথম মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। জাপানের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসী আসার কারণে জাপানে দিন দিন মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে মসজিদের সংখ্যাও।
https://youtu.be/HgRa3DhBY_k