class="post-template-default single single-post postid-2212 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

বেশিরভাগ সময় এসি-তে থাকেন? এ সব অসুখের শিকার হচ্ছেন না তো?

যুগের সঙ্গে পর্যটন ব্যবস্থাতেও এসেছে বদল, সেখানেও এসি গাড়ি, এসি বাসের ছড়াছড়ি। এ দিকে বেশির ভাগ অফিসেও এসি। ফলে এসি-তে থাকার অভ্যাসের কারণে গরম আরও অসহ্য হয়ে উঠেছে। তাই সংস্থান থাকলে বাড়িতেও মানুষ লাগিয়ে নিতে চাইছেন এসি।

কিন্তু জানেন কি, সারা ক্ষণ এসি-তে থাকার আরামের মধ্যেই রয়ে যাচ্ছে অসুখের পরোয়ানা। তাই এ সব থেকে বাঁচতে মাঝে মাঝেই প্রাকৃতিক হাওয়া বা পাখার হাওয়ায় থাকার অভ্যাস করুন। এসি-র কারণে কী কী অসুখের শিকার হতে পারেন জানেন? দেখে নিন সে সব।

ওবেসিটি: চিকিৎসকদের মতে, এসি-র শুকনো ও স্যাঁতসেঁতে হাওয়া শরীরে মেদ জমতে সাহায্য করে। তাই ওবেসিটির শিকার হন অনেকেই। নানা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এসি ঘরে না থাকা মানুষদের তুলনায়, এসি ঘরে থাকা মানুষদের হঠাৎ মেদবহুল হয়ে পড়ার নজির রয়েছে।

মাইগ্রেন: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ভাস্কর দাসের মতে, মাইগ্রেন তো বটেই, তা ছাড়া যে কোনও রকম মাথা যন্ত্রণাকে বাড়িয়ে তোলে এসি। বহু ক্ষণ এসি ঘরে থাকলে ঠান্ডাজনিত অসুখের প্রাদুর্ভাব বাড়ে ফলে মাথা ব্যথার প্রকোপও বেড়ে যায়।

ক্লান্তি: আরামের জন্য এসি চালালেও এসি আসলে আপনার শরীরকে শুষ্ক করে দেয়। ফলে জল তেষ্টা টের না পেলেও শরীরের অভ্যন্তরে জলের চাহিদা তৈরি হয়। তাই এসি-তে থাকলে বেশি করে জল খাওয়ার অভ্যাস রাখুন। জলের ঘাটতির জন্য শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে।

নানা সংক্রমণ: এসি-র শৈত্যে চোখ-কান-গলার ক্ষতি হয়। শরীরের আর্দ্রতা কমে যাওয়াই শুধু নয়, এসি-র হাওয়ায় অনেকেরই শরীরের স্নায়ু ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ঠান্ডা লাগা বা নাক-কান-গলায় সংক্রমণ ঠেকানো যায় না।

ভাইরাসঘটিত অসুখ: দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার ফলে নাকের প্যাসেজ শুকনো হয়ে যায়। তার ফলে মিউকাস শুকিয়ে গিয়ে ভাইরাস সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে ৷

চোখের অসুখ: ঠান্ডা লাগার ধাত আছে আপনার? তা হলে এসি-র প্রভাবে ড্রাই আইজ হতে পারে আপনারও। দীর্ঘ ক্ষণ এসি ঘরে থাকলে শৈত্য ও শুষ্কতার কারণে চোখের ভিতরের অংশ শুকনো হয়ে যায়। ফলে চোখ কড়কড় করে। চোখ থেকে জলও পড়ে।

ত্বকে সংক্রমণ: এটি মূলত গরম কালের অসুখ। গরমে সূর্যের তাপ বেশি হওয়ায় এই সময় এসি-র ব্যবহারও বেশি হয়। এই সময় বাইরে কড়া রোদ ও ভিতরে এসি-র তাপমাত্রা সম্পূর্ণ আলাদা থাকে। শুষ্ক হয়ে ওঠার কারণে শরীরের ত্বক এই দুই তাপমাত্রার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। এতে অনেকের ত্বকে এক ধরনের অ্যালার্জি দেখা দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!