হলুদ শুধুমাত্র রান্নার স্বাদ বাড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয় না। হলুদের অনেক গুণাগুণ। যুগ যুগ ধরে তাই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাশাস্ত্রে হলুদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ইদানীং অনেক রোগে চিকিৎসকরা পথ্য হিসেবে হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আলসারেটিভ কোলাইটিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, সোরিয়াসিস, পারকিনসনস, ডিমেনশিয়া, আলঝেইমার্স ডিজিজ এমনকি ক্যান্সার নিরাময়ের ক্ষেত্রেও হলুদ খুবই কার্যকরী বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ৪০০-৬০০ মিলিগ্রাম হলুদ খাওয়া যেতে পারে। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে হলুদ বেশ উপকারী। এ বার জেনে নেওয়া যাক হলুদের নানা উপকারী দিক…
১) ফাটা ঠোঁটের পরিচর্যাতেও হলুদ খুবই উপকারী। একটি পাত্রে ১ চামচ চিনি, ১ চামচ হলুদ আর ১ চামচ মধু মেশান। এ বার মিশ্রণটি ঠোঁটে মেখে ৫ মিনিট রেখে তার পর ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতি নিয়মিত ব্যবহারে দ্রুত উপকার পাবেন।
২) হলদেটে দাঁত ঝকঝকে সাদা করতে হলুদ বেশ কার্যকরী একটি উপাদান। দাঁত ব্রাশ করার সময় পেস্টের সঙ্গে সামান্য হলুদ গুঁড়ো দিয়ে নিন। এই ভাবে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের হলদেটে ভাব কেটে যাবে।
৩) তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে হলুদের ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি পাত্রে ২ চামচ চন্দনের গুঁড়ো, ২ চামচ লেবুর রস আর সামান্য হলুদের গুঁড়ো ভাল করে মেশান। এ বার মিশ্রণটি মুখে মেখে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে তার পর ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাক ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দ্রত কমিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৪) মলিন ত্বকের সমস্যায় ও চোখের নিচের কালচে ভাব দূর করতে হলুদ খুবই উপকারী। একটি পাত্রে ২ চামচ টক দই, ১ চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ চামচ ময়দা, ১ চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি গোটা মুখে ভাল করে মেখে অন্তত ২০ মিনিট রেখে তার পর ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিতে হলুদের ব্যহহার ত্বকের মলিনতা ও চোখের নিচের কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
৫) মুখের বা ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে হলুদ খুবই উপকারী। একটি পাত্রে এক কাপ দুধ নিয়ে তার মধ্যে ১ চামচ হলুদ গুঁড়ো ও ১ চামচ নুন মেশান। এ বার মিশ্রণটি ত্বকের কালচে দাগের ওপর লাগিয়ে অন্তত ১৫ মিনিট রেখে দিন। তার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।