Thursday, December 26
Shadow

বিয়ে বাড়িতে সাহিত্য ছোঁয়া

রায়হান উদ্দিন 

লেখক, সাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিক, কলামিস্ট, শিল্পীরা সবাই একসাথে হলেই সেখানে রুপ নেয় বাড়তি আনন্দ৷ আড্ডা জমে যাই সাহিত্যের ছোঁয়ায়৷ সম্প্রতি বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা আজহার মাহমুদ ভাইয়ের শুভ বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে লেখকদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত আড্ডা জমেছে। সাহিত্য নিয়ে আড্ডা শুরু হলেই শেষ হতে আর চাইনা। সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নেজাম উদ্দিন ভাইয়ের কাজ থাকলেও যখন দেখলো সাহিত্য আড্ডার জমজমাট আয়োজন। উনার কি মন চাই চলে যেতে? উনিও আর গেলোনা আড্ডা শেষ হওয়া পর্যন্ত। সেখানে উপস্থিত ছিল- সাংবাদিক সহ, তরুণ লেখকরা৷ বর নিজেও স্টেজ থেকে উঠে এসে আড্ডাতে কিছু সময় দিলো৷ বর সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিয়মিত কলাম, গল্প, কবিতা, ফিচার নিয়ে লেখালেখি করেন। 

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা আজহার মাহমুদ ভাইয়ের শুভ বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান

আড্ডার শুরুটা হয়েছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘শিউলি মালা’ গল্প দিয়ে। এটি কাজী নজরুল ইসলামের শ্রেষ্ঠ গল্পগুলোর মধ্যে একটি। সেখানে আজহার আর শিউলির মধ্যে প্রেম হয়। এই বিয়ের অনুষ্ঠানের বরের নামও আজহার মাহমুদ। তাই এটা নিয়ে মেতে উঠা শুরু করল৷ ফাতেমাতুজ জোহুরা আপু বলল শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যেমন একদিন বাসায় বলেছিলেন আড্ডা দিতে হলে দেয়ালঘড়ি সরাতে হবে। আজহার ভাই ভাবির সাথে বিয়ের ছবি সরিয়ে আড্ডা দিতে বললে উনি কি রাজি হবেন? গাজী আরাফাত ভাই বলে উঠল- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসে অমিত রায় বলেছিলেন ‘পুরুষ আধিপত্য ছেড়ে দিলে মেয়ের আধিপত্য শুরু হয়।’ আজহার ভাইয়ের বেলায় ওকি সেরকম হতে যাচ্ছে! আজকে তিনি কবুল বলে নিজের আধিপত্য ছেড়ে দিচ্ছেন ভাবির হাতে? হীরা আপু বলল, আজহার মাহমুদ ভাইকে ভাবি এমনভাবে ভালোবাসবে যেভাবে এডলফ হিটলার কে ইভা ব্রাউন ভালোবেসেছিল। তানিয়া আপু বলল- তিনি ভাবিকে সাহিত্য প্রেমি বানিয়ে পেলবেন। কয়দিন পর ভাবির লেখা পত্রিকার পাতা সাহিত্য রসে ফুটে উঠবে। 

তৈয়বা খানম আপু বলল- হাঁটিহাঁটি পা পা করে আজহার মাহমুদ ভাই এই পর্যায়ে এসেছে। আজকে বাংলাদেশের নামকরা পত্রিকায় উনার লেখনীতে ফুটে উঠে সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার। তরুণ লেখক ফোরামের সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা নেজাম উদ্দিন ভাই বলল- আজহার মাহমুদ ভাই সাহিত্য-সাংস্কৃতিক জগতেই বেড়ে উঠা উনার। তিনি সৃজনশীল বিকাশ চর্চার মানুষ। বিয়েটা সাজিয়েছে সেভাবে। নেজাম ভাই বিয়েকে আরো সৌন্দর্য দেওয়ার উপহার দিলেন গাছ৷ উনাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক গাছ রোপণ করার মাধ্যমে। বলা যায় এই বিয়েটাও লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের মিলনমেলা। আড্ডার একটি আসর। ইকরাম আকাশ ভাই বলল- ‘নেই কোন আলোর ঝলকলানি, ছড়িয়েছে সাহিত্যের দ্যুতি, হারায়নি বিয়ের জৌলুস।’ আমি বলেছিলাম প্রিয় মানুষরা থাকুক হ্নদয়ে। থাকুক সঙ্গী হয়ে সারাজীবন। সময়ের কারণে আড্ডা টা শেষ করে বর-কনে কে শুভ কামনা জানিয়ে লেখকদের সাথে সুন্দর সময় কাটিয়ে বাসায় ফিরে এলাম। 

লেখক পরিচিতি: 

রায়হান উদ্দিন 

শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!