class="post-template-default single single-post postid-47339 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ফেনীতে চাষ হচ্ছে বলসুন্দরী ও কাশ্মিরী বাউকুল

জেলার সদর উপজেলার কাজিরবাগ এলাকায় প্রথমবারের মত চাষ হচ্ছে বলসুন্দরী ও কাশ্মিরী বাউকুল।
নতুন প্রজাতিগুলোর চাষাবাদ প্রসঙ্গে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তারিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন,  টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি বড় লক্ষ্য পুষ্টি নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যে পূরণ এবং সরকার কৃষিকে বাণিজ্যিকিকরণ করার জন্য উচ্চ মূল্যের ফল, বিভিন্ন শাক-সবজি এবং ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে।
তারিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, বাগানে ৪০ শতক জায়গায় ১০০টি চারা লাগানো হয়েছে। কৃষক একবছরে অনেক লাভবান হচ্ছে। এতে দেশও লাভবান হবে, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এর ফলে বাণিজ্যিক কৃষিতে এগিয়ে যাবে দেশ।
কুল চাষী আছমত আলী জানান, গতবছরের মার্চ মাসে পাবনা  থেকে বলসুন্দরী ও কাশ্মিরী বাউকুল জাতের ১০০টি চারা এনে  রোপণ করা হয়েছে। প্রতি গাছে ৯  থেকে ১২  কেজি ফলন হয়েছে। প্রতি  কেজি কুল ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে।
তিনি বলেন,চলতি মৌসুমে বাগান  থেকে ১ লাখ টাকার  বেশি কুল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মো. আলী মিয়া নামে এক ক্রেতা বলেছেন,  ভেজালমুক্ত কুল ক্রয় করতে এখানে এসেছি। প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত কুল ক্রয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি। সবসময় এভাবে সরাসরি বাগান  থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না।
সদর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুল করিম মজুমদার জানান, কৃষি বিভাগ সবসময় এ চাষীর পাশে থেকে কাজ করেছে। বিভিন্ন  রোগবালাই প্রতিরোধে এবং পরিচর্যার বিষয়ে পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা  দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, একই জমিতে কৃষক কুল চাষের পাশাপাশি টমেটো, বেগুনসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজিও আবাদ করেছে।
নতুন জাতের কুল চাষ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান বলেন, এ ধরনের কুল চাষে কৃষক লাভবান হচ্ছে। লাভ ও উৎপাদন  দেখে অন্য কৃষকও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। এতে কৃষি বিভাগের উৎপাদন ও সমৃদ্ধ কৃষির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!