class="post-template-default single single-post postid-21623 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

বিসিএস রিটেন দিচ্ছেন প্রথমবার? জেনে নিন ভয় কাটানোর ৭ মন্ত্র

৪ জানুয়ারি ২০২০ থেকে শুরু হবে ৪০তম বিসিএস রিটেন পরীক্ষা । পরীক্ষার আগ মুহৃর্তে এবং পরীক্ষা চলাকালীন রিটেনে প্রথমবারের মতো অংশ নেওয়া নতুন প্রার্থীরা সচরাচর যেসব ভুল করেন, সেগুলো কাটিয়ে উঠতে কী করবেন জেনে নিন চটজলদি

বিসিএস রিটেন পরীক্ষার আগে

১।  পাঁচ দিনে লিখতে হবে ২১ ঘণ্টা! সুতরাং আগে থেকে  লেখার হাত তৈরি করে ফেলুন। সব কিছুতেই লিখুন বেশি বেশি।  নমুনা প্রশ্ন দেখে ঘড়ি ধরে মডেল টেস্ট দিন। পরীক্ষার খাতায় নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড, স্বাক্ষর  খেয়াল করে দিন।

২। বিসিএস রিটেন পরীক্ষায় সময় ব্যবস্থাপনাটাই সবচেয়ে জরুরি। সবই পারেন, কিন্তু লেখার সময় পেলেন না, হয়ে যাবে লবডঙ্কা। এর জন্য কোন  প্রশ্নের উত্তরের জন্য কত মিনিট ব্যয় করবেন সেটা ঠিক করে ফেলুন এখনই। সে অনুযায়ী দিন মডেল টেস্ট।  ১০ নম্বর মানের দুটি প্রশ্নের উত্তর লিখে একটিতে ৭, আরেকটিতে ৩ পাওয়ার চেয়ে দুটি প্রশ্নে সমান সময় দিয়ে ৬+৬ নম্বর তোলা অনেক ভালো। ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৩০-৪০ নম্বর উত্তর না করে বাকি ১৭০-১৮০ যত ভালোই লিখুন, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সময়মতো ২০০ নম্বরের উত্তর করতে পারলে তার চেয়ে বেশি নম্বর পাবেন।

৩। যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা। বিসিএস রিটেন এ  উপস্থাপনাটাও একটা ‘ফ্যাক্টর’।  হাতের লেখা যেমনই হোক, প্যারা করে সুন্দরভাবে লিখুন। পরীক্ষার খাতায় সম্ভব হলে রাউন্ড স্কেলিং করুন। স্কেলিং, ছক, চিত্র অবশ্যই পেনসিলে দেবেন। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লিখতে নীল রঙের কলম ব্যবহার করতে পারেন।

৪। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে মূল বক্তব্যের সঙ্গে ভূমিকা ও উপসংহার থাকলে ভালো। যেমন—প্রশ্নে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠর নাম লিখতে বলা হলো, প্রথমে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি কী, কবে দেওয়া হয়—এ সম্পর্কে দু-তিন লাইনের ভূমিকা লিখতে পারেন।

৫। বিসিএস রিটেন এর একটায় খারাপ হলে হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এটা বোকামি। বিসিএস বাছাই পরীক্ষার ধাপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ এ পরীক্ষা। কারণ জেনারেল ক্যাডারের জন্য ৯০০ নম্বরের মধ্যে ৪৫০ নম্বর পেলেই ভাইভায় ডাক পাবেন। কোন বিষয়ে কত পেলেন সেটি মুখ্য নয়। তবে এটাও ঠিক, ৪৫০ নম্বর দিয়ে ক্যাডার পাওয়া অনেকটাই অসম্ভব।

৬। বিসিএস রিটেন পরীক্ষার আগের রাতে ফ্রেশ ঘুম (অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা হলেও) দরকার। পরীক্ষার আগের রাতে ঘুম বাদ দিয়ে অনেক পড়াই পড়তে মন চাইবে।

৭। যাদের কেন্দ্র থেকে বাসা অনেক দূরে, পরীক্ষার দিন পৌঁছতে গিয়ে যদি জ্যামে আটকে থাকতে হয়, তাই সম্ভব হলে কেন্দ্রের কাছাকাছি আবাসন বা থাকার বন্দোবস্ত করতে পারলে ভালো হয়। পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট পর গেলে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!