কুমড়োর বীজ ভেজে খাওয়াটা একসময় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যই ছিল। এখন সেটাকে অভ্যাস বানানোর পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তররা। বিশেষ করে বাড়ন্ত শিশুর খাবারের তালিকায় কুমড়োর বীজ যেন থাকে, সেদিকেই জোর দিচ্ছেন তারা।
মগজের বিকাশ
কুমড়োর বীজে প্রচুর ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড আছে। শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে যা দারুণ কাজে আসে।
ভাল ঘুম
শিশুদের বিকাশে ঘুম অপরিহার্য। কুমড়োর বীজে আছে ট্রিপটোফান। যা শরীরে সেরোটনিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়। এই হরমোনটি প্রাকৃতিক ঘুমের বড়ির কাজ করে।
ব্যাকটেরিয়া রোধী
শিশুর নাজুক শরীরে এস. অরিয়াস, ই কলাই কিংবা ব্যাসিলাস-এর মতো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে পারে কুমড়োর বীজে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান।
লিভার ও ব্লাডারের উপকার
প্রস্রাব সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে পারে কুমড়োর বীজে থাকা তেল। বিশেষ করে ব্লাডারের চাপ কমাতে এটি সহায়ক। অন্যদিকে লিভারকেও শক্তিশালী করে।
ভিটামিন ও খনিজ
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থেকে শুরু করে জিংক, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসের দারুণ ভা-ার এই কুমড়োর বীজ। আবার প্রতি ১০০ গ্রাম বীজে আছে ৩০ গ্রাম প্রোটিন। আছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, বি-৬, ফোলেট, ভিটামিন-এ, কে ও রিবোফ্লাভিন।