class="post-template-default single single-post postid-14223 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

হাইব্রিড লাউ চাষে লাভ বেশি

লাউ চাষ হয় অনেকটা এলাকা জুড়ে। তবে হাইব্রিড প্রজাতির লাউ চাষ লাভজনক। জলদি জাতের এই লাউ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন চাষিরা। কৃষিবিদরা বলেন, গদা ১ জাতের এই লাউ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি সেদ্ধও হয় তাড়াতাড়ি। এই লাউ চাষে কৃষি দপ্তর চাষিদের উৎসাহও দেয়। কৃষি দপ্তর জানিয়েছ, হাইব্রিড গদা- ১ প্রজাতি লাউয়ের ফলন খুবই ভালো। সাধারণত এই লাউ আড়াই ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। যার দাম বর্তমান বাজারে এক একটার ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত। জমিতে লাগানোর দু’মাসের মধ্যে গাছ ফলে ভরে যায়। উত্তরবঙ্গেও এই চাষ সাড়া জাগিয়েছে। এক বিঘা জমিতে এই লাউয়ের ৫০টি চারা লাগে। বীজ বুনতে হয় ৯-১০ ফুট দূরত্বে। চারা গাছ বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে জমিতে মাচা করে দিতে হবে। প্রয়োজনমতো সেচ, জৈব ও রাসায়নিক সার দেওয়ার অত্যন্ত আবশ্যক। তবে ফলন আসার সঙ্গে সঙ্গে লাউয়ের খেতে ছোট ছোট কালো রংয়ের মাছির উপদ্রব শুরু হয়। এই মাছির দল সাধারণত ডিম পাড়ার জন্যই কচি লাউ ফুটো করে দেয়। তখন কচি লাউ কালো হয়ে পচে যায়। অরুণবাবু বলেন, এই মাছি দমনের জন্য বাজার থেকে ফেরোমন ফাঁদ কিনে লাউয়ের মাচায় দিতে হবে। এই ফেরোমন ফাঁদ অনেকটা ন্যাপথলিনের মতো। এই ফেরোমেন ফাঁদে পুরুষ মাছিরা আটকে পড়ে। যার ফলে স্ত্রী মাছির সঙ্গে পুরুষ মাছির মিলন হয় না। মিলন না হওয়ায় স্ত্রী মাছিরা ডিমও দিতে পারে না। ফেরোমন ফাঁদের গন্ধে পুরুষ মাছিরা আটকে গিয়ে স্ত্রী মাছিদের কাছে ঘেঁষতে পারে না। বিঘায় তিন থেকে চারটা ফেরোমন ফাঁদ মাচার ওপর দিলে এই মাছিকে সহজেই দমন করা যায়। কারণ এই পদ্ধতির জন্য তাদের কীটনাশকের খরচও বেঁচে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!