class="archive paged category category-agriculture category-146 wp-custom-logo paged-10 category-paged-10 group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

Agriculture Tips

Agricultural tips, news and updated information

রঙিন মাছ চাষ  পদ্ধতি ও আয়

রঙিন মাছ চাষ পদ্ধতি ও আয়

Agriculture Tips, Cover Story
রঙিন মাছ চাষ পদ্ধতি ও আয় রঙিন মাছ পালনের মাধ্যমে শহর ও গ্রামের মানুষের কাছে বিকল্প আয়ের পথ খুলে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন মৎস্য আধিকারিকরা। শুধু রঙিন মাছ চাষ করা নয়, মাছের খাবার, অ্যাকোরিয়াম প্রভৃতি বিক্রি করেও প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব। কলকাতার গালিফ স্ট্রিট, দাসনগরের বাজারে রঙিন মাছ বিক্রির লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা চলে প্রতিদিন। এছাড়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ বিভিন্ন জেলার নানা জায়গায় রঙিন মাছের বাচ্চা উৎপাদন ও তা বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসা করছেন অনেকে। এ রাজ্য থেকে সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, জাপান, জার্মানি, মালয়েশিয়ায় রঙিন মাছ রপ্তানি হচ্ছে। কলকাতা, মুম্বই ও চেন্নাই রঙিন মাছের বৃহৎ প্রজননকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কলকাতার অবস্থিত সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফিশারিজ এডুকেশনে রঙিন মাছ পালনের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সাতদিন থেকে ২ মাসের কোর্সে কীভাবে রঙিন মাছ পালন করতে হয়, ত...
কলকাতার খবর : পড়ার সঙ্গেই মাশরুম চাষ

কলকাতার খবর : পড়ার সঙ্গেই মাশরুম চাষ

Agriculture Tips, Cover Story
প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ সাইকেল চালিয়ে আছড়ার স্কুলে যান একাদশ শ্রেণির ছাত্রী আমিনা পারভিন। আরও প্রায় তিন কিলোমিটার বেশি পথ উজিয়ে কলেজে পড়তে যান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী অঞ্জুমান খাতুন। দু’জনই সালানপুরের বৃন্দাবনি গ্রামের বাসিন্দা। পড়াশোনার পাশাপাশি, নিজের পায়ে দাঁড়াতে তাঁরা পাঠ নিচ্ছেন মাশরুম চাষের। গ্রামের এই দুই কন্যার উদ্যম দেখে অন্য মহিলারাও ব্লক কৃষি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছেন। সালানপুর ব্লক কৃষি দফতরের উদ্যোগে সম্প্রতি গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়। এ ব্যাপারে কৃষি আধিকারিকেরা রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের বৃন্দাবনি গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু, প্রথমে কেউই আগ্রহ দেখাননি। ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা চন্দন কোনার বলেন, ‘‘আমরা প্রায় হাল ছেড়ে দিতে বসেছিলাম। এমন সময় এগিয়ে এল দুই পড়ুয়া অঞ্জুমান খাতুন ও আমিনা পারভ...
চিংড়ি মাছের রোগ ও তার কিছু প্রতিকার

চিংড়ি মাছের রোগ ও তার কিছু প্রতিকার

Agriculture Tips, Cover Story
চিংড়ি মাছের রোগ ও তার কিছু প্রতিকার চিংড়ি মাছ চাষের সময় চিংড়ি মাছের কিছু রোগ হতে পারে এরফলে চিংড়ি মাছ খতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই আমাদের এই সব রোগ সম্বন্ধে জানতে হবে। চিংড়ি মাছের খোলস যদি নরম হয়ে যায় তাহলে ওই মাছের রোগ হয়েছে বুঝতে হবে। জলে ক্যালসিয়াম ও খাদ্যের গুনাগুণ কমে গেলে বা জলের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে এই রোগ হয়। এই রোগের প্রতিকারের জন্য পুকুরের প্রায় ৫০ শতাংশ জল পরিবর্তন করতে হবে। পুকুরে প্রতি একরে ১৫-২০ কেজি চুন প্রতি মাসে দিতে হবে। পুকুরে সারের পরিমাণ কমাতে হবে। রোগের কারণে চিংড়ি মাছের মাথায় ও ফুলকাতে কালো দাগ হয়ে যায়। পুকুরে অ্যামোনিয়া ও খাদ্যে ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি কমে গেলে এই রোগ হয়। পুকুরের ৪০-৫০ শতাংশ জল পরিবর্তন করতে হবে। খাদ্যের সাথে ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি মিশিয়ে দিতে হবে।   অনেক সময় রোগের কারণে চিংড়ি মাছের ফুলকা পচে যায়। পুকুরে ফাঙ্গাসের জন্য এমন হতে পারে। ত...
লাভজনক উপায়ে কাঁকড়ার পোনা উৎপাদনের কৌশল

লাভজনক উপায়ে কাঁকড়ার পোনা উৎপাদনের কৌশল

Agriculture Tips, Cover Story
    লাভজনক উপায়ে কাঁকড়ার পোনা উৎপাদনের কৌশল কাঁকড়ার পোনা উৎপাদনের কৌশলঃ সাম্প্রতিককালে উপকূলবাসীর কাছে কাঁকড়ার উচ্চ বাজারমূল্য নতুন আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় নদী ও তৎসংলগ্ন খালসমূহে চিংড়ি পোনা সংগ্রহকারীদের জালে প্রচুর পরিমাণে কাঁকড়ার পোনা ধরা পড়ে। তাছাড়া জোয়ারের পানিতে কাঁকড়ার পোনা চিংড়ির ঘেরে প্রবেশ করে ও সেখানে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। ফলে চিংড়ির সাথে বাড়তি ফসল হিসেবে প্রচুর কাঁকড়াও পাওয়া য়ায়। রপ্তানী বাণিজ্যে ¤হান করে নেয়ার কারণে উপকূলীয় জেলাগুলোতে কাঁকড়া চাষের ব্যাপকতা শুরু হয়েছে। কাঁকড়া রপ্তানী ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে এটি একটি সম্ভাবনাময় শিল্পের রূপ ধারণ করেছে। কাঁকড়া একটি লাভজনক পণ্য। বাংলাদেশ থেকে জীবন্ত কাঁকড়া আকাশ পথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। নব্বই দশকের মাঝামাঝি অপ্রচলিত পণ্য হি...
মৌমাছি পালন : সমস্যা ও সম্ভাবনা

মৌমাছি পালন : সমস্যা ও সম্ভাবনা

Agriculture Tips, Cover Story
মৌমাছি পালন : সমস্যা ও সম্ভাবনা   সারা দেশেই মৌমাছি পালন-এ এখন গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। সরকার মিষ্টি বিপ্লবের আহ্বান দিয়ে, আমাদের দেশে ফুলে ফুলে যে নেক্টার উৎপন্ন হয় তার সুচারু ব্যবহারের প্রস্তাব রেখেছেন। নেক্টারের সুচারু ব্যবহার আসলে কি? সপুস্পক উদ্ভিদে ফুল থেকে পুষ্পরস বা নেক্টার নিঃসরণ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পরাগমিলনকারী পতঙ্গকে আকর্ষণ করতেই মূলতঃ এই মিষ্টিরস ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেখা জীব বৈচিত্রে সমৃদ্ধ। ফলতঃ পুষ্প বৈচিত্রও বিপুল। এই ফুলগুলি থেকে যে নেক্টার উৎপন্ন  হয় তার ২৫% ও ব্যবহৃত হয় না, দিনের শেষে শুকিয়ে যায়। এই নেকটারের একটা বড় অংশ যদি মৌমাছি পালনের বৃদ্ধি ঘটিয়ে আমরা সংগ্রহ করতে পারি , দেশে মধু উৎপাদনে বিপুল অগ্রগতি ঘটতে পারে। শুধু তাই না এই উদ্যোগ সফল করতে পারলে পরাগ মিলনের উন্নতি ঘটিয়ে, দেশের কৃষি উৎপাদনেও বিপুল অগ্রগতি ঘটানো সম্ভব। পরাগমিলনে অন্যান্য পতঙ্গে...
খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি জেনে নিন

খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি জেনে নিন

Agriculture Tips, Cover Story
খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি যে সকল জলাশয়ে ভূ:প্রাকৃতিক অবস্থান বা গঠনগত কারণে জলনিষ্কাশন সম্ভব নয় বা সম্পূর্ণ আবরণ করা সম্ভব নয়, সেই সকল সুবিশাল জলাশয়গুলি যেমন জলাধার, হ্রদ, বিল, ব্যাকওয়াটার ইত্যাদিতে খাঁচায় মাছ চাষ  করে অব্যবহৃত বা স্বল্প উৎপাদিত জলাশয়কে অধিক উৎপাদনশীল করা সম্ভব। এছাড়া উৎপাদনশীল জলাশয়গুলি থেকে আরো বেশি উৎপাদন পাওয়ার লক্ষ্যে খাঁচায় মাছ চাষ করা উচিত। সবরকম কার্প (দেশী-বিদেশী পোনামাছ), পাঙ্গাস, রূপচাঁদা (পাকু), তেলাপিয়া, ভেটকি, চ্যানেল ক্যাটফিস প্রভৃতি মাছ খাঁচায় চাষের উপযোগী। খাঁচায় গলদা চিংড়ির মীন পালন খুবই সফল ও লাভজনক। কইকার্প, গোল্ডফিস, গাপ্পি প্রভৃতি রঙিন মাছের চাষও খাঁচায় করা যায়। মাছ চাষের খাঁচা শক্ত দীর্ঘস্থায়ী, জলে বিষক্রিয়াহীন ও মাছের স্বাস্থ্য হানিকর নয় এরূপ বস্তু বা পদার্থ দিয়ে খাঁচা তৈরী করা হয়। খাঁচার কাঠামোর (ফ্রেমের) জন্য – বাঁশ, পি. ভি. সি কাঠ বা লো...
গরুর দুগ্ধ খামার স্থাপনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি

গরুর দুগ্ধ খামার স্থাপনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি

Agriculture Tips
গরুর দুগ্ধ খামার স্থাপনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি   মানুষের শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য দুধ ও মাংসের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির জন্য দৈনিক ২৫০ মিলিলিটার দুধ ও ১২০ গ্রাম মাংসের প্রয়োজন। তার বিপরীতে আমরা পাচ্ছি ৫১ মিলিলিটার ও ২০ গ্রাম মাংস। দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে দুধ ও মাংসের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে দুধ ও মাংসের ব্যাপক চাহিদা পূরণ করতে হলে আরও অনেক গাভীর খামার স্থাপন করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ব্যাপক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দুগ্ধ খামার বর্তমানে একটি লাভজনক শিল্প। গাভীর খামার বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র্যবিমোচন, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশে দুধের চাহিদা পূরণে বিশাল ভূমিকা রাখছে। একটি পারিবারিক গাভীর খামার স্থাপন করতে বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। বাড়ির ভেতরেই একটি আধা-পাকা শেড তৈরি করলেই চলে। গাভীর খামার স্থাপনে তেমন কোনো ঝুঁকি...
বিএফআরআই গিফট তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা উৎপাদন ও চাষ প্রযুক্তি

বিএফআরআই গিফট তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা উৎপাদন ও চাষ প্রযুক্তি

Agriculture Tips
বিএফআরআই গিফট তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা উৎপাদন ও চাষ প্রযুক্তি   বিএফআরআই গিফট তেলাপিয়া একটি উচ্চ ফলনশীল মাছ। সাধারণ স্থানীয় গিফট জাতের তেলাপিয়ার তুলনায় উদ্ভাবিত উন্নত জাতের বিএফআরআই গিফট জাত ৩২-৬৬% অধিক উৎপাদনশীল। সাম্প্রতিককালে এ মাছের মনোসেক্স পুরুষ জাতের পোনার চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ তেলাপিয়ার ক্ষেত্রে স্ত্রী জাতের চেয়ে পুরুষ জাতের উৎপাদনশীলতা তুলনামূলকভাবে ২০-৩০% বেশী। এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন¯িটটিউট এর বিজ্ঞানীরা ৯৮-১০০% মনোসেক্স পুরুষ জাতের পোনা উৎপাদন কৌশল উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছে। মনোসেক্স তেলাপিয়ার পোনা উৎপাদন কৌশল তেলাপিয়ার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট হচ্ছে প্রতি মৌসুমে ৫-৬ বার স্বাভাবিক প্রজননের মাধ্যমে জলাশয়ে অধিক সংখ্যক পোনা উৎপাদন করে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি এই মাছ চাষের একটি বড় সমস্যাও বটে। এই সমস্যা হতে উত্তরণের উপায় হলো মনোসেক্স পুরুষ জাতের ...
সঠিক পদ্ধতি মেনে রেশম চাষ করে আয় বাড়ান

সঠিক পদ্ধতি মেনে রেশম চাষ করে আয় বাড়ান

Agriculture Tips, Cover Story
সঠিক পদ্ধতি মেনে রেশম চাষ করে আয় বাড়ান রেশম পোকা পালন করে গুটি তৈরি করা হয়। রেশম পোকার খাদ্য হচ্ছে তুঁত গাছ। এজন্য তুঁত গাছ চাষ করতে হয়। নিচে বর্ণনা করা হলো : ১. তুঁত গাছ রোপণ ও পরিচর্যা বন্যামুক্ত উঁচু এলাকা, উর্বর মাটি, সুনিস্কাশিত, দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতে তুঁত গাছ ভালো হয়। বাড়ির চারপাশে, রাস্তার পাশে, পুকুর পাড়ে, রেললাইনের পাশে ও পতিত জমিতে তুঁত গাছের চারা রোপণ করা যায়। জমি চাষ দিয়ে মাটি ঝুর ঝুর করে বিঘা প্রতি গোবর সার ৪০ কেজি, ইউরিয়া ৫০ কেজি, টিএসপি ৩০ কেজি ও এমওপি ১৫ কেজি মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। শাখা কর্তন ও মাটিতে দাবা কলম দুই পদ্ধতিতে চারা তৈরি করা যায়। শাখা কর্তনের জন্য ৬-৯ মাস বয়সের গাছের দু’টি চোখ বা কুঁড়ি বিশিষ্ট খয়েরী রঙের চিকন শাখা ৬-৯ ইঞ্চি লম্বা করে কেটে মাটিতে খাড়া করে রোপণ করা যাবে একটি কুঁড়ি মাটির উপর সামান্য জেগে থাকে। সারি থেকে সারি দেড় ফুট এব...
পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগের কুফল

পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগের কুফল

Agriculture Tips
পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগের কুফল বর্তমানে মাছ চাষীদের মধ্যে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ ধরার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে। এই ভাবে মাছ ধরলে একদিকে যেমন এই মাছ অস্বাস্থ্যকর অন্যদিকে তা মাছচাষের জন্য ক্ষতিকর কারণ এর ফলে পুকুরের স্বাভাববিক পরিবেশ নষ্ট হয় ফলে পরবর্তী মাছ চাষে মাছেদের জন্য প্রাকৃতিক খাবার কম ও অস্বাস্থ্যকর হয় ফলে মাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয়ে মাছচাষীরা ক্ষতির স্বীকার হন। এভাবে মাছ মারলে অনেক কুফল হতে পারে, যেমন – পুকুরের জলে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ মারার পর ঐ পুকুরে মাছ ছাড়লে মাছের বৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। কারণ কীটনাশক প্রয়োগের কয়েক মাস পর তা মারণ মাত্রায় না থাকলেও কিছু মাত্রায় পুকুরে থাকে এবং পুকুরের মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনে বাঁধা সৃষ্টি করে। এছাড়া মাছের শরীরেও এই অবশিষ্ট কীটনাশক প্রবেশ করে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যদিও মাছ বেঁচে থাকে কিন্তু তাদের বৃদ্ধি ভাল হয় না এবং জননাঙ্গ ঠিকম...
হাঁসের রোগ ও তার প্রতিকার

হাঁসের রোগ ও তার প্রতিকার

Agriculture Tips
হাঁসের রোগ ও তার প্রতিকার মুরগির চেয়ে হাঁসের কম রোগ হয়। যদিও তারা রোগ থেকে মুক্ত নয়। কিছু হাঁসের জাতের রোগের জন্য সফল হাঁস চাষের জন্য প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যে কোনো বয়সের হাঁস রোগ দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে। কিছু রোগের মৃত্যুহার বেশী। সাধারণত হাঁসের রোগের জীবাণু সংক্রামিত হাঁসের থেকে আরেকটা হাঁসে ছড়িয়ে যায়। সুতরাং, উপযুক্ত হাঁস রোগ প্রতিরোধ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে যাতে করে হাঁস উৎপাদনশীল এবং স্বাস্থ্যকর থাকতে পারে যা সর্বোত্তম উৎপাদন নিশ্চিত করবে। হাঁস প্লেগ, হাঁস ভাইরাস হেপাটাইটিস ইত্যাদি প্রধান ক্ষতিকারক হাঁস রোগ। রোগের লক্ষণ হাঁস কোনো লক্ষণ ছাড়াই হঠাৎ মারা যেতে পারে। খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারে। ঘন ঘন জল খাওয়া। ঠোঁটের রঙের পরিবর্তন হতে পারে। হাঁসের পালক অবিন্যস্ত হয়ে যায়। পাখনা বেশী ঝুলে যেতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে হাঁসের স্বাভাবিকের চেয়ে ...
মাছের ক্ষতরোগের লক্ষণ , কারণ ও প্রতিকার

মাছের ক্ষতরোগের লক্ষণ , কারণ ও প্রতিকার

Agriculture Tips
মাছের ক্ষতরোগের লক্ষণ , কারণ ও প্রতিকার সাধারণত শোল, গজার, টাকি, পুঁটি, বাইম, কৈ, মেনি, মৃগেল, কার্পিও এবং তলায় বসবাসকারী অন্যান্য প্রজাতির ক্ষতরোগ (ইপিজুটিক আরসারেটিভ সিনড্রোম ) দেখতে পাওয়া যায়। রোগের লক্ষন ও কারণ ক. এ রোগের মুল কারণ এ্যাফানোমাইসিস ইনভাডেনস্ নামক ছত্রাক দ্ধারা মূলতঃ মাছের মাংসপেশী আক্রান্ত হয়। এছাড়া কিছু ব্যবকটিরিয়া, প্রোটোজোয়া সংশ্লিষ্ট আছে বলে জানা যায়। রোগাক্রান্ত হওয়ার পূর্বে পানির গুনাগুনের অবনতি ঘটে, যেমন ঃ i) হঠাৎ তাপমাত্রার কমতি (১৯° সেঃ এর কম)। ii) পি, এইচ-এর কমতি (৪-৬)। iii) এ্যালকালিনিটির কমতি (৪৫-৭৪ পিপিএম)। iv) হার্ডনেস-এর কমতি (৫০-৮০ পিপিএম)। v) ক্লোরাইড এর স্বল্পতা (৩-৬ পিপিএম)। চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ ক. নিরাময়ের জন্য ০.০১ পিপিএম চুন ও ০.০১ পিপিএম লবন অথবা ৭-৮ ফুট গভীরতায় প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে চুন ও ১ কেজি হারে লবন প্রয়োগ করলে আক্রা...
মাছের রোগ বালাই নিরাময় ও প্রতিকার

মাছের রোগ বালাই নিরাময় ও প্রতিকার

Agriculture Tips
  মাছের রোগ বালাই নিরাময় ও প্রতিকার /আক্রান্ত মাছের প্রজাতি/রোগের লক্ষন ও কারণ/চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ/প্রতিষেধক/প্রতিকার ১) রোগের নাম - ছত্রাক রোগ (সেপ্রোল্গেনিয়াসিস) আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - রুই জাতীয় ও অন্যান্য চাষ যোগ্য মাছ। মাছের রোগ এর লক্ষন ও কারণ ক. আক্রান্ত মাছের ক্ষতস্থানে তুলার ন্যায় ছত্রাক দেখা দেয় এবং পানির স্রোত যখন স্থির হয়ে যায় কিংবা বদ্ধজলায় অথবা হ্যাচারী ট্যাংকে যেখানে অনিষিক্ত ডিমের ব্যাপক সমাগম ঘটে উহাতে ছত্রাক রোগ দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করে। এমনি ধরনের প্রাকৃতিক জলাশয়ে প্রায় শতকরা ৯৮ ভাগ মাছের ডিম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেপ্রোলেগনিয়া প্রজাতি এ রোগের কারণ। চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ ক. হ্যাচারিতে লালনকৃত ডিমগুলোকে ২৫০ পিপিএম পরমালিন দিয়ে ধৌত করা। খ. খাচা এবং পেনে চাষকৃত আক্রান্ত মাছগুলোকে শতকরা ৩-৫ ভাগ ফরমালিন দিয়ে ২-৩ মিনিট গোসল দেয়া। গ. বিকল্প হিসাবে শতকরা ৫ ভাগ ...
হাঁস মুরগির রোগ ও তার প্রতিকার

হাঁস মুরগির রোগ ও তার প্রতিকার

Agriculture Tips
  হাঁস মুরগির রোগ ও তার প্রতিকার বাংলাদেশে প্রতি বৎসর বিভিন্ন রোগে বহু মোরগ-মুরগি মারা যায়। এ সকল রোগের মধ্যে প্রধান হচ্ছে রানীক্ষেত, মুরগির বসন্ত, মুরগির কলেরা, গামবোরো, ইনফেকসাস ব্রংকাইটিস, রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস ইত্যাদি। রানীক্ষেত: রানীক্ষেত রোগের জীবানু একপ্রকার ভাইরাস। সাধারণতঃ সকল বয়সের ও সকল জাতের  মোরগ-মুরগিই রানীক্ষেত রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়। মোরগ-মুরগি ছাড়াও কবুতর, দোয়েল, কোয়েল, কাক, পেঁচা, ঘুঘু, চড়ুই, শালিক, ময়ূর, কাকাতুয়া, টিয়া, ময়না ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার পাখি এই রোগ জীবানু দ্বারা  আক্রান্ত হতে পারে। হাঁস (পাতি হাঁস) বা রাজহাঁসের সচরাচর এই রোগ দেখা যায় না। রানীক্ষেত রোগের লক্ষণগুলোর মাঝে চুনা বা সবুজ রংয়ের রক্তাক্ত কিংবা তরল পায়খানাই প্রধান। রোগাক্রান্ত পাখির শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুততর হয়, বাচ্চা মোরগ-মুরগি হা করে শ্বাস নেয় মাঝে মাঝে আক্রান্ত মোরগ-মুরগি ঘাড় বাঁকা...
মুরগীর রোগ পরিচিতি, লক্ষণ ‍ও চিকিৎসা : রানীক্ষেত রোগ

মুরগীর রোগ পরিচিতি, লক্ষণ ‍ও চিকিৎসা : রানীক্ষেত রোগ

Agriculture Tips
বাংলাদেশের পোল্ট্রী শিল্পে রানীক্ষেত রোগ পরিচিত একটি নাম । রানীক্ষেত অত্যন্ত একটি সংক্রমক , মারাত্বক রোগ। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ । প্রতি বছর এই দেশের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই রোগের জন্য । বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এই রোগের বিস্তার দেখা যায় । এই পবে আমি রানীক্ষেত রোগ সম্পকে বিস্তারিত তুলে ধরছি ———– রানিক্ষেত রোগের ইতিহাস রানীক্ষেত রোগের অপর নাম নিউ ক্যাসল ডিজিজ , এই রোগ ১৯২৬ সালে প্রথম পাওয়া যায় জাভা, ইন্দোনেশিয়া, এবং ইংল্যান্ডের নিউ ক্যাসল আপন টাইনে নামক স্থানে। উপমহাদেশে বিশেষত বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থানে এই রোগকে রানীক্ষেত নামেই পরিচিত, তবে বিশ্বের অন্যত্র এই রোগ কে নিউ ক্যাসল ডিজিজ বলে । রানীক্ষেত রোগ সম্পকে কিছু তথ্যঃ রানিক্ষেত রোগ এভিয়ান প্যারামিক্সোভাইরাস ১ এর জন্য হয়ে থাকে। এই ভাইরাস single stranded RNA virus । Family : Paramyxovirus Genus : Rubi...

Please disable your adblocker or whitelist this site!