আগামী বছর পালিত হবে বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী। দুই দেশের সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছে। এমনটাই মনে করেন চীনের শাংহাই আন্তর্জাতিক বিষয়ক সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক এবং চীনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইয়াং চিয়ে মিয়ান। ১৩ অক্টোবর ঢাকায় তিন দিনের সফরে এসে সিএমজি বাংলাকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সিএমজি বাংলার সংবাদকর্মী ও উপস্থাপক রওজায়ে জাবিদা ঐশী
ইয়াং বলেন, ‘রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সম্পর্কের মতো দুই দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র আছে। এক্ষেত্রে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকা-না থাকা একটা বড় ব্যাপার। কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকার মানে হলো জীবনের সর্বস্তরে আমরা সরকার ও জনগণের সমর্থন পেতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক সহযোগিতা ভিত্তি হিসেবে কাজ করে, রাজনৈতিক সম্পর্ক। এ সম্পর্কটা হলো এক ধরনের নির্দেশিকার মতো। শিক্ষাগত ও সামাজিক সম্পর্কগুলোও আমাদের উন্নত হওয়ার পথ দেখায়। এ সম্পর্কের বিকাশে আগামী ৫০ বছর এই দুই দেশ এবং দেশের মানুষ ও সমাজ আরও বেশি চেষ্টা করবে, আরও সাফল্য অর্জন করবে।’
চীন ও বাংলাদেশের শেখার মূল ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে ইয়াং চিয়ে মিয়ান বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশ একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারে এমন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র রয়েছে। দুই সভ্যতার আছে একটি সুদীর্ঘ ইতিহাস। আমরা শিক্ষাক্ষেত্রেও একসঙ্গে কাজ করতে পারি। আমাদের দুটি দেশ এখন তরুণ প্রজন্মকে পরিচর্যা করার ওপর বেশ ভালো জোর দিয়েছে।‘
চীনের কাছ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণের কৌশল বাংলাদেশ শিখতে পারে কিনা এমন প্রশ্নে ইয়াং চিয়ে মিয়ান বলেন, ‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে চীন দুর্দান্ত অগ্রগতি করেছে। আমরা আশা করি, আমরা এখনও উন্নতি করতে পারি। এখানে এমন কিছু আছে, যা হয়তো আমরা বাংলাদেশের বন্ধুদেরও জানাতে পারি।‘
তিনি আরও বলেন, ’আমরা যতই অগ্রগতি করি না কেন, মানুষ মাঝে তা ভাগ করা উচিত। আমি মনে করি, আমাদের দেশটি বহির্বিশ্বের কাছে অনেক উন্মুক্ত, সহযোগিতামূলক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ। তাই যে খাতে ইচ্ছা ও আগ্রহ আছে, সেখানে আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারি।‘
দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রসঙ্গে ইয়াং আরও যোগ করেন, ‘চীনের এলাকা ও প্রদেশগুলোর অর্থনীতিতে ভিন্নতা আছে। যারা এগিয়ে আছে, তাদেরকে দরিদ্রদের সাহায্য করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে, যাতে সম্মিলিত অগ্রগতি হয়। যদি আমরা সঠিকভাবে দারিদ্র্য দূর করার ব্যাপারে অবিচল থাকি তবেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো।’
তথ্য ও ছবি: সিএমজি বাংলা