সেপ্টেম্বর ২৪: বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪৯তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো ‘ঢাকা-চায়না ডে’ শীর্ষক নানা কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল দুই দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি এবং সকল শ্রেণির মানুষকে উভয় দেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস।
এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী, চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওফেংসহ দুই দেশের বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের পাটপ্রযুক্তিতে চীনের বিনিয়োগ সহযোগিতা চাচ্ছি। চীন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বিগত বছরগুলোতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও অনেক উপায়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। আমি চীনের রাষ্ট্রদূতকে পাট খাতে অংশীদারত্বের সুযোগগুলো খুঁজে বের করতে উৎসাহিত করছি। আগামী দিনে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য চীন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘আমারা বাংলাদেশে বিভিন্ন কালচারাল ইভেন্ট আয়োজন করেছি। যেমন, চীনা নববর্ষ, ড্রাগন বোট ফেস্টিভ্যাল, এছাড়া এম্বাসেডর কাপ, উশু ডান্স। চীনা দূতাবাস একুশে বই মেলায় চায়না বুক হাউজ স্টলের মাধ্যমে চীনা বই প্রদর্শন, পাশাপাশি ঢাকায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে চীনা মুভির উপস্থাপন। এই ইভেন্টগুলো বাংলাদেশি মানুষের মধ্যে শুধু চীনের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেয় না, দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কও গভীর করে। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব নির্ভর করে বাংলাদেশের মানুষ চীনের সংস্কৃতি সম্পর্কে কতটা আগ্রহী। এছাড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জনপ্রিয় গন্তব্য এখন চীন। ‘
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টির থিয়েটার হলে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এতে চীন ও বাংলাদেশের শিল্পীরা গান, নাচ, অ্যাক্রোব্যাটিক্স এবং মার্শাল আর্টসসহ বিভিন্ন ধরনের পারফর্মেন্স পরিবেশন করেন। এছাড়া আউটডোর প্লাজায় ছিল চীন ও বাংলাদেশের টেন্ট ডিসপ্লে। এসব টেন্টে ছিল উভয় দেশের সংস্কৃতি, পর্যটন প্রদর্শনী, বিভিন্ন কোম্পানির পরিচিতি এবং খাবারের স্বাদ গ্রহণের ব্যবস্থা।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে উৎসব মুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়টির হাজারো শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন ক্রীড়া কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
তথ্য ও ছবি: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।