টিউমার ইমিউনোথেরাপিকে আরও কার্যকর করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। এ কাজে জনপ্রিয় বাইস্পেসিফিক টি-সেল এনগেজার (বাইট) থেরাপি এখন নতুন মাত্রা পেতে যাচ্ছে। গবেষণার বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল নেচার-এ।
চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের সেন্টার ফর এক্সেলেন্স ইন মলিকিউলার সেল সায়েন্স দলটি টিউমার কোষকে সুনির্দিষ্টভাবে লেবেল করে ‘আকর্ষণ সংকেত’ এমনভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে, যাতে শরীরের প্রতিরক্ষা বাহিনী—টি-সেলগুলো সহজে ক্যানসার কোষ খুঁজে বের করে ধ্বংস করতে পারে।
এই পদ্ধতিতে একটি বিশেষ ন্যানোজাইম ব্যবহার করা হয়, যা আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে সক্রিয় হয়। একবার ওটা টিউমার কোষের গায়ে পৌঁছালে, ন্যানোজাইমটি কোষের পৃষ্ঠে কৃত্রিম অ্যান্টিজেনের ঘন গুচ্ছ ‘রোপণ’ করে। ফলস্বরূপ, ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী সংকেত পায় এবং দ্রুত আক্রমণ চালায়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তি শুধু চিকিৎসাধীন টিউমারই ধ্বংস করে না, বরং শরীরে দীর্ঘমেয়াদি ইমিউনোলজিক্যাল মেমোরি বা রোগ-প্রতিরোধী স্মৃতি তৈরি করে, যাতে নতুন টিউমার হওয়া বা আগের টিউমারের পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি কমে।
ইঁদুরের শরীরে পরীক্ষায় দেখা গেছে, ৬০ দিনেরও বেশি সময় ধরে টিউমারের বিরুদ্ধে এ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় থাকছে। এ ছাড়া শাংহাইয়ের চোংশান হাসপাতালে ৮ জন রোগীর ক্যানসার নমুনায় ল্যাব টেস্টে ৭ জনের ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য ফলাফল পাওয়া গেছে।
গবেষক হান শুও বলেন, ‘এটি মূলত ক্যানসার কোষের গায়ে একটি বিকন লাগানোর মতো, যা ইমিউন কোষকে সহজেই লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছে দেয়।’
সূত্র: সিএমজি



















