Thursday, April 24

বিশ্বব্যাপী টিসিএম প্রসারে উদ্যোগ নিচ্ছে চীন

চীন এই বছর ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসার (টিসিএম) বিশ্বব্যাপী প্রচার ও প্রসারে আরও তৎপর হবে এবং দেশটির টিসিএম হাসপাতালগুলোর শিশু চিকিৎসা, বার্ধক্যজনিত চিকিৎসা এবং জরুরি বিভাগের উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হবে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় টিসিএম প্রশাসনের বার্ষিক বৈঠকে এসব কথা জানানো হয়।

বৈঠকে টিসিএম বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, দক্ষতার উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকল্পগুলোর প্রসারে নতুন কর্মসূচি চালু করার কথা জানানো হয়।

প্রশাসন জানিয়েছে, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও), আসিয়ান, ব্রিকস এবং জি২০-এর মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে টিসিএম সম্পর্কিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা হবে।

বৈঠকে বিদেশি দেশগুলোতে উন্নতমানের টিসিএম কেন্দ্র স্থাপন, আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সহায়তা মিশনে টিসিএম বিশেষজ্ঞ পাঠানো এবং আসিয়ান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

হংকংয়ের টিসিএম ক্লিনিকাল বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি টিসিএম-এর মাধ্যমে ম্যাকাওর অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার কথাও বলা হয় বৈঠকে।

চীনের অভ্যন্তরে টিসিএম উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রশাসন জানিয়েছে, চীনের প্রায় ৯০ শতাংশ কাউন্টি-স্তরের অঞ্চলে সরকারি টিসিএম প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

২০২৪ সালের শেষ নাগাদ, প্রতিটি গ্রামীণ টাউনশিপ ও কাউন্টি ক্লিনিক এবং কমিউনিটি হেলথকেয়ার সেন্টারে টিসিএম সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে।

গত বছর, চীন ৬২টি ফ্ল্যাগশিপ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছে যেখানে টিসিএম এবং আধুনিক চিকিৎসার সমন্বয় রয়েছে। এ ছাড়া, ৫৫৯টি সমন্বিত ক্লিনিকও চালু করা হয়েছে।

চীনে এখন পর্যন্ত ১৬০টি ক্লিনিকাল প্রকল্প চালু করা হয়েছে, যা জটিল ও বড় রোগের চিকিৎসায় ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধকে আধুনিক চিকিৎসার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫২টি রোগ নির্ণয় ও সেগুলোর টিসিএম চিকিৎসা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

একটি পাইলট প্রকল্পের অধীনে, শিশু ও কিশোরদের স্থূলতা এবং স্কোলিওসিস নিরাময়ে টিসিএম সেবা চালু করা হয়েছে, যা ৫২টি অঞ্চলে পরিচালিত হয়েছে। তরুণদের মধ্যে মায়োপিয়া নিয়ন্ত্রণেও টিসিএম থেরাপি ব্যবহারের আরেকটি প্রকল্পে প্রায় ৯০ হাজার জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রশাসনের পরিচালক ইউ ইয়ানহং জানালেন, চীনে ১,১৫৮টি জাতীয় বিশেষায়িত টিসিএম কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে, যেখানে অর্থোপেডিকস, প্রোক্টোলজি, পেডিয়াট্রিক্স এবং ডার্মাটোলজির ওপর জোর দেওয়া হবে।

চলতি বছর, চীনে গ্রামীণ ক্লিনিক ও কাউন্টি হাসপাতালের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে, টিসিএম ডায়াগনোসিস এবং চিকিৎসা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *