৬১ জন পর্যটকসহ ১৩৭ জনের প্রথম বহর নিয়ে বাংলাদেশ-কলকাতা গেলে যাত্রীবাহী জাহাজ এমভি মধুমতি। দীর্ঘ ৭০ বছর পর ফের কলকাতার সঙ্গে যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হলো। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের দুই বছরের মধ্যেই কলকাতার সঙ্গে যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শনিবার রাত ৮টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পাগলা ভিআইপি ঘাট মেরি এন্ডারসন থেকে এটি যাত্রা শুরু করে। আগামীকাল রবিবার দুপুর ১২টার দিকে এমভি মধুমতি কলকাতায় পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একই সময়ে কলকাতা থেকে মেসার্স আরভি বেঙ্গল গঙ্গা নামের একটি ক্রুজ শিপ নারায়ণগঞ্জের মেরি এন্ডারসনের উদ্দেশে রওনা করছে। জাহাজ দুটি বরিশাল, বাগেরহাটের মোংলা, সুন্দরবন, খুলনার আন্টিহারা ও ভারতের হলদিয়া রুট হয়ে কলকাতায় যাবে এবং নারায়ণগঞ্জে আসবে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর হয়ে বাগেরহাটের মোংলায় কিছু সময়ের জন্য থামবে বাংলাদেশ-কলকাতা জাহাজ। এরপর বাগেরহাট থেকে সুন্দরবনের ভেতরে ঢুকবে। সুন্দরবন ঘুরে খুলনার কয়রার আন্টিহারার দিকে যাবে এমভি মধুমতি। সেখানে যাত্রীদের ইমিগ্রেশনের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে। আন্টিহারা হয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়ায় যাবে। হলদিয়া থেকে সরাসরি কলকাতা পৌঁছাবে।
রবিবার কলকাতায় অবস্থান করে পরদিন সোমবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে এমভি মধুমতি।
ঢাকা থেকে কলকাতায় যাওয়ার কেবিন ভাড়া ফ্যামিলি স্যুট (দুই জন) ১৫ হাজার টাকা, প্রথম শ্রেণি (জনপ্রতি) ৫ হাজার টাকা, ডিলাক্স শ্রেণি (দুই জন) ১০ হাজার টাকা, ইকোনমি চেয়ার (জনপ্রতি) ২ হাজার টাকা ও সুলভ শ্রেণি বা ডেক (জনপ্রতি) ১৫০০ টাকা। জাহাজের ক্যাফেটেরিয়ায় সকালের নাশতা, মধ্যাহ্নভোজ, বিকালের নাশতা ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ঢাকা-কলকাতা যাত্রীবাহী জাহাজ পরিবহনের বিষয়ে সম্মত হয় ভারত ও বাংলাদেশ। এ চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের নৌপরিবহন সচিব আবদুস সামাদ ও ভারতের জাহাজ মন্ত্রণালয়ের সচিব গোপাল কৃষ্ণ। নৌযান চালুর ফলে ভারতের গঙ্গা এবং বাংলাদেশের যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র এই তিন নদী সংযুক্ত হবে।