class="post-template-default single single-post postid-18024 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ডা. এ কে এম আমিনুল হকের পরামর্শ : ধুলাবালি ও ক্ষুদ্র কীট অ্যালার্জি থেকে সাবধান থাকুন

অ্যালার্জি

ধুলাবালি ও ক্ষুদ্র কীট অ্যালার্জি থেকে সাবধান থাকুন

ডা. এ কে এম আমিনুল হক

ধুলাবালির মধ্যে থাকা ক্ষুদ্র কীট বা পোকার মাধ্যমে শরীরে এক ধরনের অ্যালার্জি’র প্রতিক্রিয়া হয়। এতে প্রচণ্ড হাঁচি হয়ে নাক দিয়ে পানি পড়ে। অনেকের অ্যাজমা হয়ে বুকের ভেতর বাঁশির শব্দের মতো শোঁ শোঁ শব্দ হয়, শ্বাসকষ্ট হয়। অথচ ধুলাবালিতে থাকা এসব ক্ষুদ্র কীট খালি চোখে দেখা যায় না; মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে দেখতে হয়। মূলত মানুষের শরীরের চামড়া থেকে খসে পড়া কোষগুলো খেয়েই বেঁচে থাকে এরা। গরম ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বসবাসের জন্য উপযুক্ত বিছানাপত্র, আসবাবপত্র, কার্পেট ইতাদি এসব ক্ষুদ্র কীট বা পোকার খুব পছন্দ।

 

উপসর্গ

ধুলাবালি ও ক্ষুদ্র কীটের প্রতি অ্যালার্জিতে—হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক চুলকানি, চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা চোখ দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক-মুখের ভেতর, তালু ও গলার ভেতরে চুলকানি, নাকের ভেতর দিয়ে গলায় নিঃসৃত রস পড়া, কাশি, মুখে ব্যথা, চোখের নিচে ফুলে যাওয়া ও নীল হয়ে যাওয়া, শিশুদের বেলায় ওপরের দিকে ঘন ঘন নাক ঘষা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। এ ছাড়া এর ফলে শ্বাসকষ্ট, বুক চেপে ধরা বা ব্যথা, শ্বাস ছাড়ার সময় বাঁশির মতো আওয়াজ হওয়া, শ্বাসকষ্টের জন্য ঘুম না হওয়া, ঠাণ্ডায় কাশি ও শ্বাসকষ্ট আরো বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে। এর তীব্র প্রতিক্রিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি আকার ধারণ করে সব সময় হাঁচি, কাশি, নাক বন্ধ ও তীব্র অ্যাজমায় আক্রান্ত হতে পারে।

 

 অ্যালার্জি  কারণ

শরীরের বাইরে থেকে যখন কোনো ফুলের রেণু, পোষা পশুপাখির বিষ্ঠা ও ধুলাবালি এবং ক্ষুদ্র কীট শরীরের ভেতর প্রবেশ করে, তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যে প্রতিক্রিয়া দেখায়, তা-ই অ্যালার্জি। শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা এক ধরনের প্রোটিন তৈরি করে, যা অ্যান্টিবডি নামে পরিচিত। এই অ্যান্টিবডিগুলো শরীরকে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত বস্তু থেকে রক্ষা করে, যেগুলো শরীরের ভেতর প্রবেশ করলে মানুষ হয় অসুস্থ হয়ে যেত অথবা শরীরে কোনো প্রদাহ দেখা দিত।

 

 অ্যালার্জি হলে করণীয়

এই সমস্যা সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত করা অসম্ভব হলেও যতটুকু সম্ভব ধুলাবালি ও ক্ষুদ্র কীট পরিহার করার চেষ্টা করা উচিত। এতে রোগীটি অ্যালার্জিতে কম আক্রান্ত হবে। পাশাপাশি অ্যালার্জির উপসর্গ থেকে মুক্তি দিতে অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া নাকের স্প্রেও দেওয়া যেতে পারে।

https://www.youtube.com/watch?v=r0t64gzuqtg

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!