তবে চিকিৎসকদের মতে, ঘরোয়া কিছু যত্ন ও কৌশল জানা থাকলেই শীতে শিশুর ত্বক যত্ন নেওয়া সম্ভব। সাধারণত তেল-ক্রিমেই আটকে থাকেন শিশুর অভিভাবকরা। কিন্তু রুক্ষতা রুখতে মাথায় রাখতে হয় আরও কিছু উপায়।

এমনিতেই শিশুর ত্বক খুব সংবেদনশীল হয়। তাই সব প্রকার তেল বা ক্রিম তাতে খাপ খায় না। তাই তাদের যত্নের আগে মাথায় রাখুন এই বিশেষ দিকটি। তা ছাড়াও আরও কিছু কৌশলে তাদের ত্বককে নরম ও আর্দ্র রাখতে পারবেন গোটা শীতকাল। কী ‌ভাবে জানেন?

  • ​ত্বক বিশেষজ্ঞ কৌশিক লাহিড়ীর মতে, অনেক অভিভাবক সন্তানের জন্যও নিজেদের ব্যবহার করার তেল-ক্রিমই বরাদ্দ করেন। একটু বড় হওয়ার পর তা করলে অত ক্ষতি নেই। কিন্তু অন্তত ১০ বছর বয়স পর্যন্ত তার ত্বকের যত্ন নিন বেবি প্রোডাক্টেই।
  • প্রতি দিন স্নানের আগে শিশুর ত্বকে ভাল করে সরষের তেল বা অলিভ অয়েল মালিশ করুন। তার পর শিশুকে কিছু ক্ষণ রোদে রাখুন। অনেক অভিভাবক রোদে চামড়া পুড়ে যাওয়ার ভয় পান। কিন্তু মনে রাখবেন, ত্বক ভাল রাখতে গেলে রোদের উপস্থিতি ভীষণ প্রয়োজনীয়। তেল মাখিয়ে রোদে রাখলে শিশুর ত্বক পোড়ে তো না-ই উল্টে হাড়ের জোরও তৈরি হয়। তার পর স্নান করান শিশুকে।
  • শীত বলে স্নান একেবারে বন্ধ করবেন না। যে সব শিশুর বয়স দেড় মাসের বেশি, তাদের অবশ্যই রোজ ঈষদুষ্ণ গরম জলে স্নান করান। তবে শিশুর শ্বাসকষ্ট বা ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা থাকলে স্নানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বরং স্নানের সময় গ্লিসারিন সাবান ও কম ক্ষারের বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
  • বাজারচলতি ক্রিম বাদ দিন।শীতে সন্তানের ত্বক বাঁচাতে স্নানের পর এবং প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর অ্যালোভেরা, দুধ ও মধু থাকা ক্রিম ব্যবহার করুন। এর জন্য ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।তাঁদের দেওয়া ক্রিমই মাখান শিশুকে। সন্তান একটু বড় হলে, অর্থাৎ স্কুল যাওয়া শুরু করলেই সারা বছরই শরীরের খোলা অংশে মাঝারি এসপিএফ যুক্ত সানস্ত্রিন লাগান। এতে ত্বকের সার্বিক উপকার হয়। তবে পাঁচ-ছ’বছরের আগে তা না লাগানোই উচিত।
  • ​ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই অনেক অভিভাবক শিশুকে গরম উলের জামা, চাদর, লেপ-কম্বলে মুড়ে ফেলেন। কিন্তু উলের আঁশ বা লেপ-কম্বলের উপাদান সিশুর ত্বকের জন্য ভাল নয়। তা ভিতর থেকে ত্বককে রুক্ষ করে, এমন না করে শিশুদের ত্বকোপযোগী গরম অথচ নরম এমন জামা কিনুন।
  • ঠোঁট নরম রাখতে ওষুধের দোকানে সহজেই মেলে এমন ন্যাচারাল পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান।