class="post-template-default single single-post postid-17643 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

‘চুজ-ইওর-ওন-অ্যাডভেঞ্চার-স্টাইল’ নিয়ে কাজ করছে ইউটিউব

ইউটিউব

ইউটিউব নতুন একটি শো এর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে । বৃহত্তম ভিডিও প্লাটফর্মটি এই শো’কে বলছে ‘চুজ-ইওর-ওন-অ্যাডভেঞ্চার-স্টাইল’। এই নয়া পরিকল্পনার মাধ্যমে ইউটিউবাররা গল্প বলার চমকপ্রদ উপায় পেয়ে যাবে। এর মাধ্যমে তাদের ভিউয়ার এবং বিজ্ঞাপন উভয়ই বেড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বেন রেলিসের অধীনে নতুন একটি দল প্রগ্রামিং এবং লাইভের বিষয়ে অভ্যন্তরীন কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। বেন মূলত অলিখিত প্রগ্রামগুলো নিরীক্ষণ করেন। প্রায় ৮ বছর ধরে বেন ইউটিউবের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সফলতার সাথেই এই প্লাটফর্মের ভিউয়ার ধরে রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন।

এমনিতেই প্রডিউসাররা বছর বছর ধরে ভিউয়ারদের আগ্রহ মেটাতে নানা ধরনের গল্পের যোগ ঘটাচ্ছেন। তবে অতি সম্প্রতি তারা এমন আধুনিক প্রযুক্তি হাতে পেয়েছেন যার মাধ্যমে বিশ্বের বড় বড় মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে থেকে বিশাল মাপের বিনিয়োগ বের করে আনতে পারবে।

ইউটিউবের অরিজিনাল প্রগ্রামিং এর প্রধান সুজানে ডেনিয়েলস বলেন, আমাদের হাতে এখন চমকপ্রদ নতুন টুল রয়েছে। এর মাধ্যমে ইউটিউবে বিভিন্ন স্তরের এবং আরো বেশি ইন্টারেক্টিভ গল্প প্রস্তুত করা যাবে। এই প্লাটফর্মে নতুন কিছুর সফল যোগ কীভাবে ঘটানো যায় তার জন্যে বেন যথেষ্ট অভিজ্ঞ।

প্রতিযোগিতার ঠোটাঠুকি 
ইউটিউবের সম্ভবত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নেটফ্লিক্স ইনক.। শিশু-কিশোরদের জন্যে ইতোমধ্যে তারা বেশ কিছু নতুন টুলকে কাজে লাগিয়েছে। গত ডিসেম্বরে তারা প্রথমবারের মতো বড়দের জন্যে ‘ব্ল্যাক মিরর: ব্র্যান্ডারস্ন্যাচ’ নামের ইন্টার‍্যাক্টিভ প্রগ্রাম মুক্তি দিয়েছে। এখন তারা বড় মাপের বিনিয়োগ নিয়ে কাজ করছে। গত বছর ওয়ালমার্ট ২৫০ মিলিয়ন ডলারের জয়েন্ট ভেঞ্চার করেছে ইকো’র সাথে। তারা প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় হয় এমন সিরিজ নির্মাণে মনোযোগ দিয়েছে।

চুজকো এলএলসি শিশু-কিশোরদের জন্যে বই প্রকাশ করে। মূলত ‘চুজ ইওর ওন অ্যাডভেঞ্চার’ কথাটি তাদের ট্রেডমার্ক করা। এর ব্যবহার নিয়ে তারা নেটফ্লিক্সের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা ঠুকে দেয়, দাবি করে ২৫ মিলিয়ন ডলার। তবে এই মামলা খালাস করে দিতে বিচারককে অনুরোধ করে নেটফ্লিক্স। তারা যুক্তি তুলে ধরে বলে, বিস্তারিত ও বর্ণনামূলক গল্প বলার যন্ত্র যেখানে দর্শক বা শ্রোতা নিজেরাই পছন্দ করে বেছে নেয়, এ বিষয়টি আইন দ্বারা ট্রেডমার্ককৃত নয়।

একই পথে আসতে চাইছে ইউটিউব। ইতোমধ্যে তারা ইন্টারেক্টিভ বিজ্ঞাপন নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে। কিন্তু একাধিক গল্প নিয়ে ইন্টারেক্টিভ প্রগ্রামিংয়ের জন্যে বড় মাপের বিনিয়োগ দরকার। আবার তা দেখাতে বাফারিং একটি বড় সমস্যা। তবে নেটফ্লিক্স তেমন প্রযুক্তি বানিয়ে ফেলেছে।

নতুন পরিকল্পনাকে সামনে রেখে ইউটিউব তাদের প্রগ্রামিং স্টাফদের ঢেলে সাজাচ্ছে। তারা মৌলিক স্ক্রিপ্টের শো নিজে এগিয়ে যেতে চাইছে।
সূত্র: ব্লুমবার্গ

https://www.youtube.com/watch?v=AoO_iZhlnGs&fbclid=IwAR1JGmTFr_4-fWjZjs_EdWly5H3dWZatxBOd1zRydaXdXcBmjmr5t0XWHFw

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!