সারা বছরই পাওয়া যায় কলা। কলার রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ। কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম, প্রাকৃতিক তেল ও ভিটামিন।
কলাতে রয়েছে শর্করা, মিনারেল, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। কলা খুব দ্রুত শরীরে এনার্জি এনে দেয়। পটাশিয়াম শরীরের এনজাইমকে সক্রিয় রাখে এবং মাংসপেশিকে কোমল ও মসৃণ করে নার্ভকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে। তাই অনেকে দিনের শুরুতেই কলা খান। বিশেষ করে ছাত্রদের বেশ কাজে দেয় কলা।
কলাতে রয়েছে মিনারেল, আয়রন, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’সহ বেশ কয়েকটি ভিটামিন। এসব কিছুর মিশ্রণ ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়তা করে। কলায় রয়েছে প্রচুর প্রোটিন এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ৮টি অ্যামিনো অ্যাসিড।
অঞ্চলভেদে হরেক রকম কলা পাওয়া যায় বাংলাদেশে। তবে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে এমন এক কলা আছে যা খেলে মনে হবে ভ্যানিলা আইসক্রিম খাচ্ছেন।
এই কলা মুখের ভেতর দিলে একদম গলে যাবে।আর আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না যে স্বাদে ও গন্ধে ভ্যানিলা আইসক্রিমের মতোই। তাই এই কলা আইসক্রিম কলা নামেও পরিচিত।
তবে এই কলা থেকে ভ্যানিলা আইসক্রিমের স্বাদ পেতে হলে নীল খোসা হালকা হলুদ রঙ ধারণ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই কলা স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে এই কলার জন্ম। এটি চাষ করতে কিছুটা ঠাণ্ডা আবহাওয়া দরকার।
সাধারণত ২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় এই কলার চাষ করা যায়।
সূত্র: রিটার্ন টু নাও