class="post-template-default single single-post postid-17088 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

কানাডায় পড়তে আগ্রহীদের জন্য জরুরি তথ্য

কানাডায় উচ্চশিক্ষা

কানাডায় স্টুডেন্ট হিসেবে পড়তে যেতে অনেকেই আগ্রহী। উচ্চমাধ্যমিক পাস করার সঙ্গে সঙ্গেই অনেক শিক্ষার্থী কানাডার বিভিন্ন কলেজগুলোতে আবেদন করে থাকেন। কানাডায় পড়াশোনা শেষ করে যারা ওখানেই স্থায়ী হতে চান, তাদের জন্য খুঁটিনাটি বেশকিছু তথ্যের সমন্বয়ে আজকের এই লেখনী।

ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স:

কানাডায় নিজ খরচে স্টুডেন্ট ভিসায় আসা একজন ‘স্টুডেন্ট’ এর জন্য আইইএলটিএস করা না থাকলে অথবা আইইএলটিএসের স্কোর ভিসার সময় প্রদান না করা হলে তাকে একটি ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স মূল কোর্সের সঙ্গে সাধারণত বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়।

অর্থাৎ, তাকে কানাডায় এসে কলেজের মূল কোর্স শুরুর আগে কয়েক সেমিস্টার ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স করতে হবে। এই ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স শেষ করার পর ওই স্টুডেন্ট মূল কোর্সে ঢুকতে পারবে।

খরচের হিসাব:

কানাডার কলেজগুলোতে সাবজেক্টভেদে প্রতি সেমিস্টার কোর্স ফি প্রায় ৮-১০ হাজার ডলার। বই কেনা বাবদ আনুষঙ্গিক আরও হাজারখানেক এককালীনভাবে ধরে রাখতে হয়। ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স করলেও সেক্ষেত্রে প্রতি সেমিস্টারে ওই অ্যামাউন্ট দিতে হবে।

কোনো স্টুডেন্ট দুই বছরের কোর্সে ভর্তি হলে তাকে সাধারণভাবে মোট চারটা সেমিস্টারের জন্য আনুমানিক চল্লিশ হাজার ডলার টিউশন ফি কলেজকে পরিশোধ করতে হবে। লিভিং কস্ট বাবদ মাসে নূন্যতম প্রায় একহাজার ডলার খরচ হবে।

কাজের সুযোগ:

কানাডায় একজন স্টুডেন্ট ওয়ার্কপারমিট থাকলে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা করে কাজ করতে পারবেন। বড় শহর যেমন টরান্টোতে কাজের সুযোগ বেশি। ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স চলাকালীন সময়ে ওয়ার্কপারমিট পাওয়া সম্ভব নয়। তবে ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স শেষ করে মূল কোর্সে যেতে পারলে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার অনুমতি বা ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া সম্ভব।

কোন ধরনের কোর্স বাছাই করা প্রয়োজন?

শুরুতে অনেকেই তার পছন্দের সাবজেক্টে কানাডার কোনো কলেজে ভর্তির সুযোগ না পেলেও পরবর্তীতে কানাডা যাওয়ার পর কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তন করে পছন্দের বিষয়টিতে সুযোগ পেতে পারেন।

তবে পড়াশোনা শেষ করে ওয়ার্কপারমিট এবং পারমানেন্ট রেসিডেন্সির কথা চিন্তা করলে ন্যূনতম দুই বছরের কোর্সে আসা উচিত। দুই বছরের কোর্সে তিন বছরের ওয়ার্কপারমিট পাওয়া যাবে যদি উক্ত স্টুডেন্ট সঠিকভাবে তার কোর্স সম্পন্ন করে। ওয়ার্কপারমিট থাকা অবস্থায় ইমিগ্রেশনের জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারবে (যদি ইমিগ্রেশন ক্রাইটেরিয়াগুলো ফুলফিল করে)।

সেমিস্টার ড্রপ হয়ে গেলে ভিসা এক্সেনশন করা কি সম্ভব?

একজন ফুলটাইম ছাত্রকে তার ছাত্রত্ব বজায় রাখতে হলে বছরে কমপক্ষে দুটি সেমিস্টার পড়াশোনা করে এবং টিউশন ফি জমাদানপূর্বক কমপ্লিট করতেই হবে। কোনো কারণে কোনো সেমিস্টার ড্রপ হলে কলেজ কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই পরপর দুটি সেমিস্টার ড্রপ করা যাবে না।

এক বছরের কোর্সে পড়তে আসা কোনো ছাত্র কোর্সটি যথাযথভাবে শেষ করার পর এক বছরের ওয়ার্কপারমিট পাবেন। দুই বা তিন বছরের কোর্সে পড়তে আসা কোনো ছাত্র কোর্সটি যথাযথভাবে শেষ করার পর তিন বছরের ওয়ার্কপারমিট পাবেন। চার বছরের কোর্সে পড়তে আসা কোনো ছাত্র কোর্সটি যথাযথভাবে শেষ করার পর চার বছরের ওয়ার্কপারমিট পাবেন।

বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পড়তে আসার সুযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি স্টুডেন্টদেরকে কানাডায় আসার আগে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো ভালোভাবে জেনে আসতে হবে। এজেন্সি এবং দালালরা কাগজ প্রসেসিং করে টাকা নিতেই আগ্রহী। কিন্তু একজন স্টুডেন্টকেই কানাডা আসার ব্যাপারে সঠিক তথ্য অনুসন্ধান এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

কানাডায় ইমিগ্রেশনের বিস্তারিত তথ্য জানতে ভিজিট করুন- ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সেটেলমেন্ট‘ এই ওয়েবসাইটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!