Wednesday, April 24
Shadow

ভারতেও আছে উচ্চশিক্ষার সুযোগ

একটা সময় ছিল, যখন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে কম্পিউটারে উচ্চশিক্ষার বিশেষ গন্তব্যস্থল ছিল ভারতের বেঙ্গালুরু। বছর দশেক আগে ভারতে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই ভর্তি হতো ভারতের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। বর্তমানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী প্রযুক্তির পাশাপাশি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও পড়াশোনা করছে। মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীদের ইউরোপ-আমেরিকার ব্যয়বহুল উচ্চশিক্ষার বিকল্প হতে পারে ভারতের কম খরচের মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
শিক্ষাব্যবস্থা
হিন্দির পাশাপাশি ইংরেজিতে শিক্ষাদান করা হয় বেশির ভাগ ভারতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। আইইএলটিএস ছাড়াও বিদেশি শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবেন। ভারতে ইংরেজি বহুলব্যবহৃত ভাষা হওয়ায় ভর্তির আগেই ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করা ভালো। শিক্ষাব্যবস্থা ও দরকারি তথ্যের বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন ভারত সরকারের শিক্ষাবিষয়ক ওয়েব পোর্টাল- www.india.gov.in/overseas/study-india/studyinindia.php।
যেসব বিষয়ে পড়াশোনা
আন্তর্জাতিক চাহিদাসম্পন্ন প্রায় সব বিষয়েই পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস, অ্যাকাউন্টিং, মেডিসিন, ডেন্টাল, ফার্মেসি, নার্সিং, ফিজিওথেরাপি, ট্যুরিজম অ্যান্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট ছাড়াও অনেক বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে এ দেশে।
ভর্তিপ্রক্রিয়া ও আবেদন
অন্যান্য দেশের মতো ভারতে বাংলাদেশিদের উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হতে ভিসাপ্রাপ্তিতে ততটা হয়রানি হতে হয় না। ‘বিষয়’ ও ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ নির্বাচন করার পর ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসের শিক্ষাসংক্রান্ত শাখা ‘এডুকেশন উইং’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করলেই প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে। টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফির তথ্য জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে। ভর্তি সেশন শুরুর আগেই নির্ধারিত সময়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হয়। শিক্ষার্থীদের প্রেরিত আবেদনপত্র ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ঠিকানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীকে ডাকযোগে ভর্তির অনুমতিপত্র প্রেরণ করে থাকে।
ভর্তির অনুমতিপত্র অর্থাৎ অফার লেটার হাতে পাওয়ার পর শিক্ষার্থীকে ভিসা আবেদনের জন্য যোগাযোগ করতে হবে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে।
ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃক পরিচালিত এ ভিসাকেন্দ্রের ঠিকানা : বাড়ি-১২, রোড-১৩৭, গুলশান-১, ঢাকা। ফোন : +৮৮ (০২) ৯৮৯৩০০৬।
ভিসা ফি ও ভিসাসংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য জানতে ভিজিট করুন_www.ivacbd.com|।
টিউশন ফি ও অন্যান্য খরচ
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিষয়ভেদে টিউশন ফি ভিন্ন। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্তরের বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করতে বছরে (অর্থাৎ দুই সেমিস্টারে) বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতোই খরচ হয়। তবে মেডিক্যালে অধ্যয়ন করতে খরচ তুলনামূলক বেশি। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করতে হলে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা গুনতে হবে। থাকা-খাওয়া বাবদ প্রতি মাসে সাধারণত চার থেকে ছয় হাজার টাকা খরচ হয়। উল্লেখ্য, এক ভারতীয় রুপি প্রায় ১ দশমিক ৫ টাকার সমান।
পার্টটাইম কাজের সুযোগ
বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশের সরকারের শ্রম আইন অনুযায়ী পার্টটইম কাজের সুযোগ পেলেও ভারতে এ ধরনের কাজের অনুমতি নেই। তবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের অনেকেই গৃহশিক্ষকের কাজ করে থাকেন।
ভারতের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
* আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তর প্রদেশ
ওয়েব : www.amu.ac.in
* কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ
ওয়েব : www.caluniv.ac.in
* বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়, কর্ণাটক
ওয়েব : www.bub.ernet.in
* রাজীব গান্ধী ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স, কর্ণাটক
ওয়েব : www.rguhs.ac.in
* অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়, অন্ধ্র প্রদেশ
ওয়েব : www.andhrauniversity.info
* গুরু গোবিন্দ সিং ইন্দ্রপ্রসাদ বিশ্ববিদ্যালয়, দিলি্ল
ওয়েব : www.ggsipu.ac.in
* ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, দিলি্ল
ওয়েব : www.iitd.ac.in

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!