রাজবাড়ী সদর উপজেলায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই তরুণী বর্তমানে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।
গত বুধবার এ ঘটনার জের ধরে প্রতিবন্ধী ওই তরুণীর বোন বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় মিন্টু মীর (২৮) নামের এক অটোরিকশাচালক ও তার চাচাতো ভাই শাজাহান মীরের স্ত্রী বিউটি বেগমকে (৪০) আসামি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই তরুণীর বোন জানান, তার প্রতিবন্ধী বোনকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতেন মিন্টু মীর। আট মাস আগে একদিন বিকেলে মিন্টুর চাচাতো ভাবি বিউটি বেগমের বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তার বোন। এ সময় বিউটি টিভি দেখার কথা বলে তাকে ডেকে একতলা বিল্ডিংয়ের ছাদের সিড়ির ঘরে নিয়ে যান। এরপর বিউটি ফোন করে মিন্টুকে ডেকে আনেন। পরে বিউটির সহযোগিতায় মিন্টু মীর তার বোনকে ধর্ষণ করেন।
তিনি আরও জানান, ধর্ষণের ফলে তার বোন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। পেটের আকার বড় হতে দেখে সবাই মনে করে পেটে টিউমার হয়েছে। গত ৭ মে রাজবাড়ী শহরের নুর ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার আল্ট্রাস্নোগ্রাম করানো হয়। আল্ট্রাস্নোগ্রাম রিপোর্টে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, পেটে আট মাসের ছেলে সন্তান রয়েছে। এ ঘটনার শোনার পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে তিনি ধর্ষণের ঘটনার কথা খুলে বলেন।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে মিন্টু মীর ও তার ভাবি বিউটি বেগম পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হলেও কথা বলতে পারে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলছে।