class="post-template-default single single-post postid-8 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা? তাড়াও পরীক্ষার ভূত

পরীক্ষার টিপস

পরীক্ষা আসছে মানে যেন ভূত আসছে ঘাড় মটকাতে। পরীক্ষার কথা শুনলে এমন চিন্তাই কারো কারো মাথায় জেঁকে বসে। এমনও আছে পরীক্ষা দিতে গিয়ে পরীক্ষার হলেই অসুস্থ হয়ে পড়েছো। কেউ আছো অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে প্রশ্নপত্রে মনোযোগই দিতে পারো না। তাছাড়া শরীরেও পড়ে প্রভাব। যেমন হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, দম বন্ধ লাগা ইত্যাদি। পরীক্ষার এসব দুশ্চিন্তা কাটানোর মন্ত্র বলে দিচ্ছেন নূসরাত জাহান

প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন চোখ বুলালে পরীক্ষার ভয় তোমাকে কাবু করতে পারবে না। পরীক্ষার অন্তত এক সপ্তাহ আগে পড়া শেষ করে ফেলতে হবে।

পরীক্ষা এগিয়ে আসা শুরু করলেই একটা আলাদা রুটিন করে ফেলতে পারো। পরীক্ষায় কোন কোন বিষয়গুলো আছে, প্রতিদিন কতটুকু সময় কোন বিষয়ে দেবে, কতক্ষণ রিভিশন দেবে, এসব থাকবে নতুন রুটিনে।

প্রশ্নপত্র তৈরি করে বাসায় বার বার পরীক্ষা দিতে পারো। এতে করে পড়াতো এগোবেই, সেই সঙ্গে পরীক্ষার নিয়ে বাড়তি টেনশনও চলে যাবে। মডেল টেস্টের প্রশ্ন তৈরিতে শিক্ষকের সাহায্য নিতে পারো। অবশ্য আজকাল পত্রিকাগুলোতেও বেশ কিছু নমুনা প্রশ্ন ছাপা হয়। সেখান থেকেও প্রশ্ন সংগ্রহ করতে পারো।

কী কী নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা হচ্ছে তার একটা তালিকা করে ফেলতে পারো। এরপর সেগুলো দূর করার চেষ্টা চালাও।

বাবা-মা ও বন্ধুদের সঙ্গে দুশ্চিন্তা শেয়ার করো। এতেও চিন্তা কমে যাবে। মানসিক চাপও কমবে।

আমি পারব না, নম্বর পাব না, প্রশ্ন কমন পড়বে না, পড়া শেষ হবে না, কিছুই তো পারি না এরকম হাজারো নেতিবাচক কথা পরীক্ষার আগে আসতে পারে। এসব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। নিজেকে নিজের সাথে কথা বলে বুঝাতে হবে হ্যাঁ আমি পারব।

নিজের পড়ার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। এই সময় অন্য কাজ বা চিন্তা মাথায় আনা যাবে না।

পরীক্ষার আগে রাতজাগা একদম ঠিক নয়। প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুমের।

পরীক্ষার হলে প্রশ্ন পবার পর প্রশ্ন পুরোটা পড়ে নিতে হবে । যা যা পারো সেগুলো আগে দাগিয়ে ফেলবে। প্রত্যেক উত্তরের জন্য সময় ভাগ করে নিবে আগেই।

পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার প্রতিও যত্নবান হতে হবে। ঠিকমত খাওয়া, ঘুম, বিনোদন সব কিছুরই প্রয়োজন আছে।

সব কথার শেষ কথা হল পরীক্ষাকে ভয় হিসেবে না নিয়ে সাধারণ একটা ঘটনা হিসেবে দেখতে হবে। মনে রাখবে, জীবনের আসল পরীক্ষাগুলো কিন্তু পরীক্ষার হলে হয় না, এবং সেগুলোর জন্য কিছু মুখস্থও করতে হয় না।

পরীক্ষার সময় মাথা ঠাণ্ডা রেখে পড়ার জন্য আছে গানের টোটকা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!