Monday, December 23
Shadow

মা’কে নিয়ে গালির প্রতিবাদ করায় হাতিরঝিলে পাঠাও রাইডারকে পুলিশের বেধড়ক পিটুনি

পাঠাও

 

রামপুরা থেকে হাতিরঝিলে ঢোকার মুখে রাস্তায় এক পাঠাও  মোটরসাইকেল চালককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে রামপুরা ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. সোহেল রানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীর দাবি, তার যাত্রী হেলমেট পরিহিত অবস্থায় না থাকায় মামলা দেওয়ার পরও চড়াও হন।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে মারধরের ঘটনাটি উঠে এসেছে

এই ঘটনায় ওই পুলিশ সার্জেন্টের পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, ওই মোটরসাইকেল চালক শাহীন আহমেদই প্রথমে তাকে ধাক্কা দিয়েছিলেন। তাই তিনিও ধাক্কা দেন। ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে তা পুরো ঘটনার খণ্ডিত অংশ। প্রথমে পুলিশের ওপরই হাত তোলা হয়েছিল। কিন্তু ভিডিওতে তা দেখা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শাহীন আহমেদ জানান, তিনি মাঝে মাঝে পাঠাও-এর রাইড দেন। আজও সেই উদ্দেশ্যেই বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। কিন্তু যাত্রীর জন্য রাখা হেলমেটটি গতরাতে বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় বলেছিলেন, ট্রাফিক সার্জেন্ট দেখলে তিনি যেন ভেজা হেলমেটটি মাথায় দেন। হাতিরঝিলে রাস্তায় ঢোকার মুখেই পুলিশ বক্সে তাকে থামিয়ে সব কাগজপত্র যাচাই করে। শুধুমাত্র যাত্রীর মাথায় হেলমেট না থাকার জন্য মামলা দেওয়া হয়।

তার অভিযোগ, “মামলা দেওয়ার সময় ওই এলাকা দিয়ে যাওয়া অন্যান্য মোটরসাইকেল চালকদেরও গণহারে মামলা দেওয়া হচ্ছিল। এধরণের তুচ্ছ কারণে মামলা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় ওই ট্রাফিক সার্জেন্ট তাকে মা তুলে গালাগালি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে গালির প্রতিবাদ করায় তিনি কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন। এরপর তাকে পুলিশ বক্সের ভেতরে ঢুকিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়।”

তবে ট্রাফিক সার্জেন্টের দাবি, হেলমেট ছাড়া দেখতে পেয়ে তাকে থামার সংকেত দেওয়া হলেও তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ধরে এনে মামলা দেওয়ায় গালি দিয়ে তাকে রাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল চালকই প্রথমে তাকে ধাক্কা মারেন।

কিন্তু ভিডিওতে শুধু তাকেই মারধর করতে দেখা যাচ্ছে জানালে বলেন, “প্রথমে তার ওপরই হাত তোলা হয়েছিল। সেই অংশটুকু বাদ দিয়ে ভিডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!