বয়স বাড়লে যৌনতায় নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত, এমনটাই বলছে আধুনিক গবেষণা। ৫০ কিংবা তাঁরও বেশি বয়সে কেউ যদি রোজ সঙ্গমে লিপ্ত হয়, তাহলে তাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা বেশি, বলছেন গবেষকরা। যৌবন পেরনো পুরুষ যদি দৈনিক কিংবা সাপ্তাহিক সঙ্গমে অভ্যস্ত হন, তাহলে সেই পুরুষের হৃদরোগের শঙ্কা বেশি। এমনটাই মত দিয়েছে মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়য়ের গবেষকরা। তবে পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলাদের ক্ষেত্রে যদিও নিয়মিত যৌনসঙ্গমে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কম, দাবি চিকিৎসকদের।
“তুলনামূলক বয়স্করা যদি তাঁদের সঙ্গীর সঙ্গে যৌনতায় শারীরিক তৃপ্তি অনুভব করেন এবং সন্তুষ্ট হন, সেক্ষেত্রে কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা তাঁদের সবথেকে বেশি”, এমনটাই বলছেন গবেষক হুই লিউ এবং তাঁর সহযোগী সমাজবিদ্যার অধ্যাপক গবেষকরা।
এই গবেষণা করা হয়েছিল ২ হাজার ২০৪ জনের ওপর। আমেরিকার ন্যাশনাল সোশ্যাল লাইফ এবং হেলথ অ্যান্ড অ্যাজিং প্রোজেক্ট এই গবেষণাকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে। ৫৭ থেকে ৮৫ বছরের মানুষদের মধ্যে এই গবেষণা করা হয়েছিল। দীর্ঘ সময়ের এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাদের মধ্যে যৌনতার মাত্রা বেশি ছিল তাঁদেরই পরবর্তী সময়ে হৃদরোগ দেখা গিয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন ৫০ উর্দ্ধরা প্রতিনিয়ত কিংবা সাপ্তাহিক যৌনতায় আবদ্ধ হলে তাঁদের শরীরের স্বাভাবিক রক্তচাপ তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পায় যা তাঁদের হৃদপিণ্ডে প্রভাব ফেলে। আর অতিরিক্ত চাপে হার্ট অ্যাটাকের মত মৃত্যু সঙ্কটের সম্মুখীন হন তাঁরা। গবেষণা বলছে প্রতিনিয়ত যৌনসঙ্গম না করে যদি মাসিক রুটিন ফলো করে যৌনসঙ্গম করা হয় তাহলে তুলনামূলকভাবে শারীর অনেক বেশি সুস্থ থাকে।
নিয়মিত যৌনতায় সক্রিয়তা বাড়ে প্রবীণদের মস্তিষ্কে
মেয়েদের কাছে যৌনতা মানে কী? জানালেন কঙ্গনা
নায়িকা হিসেবে পরীমনি চাই: ফেরদৌস