ব্রেন স্ট্রোক-এর ৬ টি লক্ষণ জেনে নিন - Mati News
Friday, December 5

ব্রেন স্ট্রোক-এর ৬ টি লক্ষণ জেনে নিন

ব্রেন-স্ট্রোক

ব্রেন স্ট্রোক-এ আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উচ্চ রক্ত চাপ, মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা, কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস কিংবা অন্যান্য কারনে কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা সৃষ্টি হয়ে, দিন দিন মস্তিষ্কের কাজের ক্ষমতা লোপ করে রক্ত সঞ্চালনে বাঁধার সৃষ্টি হলে ব্রেন স্ট্রোক হয়। ইদানীং অনেক কম বয়সী মানুষজনকেও স্ট্রোক করতে দেখা যায়। মাঝে মাঝে এই স্ট্রোকগুলো মাইনর পর্যায়ের হয়। কিন্তু অজ্ঞতার কারনে, ভুল চিকিৎসায় এই স্ট্রোকের ভয়াবহতা বাড়তে পারে। প্যারালাইসিস থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে যদি মাইনর স্ট্রোক ধরতে না পারা যায়। তাই সকলের উচিৎ স্ট্রোকের লক্ষন সমূহ জেনে রাখা। এতে মাইনর স্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা ও উপযোগী চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যাবে।

মুখমণ্ডলের এক পাশ ঝুলে পড়া
স্ট্রোকের প্রধান ও প্রথম লক্ষন রোগীর মুখমণ্ডলে ধরা পড়ে। মুখের বাম পাশের মাংস পেশি ঝুলে পড়ে। যার ওপর রোগীর কোনো নিয়ন্ত্রন থাকে না। লক্ষণটি ভালো করে বুঝতে হলে রোগীকে হাসতে বলুন। তিনি যদি না হাসতে পারেন তবে যত দ্রুত সম্ভব তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাতে দুর্বলতা অনুভব
অনেক সময় আমরা হাতের দুর্বলতা অনুভবকে পাত্তা দিই না। কিন্তু এটা হতে পারে স্ট্রোকের লক্ষন। স্ট্রোক করার আগে রোগী দুই হাতে অস্বাভাবিক দুর্বলতা অনুভব করেন। রোগীকে সাথে সাথে হাত মাথার উপরে তুলে ধরতে বলুন। যদি রোগী বলেন তিনি হাত তুলতে পারছেন না। কিংবা যদি লক্ষ্য করেন হাত ছেড়ে দিচ্ছেন তবে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেবার ব্যবস্থা করুন।

 

কথা জড়িয়ে যাওয়া
মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে বা খুব কমে গেলে স্ট্রোক হয়। স্ট্রোকের আগে কথা জড়িয়ে যাওয়ার মাধ্যমে লক্ষণটি ধরা পড়ে। যদি কেউ কথা বলতে বলতে হঠাৎ অস্পষ্ট কথা কিংবা জড়িয়ে যাওয়া গলায় কথা বলতে থাকেন তবে অবশ্যই তা লক্ষণীয়। রোগীকে দিয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করে দেখুন। যদি আসলেই জড়ানো কথা হয় তবে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর করুন।

তীব্র মাথা ব্যথা
স্ট্রোকের আগে রোগীরা তীব্র মাথা ব্যথার শিকার হয়ে থাকেন। তীব্র মাথা ব্যথা অনেক কারনেই হতে পারে। অনেকের মাইগ্রেন আছে। তীব্র মাথা ব্যথা মাইগ্রেনেও হয়। কিন্তু যদি হঠাৎ করে কোন ধরনের কারণ ছাড়াই মাথার বাম অংশে তীব্র ব্যথা শুরু হয় তবে অবহেলা করবেন না। দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা
মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনের বাঁধা পাবার ফলে শরীরের সাধারণ কাজ করার ক্ষমতা ব্যাহত হয়। ফলে হাত পা কিংবা অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপর স্ট্রোকের রোগীরা নিয়ন্ত্রন হারান। রোগীকে উঠে দাড়াতে বলুন। ব্রেন স্ট্রোক-এর লক্ষন হিসেবে তিনি উঠে দাঁড়াতে পারবেন না। সুতরাং স্ট্রোক অবশ্যম্ভাবী। তাকে সাথে সাথে হসপিটালাইজড করতে হবে।

 

শর্ট মেমোরি লস
স্ট্রোকের আগে রোগীরা তাদের আপনজনকেও চিনতে পারেন না এমনকি নিজের নাম পর্যন্ত ভুলে যান। ডাক্তারদের ভাষায় একে শর্ট মেমোরি লস বলে থাকেন। রোগীকে তার নিজের নাম জিজ্ঞেস করুন। তার পরিবারের লোকজনকে চিনতে পারেন কিনা তা দেখুন। তা না হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *