মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধির সহজ উপায় হলো একবারে দুইটি নয়, একটি কাজ করা। কখনো একাধিক কাজে একই সময় মাথা না খাটানো। এতে মস্তিষ্কের উর্বরতা হ্রাস পায়। মস্তিষ্কের উর্বরতা বাড়ানোর আরো একটি উপায় হলো অপ্রয়োজনীয় তথ্য মস্তিষ্কে জমা না রাখা। এটা কম্পিউটারের অপ্রয়োজনীয় তথ্য ডিলিট করে দেয়ার মতো। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা বড় কিছু চিন্তা করার সময় মনোযোগ কেড়ে নিতে পারে এমন সবকিছু হাতের কাছে না রাখা। যেমন- সেলফোন, ফেসবুক অথবা কাছের বন্ধু। নতুন কিছু শেখা (বিদেশী ভাষা ইত্যাদি), আবিষ্কার করা বা নতুন কিছু চিন্তা করা বুদ্ধিভিত্তিক খেলায় অংশ নেয়াও মস্তিষ্ককে উর্বর রাখার আরেকটি ভালো উপায়।এ বিষয়ে নিচে আরো কিছু টিপস দেয়ে হলো-
শিখতে থাকুন
বহু গবেষণাতেই দেখা গেছে, শিক্ষা মানসিক কার্যক্ষমতা ধরে রাখে। এ তত্ত্ব অনুযায়ী মানুষ যত বেশি শিক্ষিত তার মানসিকতাও তত সমৃদ্ধ। আর এর ফলে মস্তিষ্কের অবসাদ আসতে তাদের মস্তিষ্ক তত বেশি বাধা দেয়। দেখা গেছে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বিনাশী রোগ অ্যালঝেইমার্স উচ্চশিক্ষিত মানুষের মাঝে দেরিতে আক্রমণ করে। এ কারণে দেখা যায়, শিক্ষা যত বেশি হবে তত বেশি আপনার মস্তিষ্ক কার্যক্ষম থাকবে।
ক্রসওয়ার্ড করুন
আপনি যদি স্কুলে আবার ফিরতে না চান, তাহলেও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা টিকিয়ে রাখার উপায় আছে। এ জন্য আপনাকে নিয়মিত ক্রসওয়ার্ডের সমাধান করতে হবে। তরুণ বয়সে আপনার শিক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বয়স হলে ক্রসওয়ার্ড হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত সমাধান। এক গবেষণায় দেখা গেছে এ ধরনের ক্রসওয়ার্ড নিয়ে একটি দিন ব্যস্ত থাকলে সে কারণে দুই মাস পিছিয়ে যায় মস্তিষ্কের রোগ ডিম্যানশিয়া।
নেতিবাচকতা বাদ দেওয়া
মন থেকে নেতিবাচকতা ত্যাগ করা হতে পারে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ধরে রাখার অন্যতম উপায়। যখন কোনো একটি বিষয়ে মস্তিষ্ক উদ্বিগ্ন থাকে তখন মস্তিষ্ক তা গ্রহণ করে এবং সেভাবে প্রস্তুত হয়। এ কারণে নেতিবাচক চিন্তাগুলো মস্তিষ্কে স্থায়ী হয়ে যায়। ফলে মধ্যবয়সে হতে হয় স্মৃতিভ্রংশের শিকার। অন্যদিকে ইতিবাচক ও গঠনমূলক বিষয় নিয়ে চিন্তা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
নিজের ইন্দ্রীয়গুলো ব্যবহার করুন
মানুষের মস্তিষ্ক বিভিন্ন ইন্দ্রীয় থেকে গ্রহণকৃত তথ্য মনে রাখে। খুব ছোট আকারে হলেও কোনোকিছু দেখা, শোনা বা স্পর্শজনিত নানা তথ্য মনে রাখতে খুবই কার্যকর মানুষের মস্তিষ্ক। যেমন কোনো একটি ফুলের ছবির পাশাপাশি যদি তার গন্ধটাও গ্রহণ করা যায় তাহলে সে বিষয়টি মনে রাখতে খুবই সুবিধা হয়।
একসঙ্গে অনেক কাজ (মাল্টিটাস্ক) বাদ দিন
আমরা অনেকেই একসঙ্গে অনেক কাজ (বা মাল্টিটাস্ক) করে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে মাল্টিটাস্ক বাস্তবে মানুষকে ধীর করে দেয়।
স্পেসড ইন্টারভাল রিপিটিশন
আপনার যদি কোনোকিছু মনে রাখার প্রয়োজন হয় তাহলে এ পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন। এছাড়া নিয়মিত শারিরীক অনুশীলন করুন, শরীরে রক্ত চলাচল সঠিক থাকলে মস্তিষ্কও ভাল থাকে।
https://www.youtube.com/watch?v=r0t64gzuqtg