class="post-template-default single single-post postid-19743 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি দেবে খাবারগেুলো

মানসিক অবসাদ মানসিক স্বাস্থ্য টিপস

মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি দেবে খাবারগেুলো

মন খারাপ কমবেশি আমাদের সবারই হয়ে থাকে। ক্রনিক মন খারাপের সমস্যায় দীর্ঘ দিন ভুগলে মস্তিষ্কের ভিতর এত মাত্রায় ক্ষতি হয় যে নানাবিধ ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘ সময় ধরে ডিপ্রেশনের মতো রোগে ভুগলে ব্রেনের ভিতর প্রদাহের মাত্রা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেন সেলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এর ফলে অ্যালঝাইমারস, ডিমেনশিয়া এবং পার্কিসনের মতো জটিল মস্তিষ্কঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

স্ট্রেসফুল পরিস্থিতিতে মানসিক অবসাদ থেকে দূরে রাখতে খাবারগুলিকে রোজের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে যে যে খাবারগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল-

১) সাইট্রাস ফল-
কমলা লেবু এবং মৌসাম্বি লেবুর মত সাইট্রাস ফলের শরীরে মজুত রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রকৃতিক সুগার, যা স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ তো কমায়ই, সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।

২) টমাটো-
টমাটোতে উপস্থিত লাইকোপেন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর মন খারাপকে সমূলে উৎখাত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে মানসিক অবসাদের মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লাগে না।

৩) পালং শাক-
পালং শাক খেলে শরীরে আয়রন, এবং ফলিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। যার প্রভাবে মস্তিষ্কের ভিতর স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে। ফলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে শারীরিক ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

৪) ভিটামিন ডি-
শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিলে মুড সুইং এবং ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এজন্য নিয়মিত কিছু সময় গায়ে রোদ লাগানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। কারণ সূর্যের আলো গায়ে লাগলে দেহের ভিতর ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দূর হতে সময় লাগে না। যে যে খাবারে এই ভিটামিনটি প্রচুর পরিমাণে থাকে, সেগুলি হল মাশরুম, ডিম প্রভৃতি।

৫) বাদাম-
বাদামে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন বি২, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক। এই উপাদান গুলো সেরাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে কোনওভাবেই স্ট্রেস ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

৬) রসুন- 
এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ভিতর অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস করলে হার্টের কর্মক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি ডায়াবেটিসের মোতে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!